প্রবন্ধ

মাইক্রোবাইটামের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

শ্রীসমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

মাইক্রোবাইটাম আবিষ্কারক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার মাইক্রোবাইটাম সম্পর্কে বহু তথ্য দিয়েছেন৷ এই তথ্যগুলির মধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে আলোচনা করা হ’ল৷

(১) অতীতে পজেটিব মাইক্রোবাইটার বিরাট প্রয়োজন হয়নি৷ এই প্রথম সাধারণ মানুষের আধ্যাত্মিক প্রগতির জন্য মাইক্রোবাইটামকে প্রয়োগ করা হচ্ছে৷ বলা বাহুল্য এই পজেটিভ মাইক্রোবাইটামের ব্যাপক ব্যবহার পৃথিবীর বুকে প্রথম প্রয়োজন ও ব্যবহার করার জন্য শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার বলেছেন৷

নোতুন পৃথিবী গড়তে প্রাউটের  আহ্বান

প্রাউটিষ্ট

মানুষ নিছক উদর সর্বস্ব জীব বিশেষ নয়৷ মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠতম প্রাণী৷ কারণ একমাত্র মানুষই পারে এই বিশ্বের সৃষ্টি রহস্য জানতে৷ তার সূক্ষ্মতম মানসিক বিকাশের মাধ্যমে৷ অন্য কোন প্রাণীর সেই সামর্থ নেই৷ তবে সঞ্চর ও প্রতিসঞ্চর ধারার মাধ্যমে যে সৃষ্টি প্রবাহ চলে তার প্রথম ও শেষ কথা হ’ল--- আমরা যথা হতে আসি তথায় ফিরিয়া যাই৷ সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্মতম সত্তা থেকে সঞ্চর ধারার স্থূল থেকে স্থূলতম সত্তায় রূপান্তরিত হয়ে সৃষ্টি চলেছে৷ সেই এক কোষি প্রাণী থেকে আরম্ভ করে এর অগ্রগতি, তাই জীবজন্তু, গাছপালা থেকে আরম্ভ করে ধীরে ধীরে এই মানুষের সৃষ্টি৷ মানুষ মন প্রধান জীব হিসেবে নিজেকে জানতে চায়৷ আর সেই জানার আকাঙ্খাতে সেই

প্রাউটের ঐতিহাসিক প্রাসঙ্গিকতা

আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত

মানব সভ্যতা আজ এক চরম সংকট মুহূর্ত্তে এসে উপনীত হয়েছে৷ মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয়,  সামাজিক অবিচার, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত  অমনোবৈজ্ঞানিক শিক্ষা ব্যবস্থা, সংস্কৃতির নামে বেলেল্লাপনা, ধর্মীয় মৌলবাদ, অর্থনৈতিক বৈষম্য,  অসহ্য দারিদ্র্য,  লাগাতার অনাহার,--- এককথায সার্বিক অবক্ষয় মানব সমাজের গতিকে রুদ্ধ করেছে ৷ অজগরের মতো সমগ্র মানব সমাজকে  আষ্টে -পিষ্টে জড়িয়ে ফেলেছে৷ হিংসায় উন্মত্ত পৃথিবী,  সারা বিশ্বজুড়ে তাই যুদ্ধের এত রণহুঙ্কার, স্বার্থের  এত সংঘাত, মানবরূপী দানবদের  এত আস্ফালন !

উন্নয়নের স্বার্থে গ্রামবাঙলার অতীত নিদর্শন তুলে ধরে পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে হবে

প্রবীর সরকার

রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন–‘ঘর হতে দুই পা ফেলিয়া/ দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া/একটি ধানের শিষের উপর/ একটি শিশির বিন্দু৷’

সভ্যতার আদিবিন্দু রাঢ়ের কেন্দ্রবিন্দু আনন্দনগর

প্রভাত খাঁ

পশ্চিম বাঙলায় পুরুলিয়া জেলা নোতুন করে অন্তর্ভূক্তির আগে বিহারের ছোটনাগপুর ডিভিশনের অন্তর্ভূক্ত ছিল৷ পুরুলিয়ার পূর্ব নাম ছিল মানভূম৷ মানভূমের সদর মহকুমা ছিল পুরুলিয়া বা পুরুল্যে৷ ১৯৫৬ সালে এই জেলা ঘটিত হয়৷ খ্রীষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীতে জৈন ধর্মের ২৪তম তীর্থঙ্কর মহাবীর এখানে এসেছিলেন৷ এটি বজ্রভূমির অন্তর্ভূক্ত ছিল৷ কুর্মি, ভূমিজ, বাউরি, কোবা, মাহালি, মুণ্ডা এই স্থানের আদিবাসী পরে সাঁওতাল জনগোষ্ঠী এই জঙ্গলাকীর্ণ এলাকায় এসে বাস করে৷ ধীরে ধীরে তারা এই এলাকার মানুষ হয়ে যায়৷ পুরুলিয়ায় বা পারুল্লা (পুরুল্যে) এর আদি অর্থ হ’ল পাথুরে ডাঙ্গার মধ্যে অবস্থিত  গ্রাম৷ আর মুণ্ডা বা মোড়ল হ’ল গ্রামের কর্তা৷ মান

