প্রবন্ধ

সমাজ আন্দোলনই সাম্রাজ্যবাদী শক্তির পতন ঘটাবে

এইচ.এন. মাহাতো

বাঙালী জাতিসত্ত্বাকে কেন বার বার প্রথমে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ পরবর্তীতে হিন্দী সাম্রাজ্যবাদ আঘাতে ক্ষত -বিক্ষত করে চলেছে৷ এর কারণগুলো কখনো  ভেবে দেখেছেন কি? আজকের আলোচনায় কয়েকটি বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করছি৷

প্রথমতঃ ভারতের আধ্যাত্মিকতাকে দু’টি ভাগে ভাগ করা হয়৷ (১) অন্তর্মুখী, (২) বহির্মুখী৷

তোমার ইচ্ছায় সব হয়ে যায়

শিবরাম চক্রবর্ত্তী

মহাসম্ভূতি আনন্দমূর্ত্তি

নিয়ে মহান ব্রত,

ধরায় এলে সবই দিলে

সবার মন মত৷

যোগ সাধনা কারো মানা

 না রেখে আজ তুমি,

দিতেই সবার আনন্দে এবার

পায় তাঁর আত্মীক ভূমি৷

মুক্তি মোক্ষ পরিপক্ক

করতে মন্ত্রদিলে,

ভালবেসে মিষ্টি হেসে

ভক্তেরে কোলে নিলে৷

পাপী–তাপী বিশ্ব ব্যাপী

যে যেখানে ছিল,

তোমার চরণ করতে স্মরণ

তারাও উতরে গেল৷

দুষ্ট যারা তোমায় তারা

বুঝেও অবুজ হয়ে

তোমার সাথে মদ মত্তে

লড়ে যায় সব ক্ষণে৷

তোমার ইচ্ছায় নোতুন বর্তায়

মহান আদর্শে আজ

বৈশ্যযুগের অবসান চাই

মনোজ দেব

সম্প্রতি এক পরিসংখ্যানে প্রকাশ বেকারত্বের জ্বালায় দেশে  আত্মহত্যা বেড়েছে ধনতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় কেন্দ্রীত অর্থনৈতিক কাঠাময় শুধু বেকারত্ব নয়, অর্থনৈতিক বৈষম্য, অভাব অনটন মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে৷ ভারতের মতো জনবহুল দেশে  কোন পরিসংখ্যানই সঠিক তথ্য দিতে পারে না৷ তাই পরিসংখ্যানের থেকেও ভয়াবহ অবস্থা কর্মহীন ও বেকারদের৷ ধনতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় বেকারের সংখ্যা স্বাভাবিক ভাবেই বৃদ্ধি পেতে থাকে৷ শিল্পপতিরা তাদের শিল্পের জন্যে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে৷ তাদের মুনাফার অংক বৃদ্ধির জন্যে এটা তারা করবেই৷ যে কাজ ১০০ জনের দ্বারা হচ্ছিল, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে সে কাজ হয় তো ২০ জনক

উত্তরপূর্বাঞ্চলের বাঙালীদের ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের সময় আগত

তপোময় বিশ্বাস

ভারতবর্ষে বাঙালীদের নিজস্ব রাজ্য শুধু ‘পশ্চিমবঙ্গ’ এই ভুল ধারণা অনেকেই পোষণ করে থাকেন৷ ইতিহাস বলছে, পশ্চিমবঙ্গ ব্রিটিশ পূর্ব ভারতের অখণ্ড বাঙলার একটি খণ্ডিত অংশমাত্র৷ ব্রিটিশ রাজশক্তি ক্ষমতার অপব্যবহার করে অখণ্ড বাঙলাকে টুকরো টুকরো করে প্রাকৃতিক সম্পদে  পরিপূর্ণ অংশগুলিকে অবাঙালী অধ্যুসিত অঞ্চলের সঙ্গে সংযুক্তি করে সেই অঞ্চলের ওপর প্রবলভাবে অর্থনৈতিক সম্পদের লুঠপাঠ করতে থাকে৷ সেই লুঠপাটকে দীর্ঘস্থায়ী ও তৎকালীন ভারতে বাঙালীদের শোষণবিরোধী বৈপ্লবিক কর্মধারা থেকে বিরত করতে অবাঙালী অঞ্চলের বহিরাগতদের সঙ্গে ভূমিপুত্র বাঙালীদের বিরোধ বাধিয়ে রাখে৷ বর্তমানেও ব্রিটিশদের উত্তরসূরি দেশীয় সাম্রাজ্যবাদের

