প্রবন্ধ

চাই আদর্শ শিক্ষাব্যবস্থা

নিরপেক্ষ

জাতিগঠনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হ’ল শিক্ষা৷ আজ যে সারা দেশ জুড়ে অসংখ্য আর্থিক দুর্নীতি, নারী–লাঞ্ছনা, পারিবারিক হিংসা ও হত্যা সহ অজস্র অপরাধের ঘটনা ঘটছে এ সবের পেছনে অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থার ত্রুটি৷ প্রতি বছর তো লক্ষ লক্ষ যুবক–যুবতী স্কুল কলেজের গণ্ডী পেরিয়ে কর্মক্ষেত্রে ঝাঁপিয়ে পড়ছে৷ এই স্কুল কলেজগুলিই প্রধানতঃ মানুষ তৈরীর কারখানা৷ মানুষের মধ্যে সদ্বৃত্তির মূল্যবোধের জাগরণের প্রাথমিক দায়িত্ব এই স্কুল–কলেজের৷ এই স্কুল কলেজের শিক্ষাব্যবস্থা বর্তমানে যে এই প্রাথমিক দায়িত্ব পালন করছে না–সে সম্পর্কে বোধহয় কেউই দ্বিমত হবেন না৷ মূল্য ভিত্তিক শিক্ষা বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা থে

ফাঁসী নয়, গুলি করুন

পথিক বর

‘পুঁজিবাদী সাম্রাজ্যবাদী শোষণের দিন ফুরিয়ে আসছে৷ এ সংগ্রাম আমরা শুরু করিনি, আমাদের জীবন অবসানের সঙ্গে সঙ্গে এ সংগ্রাম শেষ হয়েও যাবে না৷ ইতিহাসের অমোঘ নিয়মে বর্তমান বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এ সংগ্রাম অনিবার্যভাবে গড়ে উঠেছে৷ আমাদের মৃত্যুতে আত্মদানের পুষ্পমাল্যে আর একটি নতুন ফুল গাঁথা হবে৷ যতীন দাসের অতুলনীয় আত্মদান, ভগবতী চরণের হৃদয় বিদারক অথচ মহান আত্মদান ও আমাদের সংগ্রামী সাথী আজাদের গৌরবময় আত্মদান ইতিমধ্যেই আত্মদানের পুষ্পমাল্যটিকে বর্ণোজ্জ্বল করেছে৷

‘‘বুলডোজার চালাবো’’ গণতন্ত্রে এ কেমন কথা? সত্যই কি দেশে গণতন্ত্র আছে?

প্রভাত খাঁ

নির্বাচনে জেতার পরই উত্তরপ্রদেশে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে ঘোষনা করা হয়৷ ‘ফের বুলডোজার চলবে’ যোগী রাজ্যে নিরীহ জনগণকে গত ৮ বছর ধরেই দেখছে সারা ভারতের বিশেষ করে ডবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলিতে অসহায় গরীব জনগণের উপর ঐ বুলডোজারই চলছে৷ তাছাড়া বিজেপি বিরোধী রাজ্যগুলিতো চরম বঞ্চনার শিকার হয়েই শাসন চালাচ্ছেন৷ বর্ত্তমান কেন্দ্র সরকার তো পদে পদে সংবিধান বিরোধী কাজেই ওস্তাদ যার কারণে মহামান্য সুপ্রিমকোর্টের ভৎস্নার শিকার হয়েই চলেছেন৷ দেখে মনে হয় কুসংস্কারাচ্ছন্ন  দু’কান কাটা জীব বিশেষ৷ এদের শাসনে হতভাগ্য গরিব নাগরিকগণতো সারাভারতেই জীবনমৃত হয়ে জীবন যাপন করে চলেছেন এরা ধনীদেরই সেবাদাস৷ এদেশে নির্বাচনটাই  যেন প্রহশ

অন্ধ রাজনীতি ও বন্ধ্যা অর্থনীতি

হরিগোপাল দেবনাথ

‘রাজনীতি’ শব্দটির সংসৃকত ভাষার আভিধানিক দৃষ্টিকোন থেকে তার বুৎপত্তিগত অর্থবিচার করতে গেলে, একটি সমাসবদ্ধ পদরূপে এর বিশ্লেষণে দাঁড়ায়---‘নীতিনাং রাজঃ ইত্যর্থে রাজনীতিঃ’৷ অর্থাৎ রাজনীতি বলতে বোঝায় নীতিসমূহের শ্রেষ্ঠনীতি৷ আবার, ‘নীতি’ শব্দকে যদি বুৎপত্তিভাবেই বিশ্লেষণ করা যায় তাহলে আমরা পাই ঃ--- ন+ ক্তি = নীতি৷ অর্থাৎ  নী-ধাতুর সঙ্গে ক্তিন্‌-প্রত্যয়যোগে হচ্ছে নীতি৷ নী-ধাতুর মানে হচ্ছে নিয়ে চলা (ইংরেজীতে‘টুলীড লীড্‌ যিনি করেন তিনিই লীডার৷ এর বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়---যিনি পথ দেখিয়ে এগিয়ে নিয়ে চলেন৷) অবশ্য আজকাল ক্যাপিটালিজম, ম্যাটারিয়ালিজম আর কোন কোন ক্ষেত্রে ব্রুটালিজ্‌ম তথা রাউজিয়ম-এর দৌরাত্ম

পুতিনের ইউক্রেন আক্রমণের  বিরুদ্ধে যাঁরা রুখে দাঁড়িয়েছেন তাঁদের প্রতি  ভারতবাসীগণ কৃতজ্ঞ

নিরপেক্ষ

ভারত যুক্তরাষ্ট্র জনসংখ্যাতে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ৷ কিন্তু গণতান্ত্রিক বৃহত্তম রাষ্ট্র হিসাবে স্বাধীনতার পর এই সমস্যা সংকুল পৃথিবী গ্রহে কতটুকু ছোট ছোট রাষ্ট্রগুলিকে সাহায্য করতে পেরেছে?

