হায়রে, ধান্দাবাজদের ধান্দাবাজি!

লেখক
নিরপেক্ষ

বিভিন্ন মতাদর্শ যেগুলিকে আশ্রয় করে বিভিন্ন দল তৈরী হয় সেগুলির যাঁরা প্রথম দিকে অত্যন্ত নিষ্ঠা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে ঘটন করেন তাঁরা সেগুলিকে  তাঁদের জীবনে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ধরে থাকেন কিন্তু দেখা যায় তাঁদের গত হওয়ার পর যাঁরা তাতে যোগদান করেন পরবর্ত্তীকালে তাঁদের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন মত পার্থক্যের দরুণ সেই দলে ভাঙ্গন ঘটে৷ তার ফলে মূল দল ভেঙ্গে দলছুট দল ঘটন হয়৷ কিন্তু সেই দলছুট দলের যিনি প্রধান সেই ব্যষ্টির প্রাধান্যটাই সেই দলকে বাঁচিয়ে রাখে সেখানে মতাদর্শটা গৌণ হয়ে যায়৷ এটাই দলছুট দলগুলোর  একটি  প্রধান ত্রুটি৷ তাই দেখা যায় দলছুট দলগুলি বেশী দিন বিশেষ ব্যষ্টি কেন্দ্রীক দল হয়ে বাঁচতে পারে না৷  তাঁদের জীবনেই দল টুকরো টুকরো হয়ে পড়ে৷ আপেক্ষিক জগতে এটাই হলো দলভাঙ্গনের মূল কারণ৷ এই প্রতিবেদনের অবতারণার উদ্দেশ্য হলো বর্ত্তমানে অধিকাংশ দল রাজনৈতিক অরাজনৈতিক সমাজসেবী  সবক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে যে অধিকাংশ সংঘটন ভাঙছে, তাতে  সমাজ জীবনে  বিভিন্ন দিকে এক দারুণ অস্থিরতা বাড়ছে ও নানাধরণের সমস্যার  পাহাড় জমছে৷ অবিশ্বাসের প্রচণ্ড দাপটে সমাজ একেবারে ভেঙ্গে যাচ্ছে৷ মানুষ প্রচণ্ড চঞ্চল হয়ে পড়ছে৷ কেউই কিছু জীবনে  বেশী দিন আঁকড়ে থাকতে পারছে না৷

বিশ্বাস ও একাগ্রতাটাই চলে যাওয়াতে চঞ্চল মানুষের মন দল ভাঙ্গা ভাঙ্গীতে ও মত বিরোধিতায় মত্ত  হয়ে অনেক  কিছুই হারিয়ে বসেছে৷ অশুভ শক্তির এক তাণ্ডব চলছে৷ সাধনা ও নিষ্ঠা শূন্যে মিলাচ্ছে৷

আজ আমাদের কাছে যেটা বেশী চোখে পড়ছে সেটা হলো ছলছুট রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে প্রচণ্ড দলভাঙ্গাভাঙ্গীর এক অশুভ দৃষ্টান্ত৷ দল তৃণমূল স্তর থেকে গড়তে ও তাকে জনসামনে বিশ্বাস স্থাপন  করতে  যে ভয়ংকর কঠোর ত্যাগ ও নিষ্ঠার প্রয়োজন সেটার দিকে না থাকালে উঠতি নেতানেত্রীগণ নানা প্রলোভন লোভ দেখিয়ে এমনকি টাকা দিয়ে দলভাঙিয়ে দলকে  বড়ো করে৷ তাছাড়া যাদের অর্থ আছে তারা অর্থ দান করে ঐসব দলছুটের দলগুলিতে প্রাধান্য বিস্তার করে থাকে৷ বিশেষ করে নির্বাচনে টিকিট পেতে৷ হয়তো অনেকের এ বিষয়ে  কোন অভিজ্ঞতা জ্ঞানই নেই৷ রাজনীতির কোন সম্পর্কই তার জানা নেই তবু খোঁটার জোরে মেড়া নাচে’’ এই প্রবাদের কারণে প্রচারেরই তারা একধাক্কায়  নির্বাচনে জিতে বড়ো পদ পেয়ে শাসনের  গুরুত্বপূর্ণ আসনে বসে৷ তাতে দেশের যে কতো বড়ো ক্ষতি হয় সেটা হতভাগ্য দেশবাসী বোঝেন আর দল হাড়ে হাড়ে টের পায়৷ পরিণামে  যা হবার তাই হয়৷ লোকচক্ষে চরম বদনামটাই জোটে, সেটা আজ পদে পদে  দলগুলির ভাগ্যে জুটছে আর দল ধবংস হচ্ছে ও বদনামের ভাগী হচ্ছে৷ বিশাল দেশ চরম দুর্নীতিতে, চরম প্রশাসনিক  ব্যর্থতায় পরিহাসের পাত্র হচ্ছে৷ কিন্তু  দুষ্টের ছলের অভাব নেই, আর গণ্ডায় গণ্ডায় মিথ্যা প্রতিশ্রুতির  ও খামতি নেই৷ সেই  অস্ত্রে  ছল বল কৌশলে নেতারা সবদিক ম্যানেজ করছেন৷  লোকও জানে এঁরা  সব ভয়ংকর মিথ্যাচারী ও রাজনৈতিক  ভণ্ডামীতে ওস্তাদ৷ দলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যটা কি সেটা বলার প্রয়োজন  হয় না তাঁদের৷ তাঁরা বিরোধীদের কুৎসা রটাতে ও জনমানসে অপদস্ত  করতে সদাব্যস্ত৷ জ্যান্ত মাছে পোকা পড়াতে  তাঁদের মতো  জুড়িদার মেলাভার! আর প্রচার যন্ত্রতো বসেই আছে সে সব তিলকে তাল করে  জন সমাজে ছড়াতে৷ তবে মানুষও সচেতন আগের অনেক বেশী তাঁরা এ কোন দিয়ে শোনে আর ও কান দিয়ে বের করে দেয়৷ তাঁরা অনেক সচেতন আগের চেয়ে কারণ ঝুরি ঝুরি মিথ্যার যে কোন মূল্য নেই, সেটা বুঝে ফেলেছেন দীর্ঘ বছরে নোংরা দলতন্ত্রের অসারতা ও অপপ্রচারে৷ তাই নেতাজী দেশের সার্থক দেশ নেতা ছিলেন,  তাঁর আমলে ইংরেজের রাজত্বে সংবাদপত্র বিশেষ একটি যা সংবাদ দিত তা পড়ে তিনি মন্তব্য করতেন,কাগজের মিথ্যা সংবাদ পড়েই তিনি উক্তি করতেন  তাহলে কিছুতো কাজ করছি৷’’ ওদের কাজ ওদের করতে দাও৷ তাই ফাঁকি  মেরে নেতা সেজে দেশটাকে আর ধবংস করার কাজে ধান্দাবাজরা থামুক৷

মহাকাল উচিত  শিক্ষাটাই  দেবেন৷ বেশী ওস্তাদি তিনি সহ্য করেন না৷ তাই ওস্তাদের মার জীবনের শেষের দিকে যাকে বলে “শেষ রাতের মার,’’ তাই মন্ত্রী হয়ে শেষে রাস্তার থালা বিক্রেতা হতে হয়৷ এটি এক ইংরেজ-  কবির মন্তব্য৷