তত্ত্বকথার কচকচানি ছেড়ে  অর্থনীতিকে বাস্তবমুখী হতে হবে

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

প্রাউট প্রবক্তা পরমশ্রদ্ধেয় শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার –তাঁর অর্থনৈতিক তত্ত্ব প্রাউট তৈরী করতে গিয়ে বলেছেন–‘‘আজ অর্থনীতি বস্তাপচা তত্ত্ব কথার কচকচানি ছাড়া আর কিছুই নয়, একে অধিকতর বাস্তবমুখী করতে হবে৷’’

দুর্ভাগ্যের বিষয় স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত দেশের কোন সরকারই সর্বস্তরের মানুষের সার্বিক কল্যাণের  কথা চিন্তা করে কোন বাস্তবমুখী অর্থনৈতিক পরিকাঠামো গড়ে তুলেনি৷ আসলে কোন রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গড়ে তুলতে হলে রাষ্ট্রের ভূগোল,ইতিহাস, সমাজ ব্যবস্থা ইত্যাদি বিষয়ে যে সম্যক জ্ঞান থাকা প্রয়োজন তার বড়ই অভাব দেশে

মানব দেহের বিভিন্ন চক্রগুলির সহিত মাইক্রোবাইটামের সম্পর্ক

শ্রীসমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

সাধক-দেহে বিভিন্ন গ্রন্থি-উপগ্রন্থিতে পজেটিব্‌ মাইক্রোবাইটামের মাধ্যমে পরমপুরুষ (সদ্‌গুরু) সাধকের ওপর শক্তিসম্পাত করেন৷ মূলাধার চক্র থেকে সহস্রার চক্র পর্যন্ত যোগ-মনস্তত্ত্বের চারটি পর্যায় বা স্তর রয়েছে৷ এরা হ’ল ---

(১) ভৌতিক স্তর (physical stratum)

মূলাধার থেকে মণিপুর পর্যন্ত অর্থাৎ মূলাধার, সাধিষ্ঠান ও মণিপুর ---এই তিনটিকে একসঙ্গে বলা হয় ভৌতিক স্তর৷

(২) ভৌতিক মানসিক স্তর (physio-psysicological stratum)

মণিপুর হতে বিশুদ্ধ চক্র পর্যন্ত হ’ল ভৌতিক মানসিক স্তর৷

(৩) মানস-আধ্যাত্মিক  স্তর (physio spiritual stratum)

অর্থনৈতিক শোষণ থেকে বাঁচাতে পারে প্রগতিশীল সমাজতন্ত্রের প্রাউট দর্শন

প্রভাত খাঁ

দীর্ঘ ৭০ বছর পরেও আমাদের ভাবতে হচ্ছে যে স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়েও দেশের সিংহভাগ মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যে পাঁচটি জিনিষের অত্যধিক প্রয়োজন, তারা পাচ্ছে না৷ আজও অনেকের ক্ষুধা নিয়ে জন্ম হচ্ছে পথে ঘাটে, আর মরতে হচ্ছে সেই পথে ঘাটে অবহেলিত পশু- পক্ষীদের মত৷  পাশাপাশি ভারতের মত বিরাট দেশে যৎসামান্য মুষ্টিমেয় কিছু ধনী ভাগ্যবানরা দেশের সম্পদের সিৎহভাগের মালিক৷

বিকেন্দ্রিত অর্থনৈতিক পরিকল্পনার মাধ্যমে গ্রামকে স্বনির্ভর করতে হবে

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

স্বাধীনতারপর সাত দশক পার হয়ে গেলেও সর্বসাধারণের সার্বিক কল্যাণের স্বার্থে, সামগ্রিকভাবে দেশের হতদরিদ্র মানুষের উন্নয়নের জন্যে কোন বলিষ্ঠ ও বাস্তবমুখী অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গড়ে ওঠেনি৷ এর একমাত্র কারণ ভারতবর্ষের রাজনীতি, অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করে দেশীয় পুঁজিপতিরা, অর্থনীতিবিদ্‌ ও নেতারা শিখণ্ডী মাত্র৷