প্রবন্ধ

ঈশানকোণে মেঘের আনাগোনা

হরিগোপাল দেবনাথ

রাজ্যে আবার অপহরণের রাজনীতি শুরু হয়েছে৷ সম্প্রতি উত্তর ত্রিপুরা জেলার দামছড়ার জয়রাম পাড়া  থেকে সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দা পঁয়ত্রিশ বছরের জনৈক লিটননাথকে দুষৃকতিকারীরা অপহরণ করে নিয়েছে৷ আজ পর্যন্ত পুলিশ কর্তৃপক্ষ অপহৃতের কোন খোঁজ পান নি৷ তাই, অপহৃতের তিনকন্যা ও কোলের শিশুপুত্রসহ পত্নী ও অন্যান্য পরিবাব -পরিজনেরা যথেষ্ট উদ্‌বেগের মধ্যেই দিন কাটাচ্ছেন বলে দৈনিক খবরের কাগজের পৃষ্ঠায় দেখতে পেলুম৷ কাজে কাজেই এ থেকে রাজ্যবাসীদের কেউ কেউ উদ্বেগ যে বোধ করছেন না তা নয়৷ ফেস-বুকের  মাধ্যমে ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটনের উদ্বেগের কথা ও প্রশাসনের কাছে তাদের মতামত ব্যক্ত করার কথা প্রকাশ পেয়েছে৷ কিন্তু, এতে প্রশাসনের

প্রাউটের আলোয় পৃথিবীতে বিশ্বায়ণ প্রতিষ্ঠার কর্মে এগিয়ে চল সকলেই

প্রবীর সরকার

মহান দার্শনিক শ্রদ্ধেয় প্রভাতরঞ্জন সরকার সারা পৃথিবীর আর্থিক তথা সামাজিক উন্নয়নের জন্য যে আর্থিক ও সামাজিক দর্শন দেন ও যেটি মূলতঃ সুপ্রাচীন ভারতের অধ্যাত্মবাদের উপর প্রতিষ্ঠিত সেই মহান দর্শনের বাস্তবায়নেই পৃথিবীর সকল সমস্যার সমাধান সম্ভব৷ তাই সেই দর্শনকে যাঁরা শিরোধার্য করে সারা পৃথিবীতে প্রগতিশীল সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় ও প্রতিটি সমাজ আর্থিক, সামাজিক দিক থেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠতে পারে তারই ব্যাপক প্রচারে মিশনারী কর্মে সক্রীয় তারাই প্রাউটিষ্ট৷ সেই সমাজগুলিই সম্মিলিতভাবে জাগ্রত নব্যমানবতাবোধে উদ্ভুব্ধ হয়ে বিশ্বায়নের পথে অগ্রসর হয়ে এক মানবসমাজ ঘটনে সফল হয়ে উঠবে৷ তাই বলা হয় আঞ্চলিকতার পথ ধর

সময়োচিত কিছু কথা

বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায়

দুরদর্শনের বিভিন্ন বাংলা চ্যানেলে বিনোদনের জন্য নানান ধরনের অনুষ্ঠান হয়ে থাকে৷ এর মধ্যে ধারাবাহিক ছাড়াও সঙ্গীত, নৃত্যের বিভিন্ন অনুষ্ঠান বেশ জনপ্রিয়৷ দর্শক সংখ্যা বেশ ভালোই৷ বয়স্ক-বয়স্কারা ছাড়াও অন্যান্য বয়সের পুরুষ---মহিলারাও এইসব অনুষ্ঠানের নিয়মিত দর্শক৷ বিভিন্ন বাংলা চ্যানেলে মাঝে মধ্যেই সঙ্গীতের অনুষ্ঠান বা প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে৷ আর এই সঙ্গীতানুষ্ঠান বা প্রতিযোগিতা যাই হোক না কেন সেই বিষয়ে কারও কোনো আপত্তি থাকতে পারে বলে মনে হয় না৷ আপত্তি উঠছে অন্য কারণে৷ বাংলার অধিবাসী অর্থাৎ বাঙালী হিসেবে অনেকেই মনে করেন বাংলার চ্যানেলগুলোতে বাংলা গানের উপর কী প্রতিযোগিতা বা সাংসৃকতিক অনুষ্ঠান করা সম্ভ

দেশ বিক্রি হয়ে যাবে নাতো?

এইচ.এন. মাহাত

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাজে নাগরিকদের সুস্থ শারীরিক,মানসিক ও আধ্যাত্মিক উন্নতি ও বিকাশের কোনো নীতিমালা নেই৷ তাই তারা দেশকে দেশীয় ও বিদেশী পুঁজিবাদের কাছে বিক্রয় করে দিচ্ছে৷ কিন্তু কেন?

গণতন্ত্রে স্বৈরাচারিতার স্থান নেই ---জনগণই জবাব দেবে

প্রভাত খাঁ

আজ দীর্ঘবছর হয়ে গেল ভারতের মতো কোটি কোটি মানুষের দেশে চরম আর্থিক ও সামাজিক দিকে আকাশ পাতাল বৈষম্য  অদ্যাবধি কিছুটা নিরসন হল না তার সদুত্তর যাঁরাই শাসনে আসছে তাঁরাই দিতে সক্ষম হচ্ছে না কেন? এর উত্তর খুঁজতে হবে সেই অতীতকালে যখন দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন শুরু হয় সেই সময় থেকে অদ্যাবধি যাঁরা শাসনে এসেছেন তাঁদের বিষয়ে নিরপেক্ষ সমীক্ষা করা৷ এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনের সূত্রপাত হয় সেই অখণ্ড বাংলায় যার রেস সারা ভারতে ছড়িয়ে পড়ে৷

‘‘গণিত চর্চায় মহর্ষি কপিল’’