ধর্ম ও ধর্মমত

প্রাউট দর্শনের প্রবক্তা  মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার (যিনি ধর্মগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী রূপে সমধিক পরিচিত) সুস্পষ্টভাবে বলেছেন---ধর্ম ও রিলিজিয়ন সমার্থক নয়৷ রিলিজিয়নের আরবিক প্রতিশব্দ মজহব৷ কিন্তু ধর্মের প্রতিশব্দ ইমান৷ ধর্ম মানুষকে যুগে যুগে ঐক্যসূত্রে আবদ্ধ করার বাণী প্রচার করেছে৷ ধর্মমত (রিলিজিয়ন) যেখানে সংখ্যায় অনেক, ধর্ম সেখানে মাত্র একটি---মানুষের অসীমকে পাওয়ার এষণা৷ ধর্ম বৈবহারিক জ্ঞান ও যুক্তিসিদ্ধ বিশ্বাসের ওপর প্রতিষ্ঠিত৷ এতে রয়েছে পারমার্থিক সত্যোপলব্ধির যুক্তিসঙ্গত প্রচেষ্টা৷ তথাকথিত ধর্মমত বা রিলিজিয়নগত সঙ্কীর্ণতা, কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাস তথা ডগমা বর্তমানে রাজনীতির ক

শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে চাই  অর্থনৈতিক কাঠামোয় আমূল পরিবর্ত

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

অর্থনীতির অর্থ---ধনের বা সম্পদের ব্যবহারিক নিয়ম৷ সেই নিয়ম  এমন হওয়া উচিত যাতে বিশ্বের সকল মানুষ তথা সকল জীবের অস্তিত্ব সুরক্ষিত হয়৷ মহান দার্শনিক প্রাউট প্রবক্তা শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকারের ভাষায় ‘‘অর্থনীতি হবে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ও প্রয়োগভৌমিক বিজ্ঞান, আর একে বিশ্বের সর্বস্তরের মানুষ, সর্বজীবের  তথা সর্ব অস্তিত্বের সার্বিক কল্যাণের স্বার্থে বিকশিত হতে হবে৷’’

দধীচি দিবসের তাৎপর্য

মনোজ দেব

শাসকের রক্তচক্ষুর কাছে মাথা নত করে নয়, নেতা মন্ত্রীদের তোয়াজ তোষামোদ করে নয় জামালপুরের ছোট্ট একটা রেল কোয়ার্টার্স থেকে আনন্দমার্গ বিশ্ব সংঘটন হয়ে ওঠার পিছনে আছে বহু কর্মীর ত্যাগ তিতিক্ষা আত্মত্যাগের ইতিহাস৷ দুর্জয় সাহসে ভর করে সমস্ত বাধা-বিপত্তি দু’পায়ে দলে এগিয়ে চলার ইতিহাস৷ ১৯৬৭ সাল, বাঙলার ইতিহাসে এক সন্ধিক্ষণ৷ কংগ্রেস দলের ভাঙনকে সহায় করে বাঙলার রাজনীতিতে জড়বাদী কমিউনিষ্টদের উত্থান৷ খণ্ডিত কংগ্রেসের এক অংশের সঙ্গে জোট বেঁধে প্রতিষ্ঠিত হ’ল যুক্তফ্রণ্ট সরকার৷ বিরোধী অবস্থানে থেকে যে কমিউনিষ্টরা এত দিন উন্নয়নের বুলি কপচে গেছে, যুক্তফ্রণ্ট সরকারে তারা কোনও উন্নয়নমুখী দপ্তর চায়নি, স্বরাষ্ট্র

মহিলা মহল

একর্ষি

পূর্ব প্রকাশিতের পর

সত্তাগত সমতায় পুরুষের মতই নারীর মধ্যেও প্রভুত সম্ভাবনা লুকিয়ে রয়েছে৷ নারী ও পুরুষের মধ্যে প্রাকৃতিক ও দেহসংরচনাগত বৈশিষ্ট্যের ক্ষেত্রে পার্থক্য সমমৈত্রীভিত্তিক সহযোগিতাকেই (কো-অর্‌ডিনেটেড্‌ কো-অপারেশন) প্রশস্ত করে৷ কিন্তু বাস্তবটা ভিন্ন সেখানে প্রভু-ভৃত্য সম্পর্কসুলভ সহযোগিতা (সাব-অর্‌ডিনেটেড্‌ কো-অপারেশন) চলে আসছে মহাভারতের যুগের পর থেকে৷ এটা ভয়াবহ আকার ধারণ করে ব্রাহ্মণ্যধর্মের  যুগে এবং এরই প্রভাবে পরেও৷