বর্তমান সমস্যা দীর্ণ সমাজে নোতুন পৃথিবী পত্রিকার গুরুত্ব প্রয়োজন

লেখক
প্রভাত খাঁ

সারা পৃথিবীর ধনী, রাষ্ট্রগুলি ও সাধারণ আর্থিক উন্নতিকামী ও উন্নয়ণমুখী রাষ্ট্রগুলি এমন পরিস্থিতির মধ্যে এসেছে তার হাত থেকে বাঁচতে  সকল রাষ্ট্রকে এক যোগে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে ৷ কারণ করোনা বর্তমানে কোন রাষ্ট্রকে বাদ রাখছে না তার ছোবল থেকে৷ করোনা আক্রমণে সারা পৃথিবীর মানুষ আজ আতঙ্কগ্রস্ত৷ কিন্তু  করোনা আক্রমণের লড়াইটা একযোগে হচ্ছে বলে মনে হয় না৷ সেখানেও চলছে নানা  ছল, বল ও কৌশল৷ এক কারণ হলো সার্বিক কল্যাণের কথা ভুলে নিছক শক্তিশালী শাসক রাষ্ট্রগুলো যেন প্রতিযোগিতায় নেমেছে পৃথক পৃথকভাবে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে কায়েমী স্বার্থ চরিতার্থ করতে৷

সমগ্র মানব সমাজ যে ধবংস হতে বসেছে সেদিকে যে ঐক্যবদ্ধভাবে চিন্তা ভাবনার জরুরী দরকার সেটাকে উপেক্ষা করে চলেছে ইচ্ছাকৃতভাবে৷ এটা কিন্তু সমগ্র মানব সমাজের মারাত্মক ক্ষতিকারক নজির৷ এর সঙ্গে কিছু কিছু ধান্দাবাজ অর্থলোলুপ কর্র্পেরেট সংস্থা অশুভ পথে অর্থ রোজগারের ফন্দি আঁটছে৷ তাই এই অবস্থায় সারা পৃথিবীর সচেতন ব্যষ্টিদের অবশ্যই সজাগ থাকবে যাতে নব আবিসৃকত রোগ প্রতিরোধ ভ্যাকসিন সর্বনাশ না ঘটাতে পারে৷ আজ দুর্নীতিতে সারা পৃথিবীই ছেয়ে গেছে! এ ব্যাপারে সংখ্যাগরিষ্ট হত দরিদ্র পৃথিবীর জনগণ খুবই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে৷

আজ পৃথিবীতে সৎ, নিষ্ঠাবান, সমাজ সেবককের দারুণ অভাব! এই  সংকট কালে পৃথিবীর সার্বিক কল্যাণে যিনি  অবির্ভূত হয়েছিলেন তিনি হলেন শ্রদ্ধেয় প্রভাতরঞ্জন সরকার ---তাঁর প্রবর্ত্তিত সামাজিক অর্থনৈতিক দর্শন প্রাউট সারা পৃথিবীতে আলোড়ণ তুলেছে৷ এই প্রাউট দর্শনই সারা পৃথিবীতে  সামাজিক অর্থনৈতিক ও আধ্যাত্মিকক্ষেত্রে  বিপ্লব আনবে৷

এই দর্শন নোতুন পৃথিবী গড়ার সুস্পষ্ট পথ নির্দেশনা দিয়েছেন৷ এই নোতুন পৃথিবী গড়ার সুস্পষ্ট পথ নির্দেশনা দিয়েছেন৷ এই নোতুন পৃথিবী তিনি এক আশীর্বাদবাণী দেন৷ সেই মহানবাণীটি হলো এই বিরাট পৃথিবীতে যে কোটি কোটি মানুষ আছেন তারা এক মানব সমাজের সদস্য৷ যদিও  সেটি বিভিন্ন ভাষাভাষী, বিভিন্ন বর্ণের ও আচার ব্যবহারও বিভিন্ন৷ কিন্তু তাঁদের বাঁচার আয়োজন এক ধরনের, পিতামাতা ও  আত্মীয় স্বজনের স্নেহ ভালোবাসা, শ্রদ্ধাভক্তি ও এক প্রকাশভঙ্গী আলাদা৷ তাই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্প--- কাবুলিওয়ালা বাবা হিসেবে অন্যভাষার বাবার মতই তাঁর কন্যাকে ভালোবাসেন ও তাঁর জন্য বিদেশে থেকেও তারই কথা ভাবেন৷ তাই মিমিকে কাবুলিওয়ালা বাবার মতই স্নেহ করতেন৷

বর্তমান সমস্যা সংকূল পৃথিবীতে সেই বৃহৎ পরিবারের এক মানব সমাজের জন্য বিশ্বৈকতাবোধে জাগ্রত হয়ে পৃথিবীকে গড়তেই হবে৷ সকলকে লড়াই করতে তাই প্রয়োজন হলো মহান দার্শনিকের কথায়--- নোতুনপৃথিবী তারাই তৈরী করতে পারে যাদের মধ্যে কোন সংকীর্ণতা নেই৷ আশাকরি একথা জেনে বুঝেই কাজে নেমেছো৷ নোতুন পৃথিবী সমাজ কল্যাণের বাহন হোক এটাই আমি চাই--- শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার

 তাই আশা করি কুসংস্কার মুক্ত হলে তবেই মানুষ ভেদাভেদহীন হয়ে সংকীর্ণতামুক্ত হতে পারে৷ সেই বিশ্বৈকতাবোধে জাগ্রত হয়ে নোতুন এক সুন্দর  পৃথিবী গড়তে সক্ষম হয়৷ এরজন্য দরকার এক নির্ভীক সংবাদ পত্রিকা যে পত্রিকা মানুষের  মনের সংকীর্ণতা দূর করতে ও নৈতিকতার জাগরণে  নির্ভয়ে সমাজের সকল প্রকার শোষণ বঞ্চনার দিকগুলিকে দূর করতে সক্ষম হবে পত্রিকায় আলোচনার মাধ্যমে৷ তিনি তাই একটি পত্রিকার  নামকরণ করেন ‘‘নোতুন পৃথিবী’’৷ সেটি প্রতিদিন সময় মতো না পেলে  অন্নজল গ্রহণ করতেন না৷  তাই তাঁর প্রিয় পত্রিকা ‘নোতুন পৃথিবী’ পত্রিকাটি যাতে প্রকাশিত হয় সেদিকে পত্রিকার সঙ্গে  যাঁরা যুক্ত তাঁরা ও পাঠকবর্গকেও অবশ্য নজর দিতেই ব্যাকুল আগ্রহে এটি হাতে পেয়ে চান৷ তাই এই পত্রিকাকে উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলুক এটাই প্রার্থনা করি৷