নোতুন কেন্দ্রীয় সরকার আনন্দমার্গের ১৭জন সন্ন্যাসী ও সন্ন্যাসিনী হত্যাকাণ্ডের সত্য উদঘাটনে ব্রতী হন

প্রভাত খাঁ

সেই ১৯৮২ সালের ৩০ এপ্রিলের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তারিখটি গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে এলো৷ আনন্দমার্গের সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী, সন্ন্যাসিনী ও গৃহী ভক্তবৃন্দ সেই বিজন সেতু ও বন্ডেল গেটে যে তরতাজা লাল গোলাপের মত সুন্দর ১৭ জন সন্ন্যাসী ও সন্ন্যাসিনী নৃশংসভাবে দিবালোকে কলকাতার রাজপথে নিহত হলেন তাঁদের বিদেহী আত্মাকে স্মরণ করতে ও হূদয়ের শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করতে সমবেত হবেন আগামী ৩০ শে এপ্রিল বিজন সেতুতে তাপ দগ্ধ দ্বিপ্রহরে৷ দেখতে দেখতে কেটে গেল ৪০ বছর৷ অদ্যাবধি ভারতের মতো বিরাট গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার এই নির্মম  হত্যাকান্ডের কোন সুরাহা করলেন না৷ আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের পক্ষ থেকে প্রথম থেকে

আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে

একর্ষি

হবে নাইবা কেন ? খিদে পেয়েছে খাবার নেই ? টাকা ফেল -- খাবার চলে আসবে। শীত লাগছে,শীতের কাপড় নেই ? টাকা দিলেই  চলে আসবে। মাথা গোঁজার  ঠাঁই নেই ? রোগের ওষুধ নেই?  ছেলেমেয়েদের  লেখা পড়া শেখানোর  ক্ষমতা নেই ?

বিকেন্দ্রীত অর্থনৈতিক ব্যবস্থাই গণতান্ত্রিক অর্থনীতির সার্থক রূপ

প্রবীর সরকার

দেশ পরিচালনা করা যদি সহজ হতো তাহলে কথাই ছিল না৷ সুগৃহকর্তা বা কর্ত্রী যদি না হয় তাহলে সে গৃহের কল্যাণ ও উন্নতি হয় না৷ ঠিক তেমনই রাষ্ট্রের প্রধান যদি সুশাসক না হয় তা হলে সেই রাষ্ট্র কখনোই উন্নতি করতে পারে না৷ আজ মনে পড়ে সেই অতীতের সুলতানী যুগের কথা৷ ভারত সম্রাট নাসিরুদ্দীনের বেগম রান্না করতে গিয়ে হাত পুড়িয়ে ফেলেন তখন সম্রাটকে বেগম একজন দাসী রাখার প্রার্থনা জানান৷ তিনি কোরাণ নকল করে জীবিকা নির্বাহ করতেন তাই তাঁর পক্ষে দাসী রাখা সম্ভব নয় বলে বেগমকে জানান৷ আর রাষ্ট্রের কোষাগারের অর্থ প্রজাদের৷ সেই অর্থ অযথা ব্যয় কারর অধিকার তাঁর নেই৷ এই বোধ যদি শাসকদের না থাকে তাহলে তো তাঁরা ধার করেই শাসন পরিচা

প্রাউটের সমাজ আন্দোলন শোষণ মুক্তির নূতন দিশা

মনোজ দেব

আজ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সমাজের অর্থনৈতিক উন্নয়নের একমাত্র পথ হিসেবে মেনে নিয়ে আপন আপন কর্মসূচী অনুসারে কাজ করে চলেছে৷ তারা দেশে ক্রমবর্ধমান দারিদ্র্য ও বেকার সমস্যা সমাধানের জন্যে দেশী-বিদেশী পুঁজিপতিদের শরণাগত৷ দেশী-বিদেশী পুঁজিপতিরা যাতে রাজ্যে তাদের মোটা পুঁজি বিনিয়োগ করে শিল্প গড়ে তুলতে এগিয়ে আসে, সেজন্যে ওই পুঁজিপতিদের নানান ভাবে তোষণ করে চলেছে৷ তাদের নানাভাবে প্রলোভন দিচ্ছে৷ সস্তায় জমি, বিদ্যুৎ বিভিন্ন পরিস্থিতিতে করছাড়, ইত্যাদির আশ্বাস দিয়ে নানাভাবে তাদের মন ভেজানোর চেষ্টা করছে৷ কট্টর মার্কসবাদী বলে পরিচিত সিপিএম সহ অন্যান্য সঘোষিত সমাজতন্ত্রী বামপার্টিগুলিও দে