শ্রী সমর ভৌমিক (শিক্ষক)

আজকে প্রবন্ধের বিষয় হ’ল মহর্ষি কপিলকে নিয়ে৷ মহাভারতের শ্রীকৃষ্ণের যুগের সমসাময়িক মানুষ ছিলেন মহর্ষি কপিল৷ যে সময়ে মহর্ষি কপিল জন্মে ছিলেন, সে সময় ছিল আধ্যাত্মিক শিক্ষা, ছিল পুস্তক কিন্তু ছিল না কোন সুসঙ্কলিত দর্শন৷ ঠিক এমনি এক সময়ে সর্বপ্রথম মহর্ষি কপিলই সুসঙ্কলিত দর্শন রচনা করে মানব সমাজকে উপহার দিয়েছিলেন৷ পৃথিবীর প্রথম দর্শন সৃষ্টি হয়েছিল এই ভারতবর্ষের মাটিতেই৷ পৃথিবীর প্রথম ও প্রাচীনতম দর্শন হ’ল মহর্ষি কপিলের দর্শন৷

আদর্শ গ্রামোন্নয়ণের ভাবনা বিশ্বভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠার সোপান

আচার্য রবীশানন্দ অবধূত

আনন্দপূর্ণিমা ধর্ম মহাসম্মেলন সবেমাত্র শেষ হলো৷ গ্রামের মার্গীদের সুখ দুঃখের  কাহিনীর কথা শুনছিলাম৷ সেটা ২০০৯ সালের জুন মাস, তখনও আনন্দনগর অঞ্চলে বৃষ্টির হদিস নেই৷ সকাল নয়টার পর ঘর থেকে বেরোলে শরীর যেন ঝলসে যায়, জিব শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায়৷ এই তীব্র দাবদাহের পরিবেশে দু’তিন জন মার্গী বলছিলেন যে, ওদের পানীয় জলের কোন ব্যবস্থা নেই৷ গ্রামের কুয়োগুলো আরও একমাস আগেই শুকিয়ে খাঁ খাঁ করছে, ওদেরকে এক কলসি জল আনতে আসা যাওয়ায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তা ভেঙে গলা ভেজানোর ব্যবস্থা করতে হয়৷

মীরজাফর যুগে যুগে

এইচ.এন.মাহাত

বাঙালী জাতিসত্তাকে ধবংস করে দিতে চায় এমনি একটি দলের সঙ্গে গিয়ে সদ্য ভিড় করেছেন বাঙালীর এক নব্য মীরজাফর৷ তিনি সেই দলে নাম লিখিয়ে বলছেন--- আগে আমি ভারতীয় তারপর বাঙালী৷ খুব ভালো কথা, আপনি আপনার জন্মদাত্রী মাতাকে একটু জিজ্ঞেস করুন না--- তাঁর মাতৃভাষা কী ভারতীয়? ভারতীয় বলে এদেশে কোন ভাষা কী আছে?

সদ্‌ গুরুর মহিমা

সুভাষ প্রকাশ পাল

সারা বিশ্বে করোনার বিজয়রথ দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে, কেউ তার গতিরোধ করতে সক্ষম হয়নি, ভারতবর্ষও তার ব্যতিক্রম নয়৷ আক্রান্ত দেশ যেমন ব্রাজিল, কানাডা, আমেরিকা, ইতালি প্রভৃতি দেশ থেকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে ভারতবর্ষও তার দেশে লকডাউন পর্ব শুরু করল ২২শে মার্চ থেকে৷ তার আগে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ঘোষনা করেছে ১৫ই মার্চ থেকে সমস্ত সুকল-কলেজ (শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান) বন্ধ থাকবে, বাস, ট্রাম, ট্রেন, বিমান ইত্যাদি সর্বপ্রকার যানবাহন বন্ধ৷ আমরা সাধারণতঃ একদিন বা দুদিনের  বন্ধ দেখেছি, কিন্তু বিগত পঞ্চাশ বছরে ইতিহাসে একটানা মাসাধিক কাল একটা দেশের হাটবাজার,শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান,যানবাহন, ব্যবসা বানিজ্য সবকিছু বন্ধ আছে---এরকম অভি

প্রকৃত আদিবাসী বা ভূমিপূত্র কারা?

হরিগোপাল দেবনাথ

বিগত শতকের প্রায় মধ্যভাগ থেকেই এরাজ্যে ‘আদিবাসী’  ‘ ভূমিপুত্র, ‘ইন্ডিজেনাম’ আর ‘উদ্বাস্তু বা রিফিউজি’, ‘বিদেশী’ বা ‘ফরেনার’ অনুপ্রবেশকারী বা ‘ঘুষ পেটিয়া,‘আশ্রিত’‘শরণার্থী’--- ইত্যাদি বিশেষণগুলো নিয়ে জল এতটাই ঘোলা হয়ে চলেছে যে, সেই ঘোলা জলরাশি যদি সবটাই রাজ্যের নদী-ছড়ায় বাহিত হয়ে গিয়ে  বঙ্গোপসাগরে তো বটেই, এমনকি ভারত মহাসাগরেও গিয়ে ঠাঁই নিত, তাহলেও বোধ হয়, উপসাগর কিংবা মহাসাগরের জলের রঙবদলও ঘটে যেতে পারত৷ আসলে, বর্ণহীন জল সে বরফগলা জলই হোক কিংবা বৃষ্টির জল, মাটিতে নেমে আসার পর গলিত মাটির ছোঁয়া লেগেই রঙধারণে বাধ্য হয়ে পড়ে৷ আর রঙযোগানো জলরাশির কিছুটা বাষ্পাকারে বায়ুতে উঠে যায় আর কিছুটা তলানিরূ