দুর্যোগ উপেক্ষা করে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী মহাপ্রয়াণ দিবস উপলক্ষ্যে ১২০ ঘণ্ঢা অখণ্ড কীর্ত্তনে হাজার হাজার আনন্দমার্গীর যোগদান

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

কলকাতা, ৩১শে অক্টোবর ঃ মহাসম্ভূতি শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী মহাপ্রয়াণ দিবস উপলক্ষ্যে কলকাতার ভি আই পি নগরে আয়োজিত অখণ্ড কীর্ত্তন গত ২৬শে অক্টোবর  বিকেল ৩–৩০ মিনিটে সমাপ্ত হয়৷ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ১৯৯০ সালের ২১শে অক্টোবর অপরাহ্ণে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী তাঁর পার্থিব দেহ ত্যাগ করেন৷ তাঁর দেহ ২৬ তারিখ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় আশ্রমে বিশ্বের নানা প্রান্তের ভক্তদের দর্শনের জন্যে সংরক্ষিত ছিল৷ ২১শে অক্টোবর থেকে ২৬শে অক্টোবর অপরাহ্ণে তাঁর পার্থিব দেহের অন্তিম সৎকার হওয়া পর্যন্ত আশ্রমে কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়েছিল৷ সেই থেকে প্রতি বছর তিলজলা কেন্দ্রীয় আশ্রমে ২১শে অক্টোবর থেকে ২৬শে অক্টোবর অখণ্ড বাবানাম কেবলম্ কীর্ত্তন  অনুষ্ঠিত হয়৷

 ৬দিন ধরে হাজার হাজার ভক্তকণ্ঠে ‘বাবানাম কেবলম্’ মহামন্ত্রের কীর্ত্তনে সমগ্র এলাকায় এক ভক্তি–ভাবমণ্ডিত স্বর্গীয় পরিবেশ রচিত হয়েছিল৷ এই উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, ওড়িষ্যা, ঝাড়খণ্ড, বিহার সহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে এমনকি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকেও হাজার হাজার ভক্ত আনন্দমার্গীর সমাবেশ হয়েছিল৷

অখণ্ড কীর্ত্তন শেষে মিলিত সাধনা, গুরুপূজা অন্তে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে পরমারাধ্য ‘‘বাবা’’ শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর মহান আদর্শকে জীবনে ও সমাজে রূপায়িত করার শপথ গ্রহণ করেন৷ বাংলায়, হিন্দীতে ও ইংরেজীতে শপথ পাঠ করান যথাক্রমে আচার্য নিত্যসত্যানন্দ অবধূত, আচার্য কল্যাণেশ্বরানন্দ অবধূত ও আচার্য প্রিয়কৃষ্ণানন্দ অবধূত৷ এরপর ভিডিও–তে বাবার প্রবচন শোনানো হয় ও বরাভয় মুদ্রায় ‘বাবা’র আশীর্বাদও দেখানো হয়৷ এসময় সমবেত হাজার হাজার ভক্ত ভক্তিভাবে উদ্বেলিত হয়ে ওঠেন৷ সর্বশেষে সংঘের ধর্মপ্রচার সেক্রেটারী আচার্য বীতমোহানন্দ অবধূত সবাইকে ধন্যবাদ জানান ও আগামী বারে মহাপ্রয়াণ অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্যে আহ্বান জানান৷ তৎপরে প্রসাদ বিতরণ করা হয়৷ অনুষ্ঠান শেষে সমস্ত আনন্দমার্গী মার্গগুরুদেবের আদর্শকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে আগামী কয়েক মাসের জন্যে কর্মসূচী গ্রহণ করেন৷

শু ২১শে অক্টোবর দেশে–বিদেশে আনন্দমার্গের সমস্ত আশ্রম তথা ইয়ূনিটেই মার্গগুরুদেবের পার্থিব দেহের মহাপ্রয়াণ দিবস নিষ্ঠার সঙ্গে পালিত হয়৷ সমস্ত আনন্দমার্গী নিকটস্থ আনন্দমার্গ আশ্রমে বা ইয়ূনিট ভবনে সমবেত হয়ে মার্গগুরু প্রদত্ত প্রভাত সঙ্গীত, অখণ্ড কীর্ত্তন, মিলিত সাধনা, গুরুপূজা, শপথ গ্রহণ, মার্গগুরুর আদর্শের ওপর আলোচনা, মিলিত প্রসাদ গ্রহণ প্রভৃতির মাধ্যমে এই দিনটিকে পালন করেন৷ পরে তারা কলকাতায় কেন্দ্রীয় আশ্রমে ৬দিন ব্যাপী কীর্ত্তনে যোগদান করতে আসেন৷