ইউ এন ও কে বর্তমান বিশ্বে চীনের আগ্রাসী নীতি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রন করতে হবে মানবতা রক্ষায়

লেখক
প্রভাত খাঁ

পৃথিবীর বয়স হয়েছে কয়েক লক্ষ বছর৷ আর মানুষ এসেছে সুপ্রাচীনকালে কিন্তু সবার শেষে৷ এসেছে একটা স্নায়বিক সেল৷ তার সাথে সাথে ধীরে ধীরে এসেছে সেই জলজ ক্ষুদ্রতম প্রাণী৷ তারপর গুল্ম জাতীয় গাছপালা, জীবজন্তু পরে পরিবর্ত্তনের  ধারা বেয়ে মানুষ মেরুদণ্ডী প্রাণী এসেছে৷ তাদের বোধবুদ্ধি  ও হতে হাজার হাজার বছর লেগেছে৷ সংগ্রাম করে এগিয়ে আসতে হয়েছে মানুষকে৷ এরমধ্যে ১৫/২০ হাজার বছর আগে কিছুটা সভ্যতা বলতে যা বলা হয় তার উন্মেষ হয়৷ তাও এক সঙ্গে নয়৷ ত্রিভুজাকৃতি এই যে ভারতবর্ষ তারই কোলে গণ্ডয়ানা ল্যাণ্ডের পূর্ব দিকে  মানব সভ্যতার বিকাশ ঘটে প্রথম দিকে৷ তবে  এ ব্যাপারে  নানা মুনির নানামত আছে৷ কেউ কেউ বলেন পিকিং ম্যানরাই নাকি মানুষের আদি মানুষের উৎস৷ মহান দার্শনিক শ্রদ্ধেয় প্রভাতরঞ্জন সরকার বলেন সভ্যতার আদি বিন্দু রাঢ়৷ গণ্ডোয়ানার অন্তর্গত৷ যাই হোক আজকের মানুষ অনেক উন্নত ও সচেতন৷ ভৌগোলিক আবিষ্কার বিজ্ঞানের উন্নতি  বিশেষ করে  বিদ্যুতের  উদভাবনে মানুষ অনেক খানি  এগিয়ে এসেছে৷ কিন্তু  দুঃখের  কথা হলো আজও  সেই সুন্দর মানবসমাজ গড়ে ওঠেনি৷ আর সেই  মানবিক মূল্য বোধও ঠিক মতো  বিকশিত  হয়নি৷ এরপ্রতিবন্ধক হলো এক পৃথিবীর  কোন কোন রাষ্ট্রের  বিশেষ বিশেষ জনগোষ্ঠী নিয়ন্ত্রিত তারা আজও সেই হিংস, দ্বেষ লোভকে আশ্রয় করে চরম অত্যাচার শোষণ করে চলেছে এক সমবাায়ে এই পৃথিবী দুর্বল জনগোষ্ঠীকে৷ অত্যন্ত লজ্জার কথা আজও সেই সভ্য নাম ধারী  শাসকগণ ভিনরাজ্যের উপর শ্যেন দৃষ্টি  দিয়ে তাদের উপর নির্মমভাবে শোষণ চালিয়ে যাচ্ছে এই অত্যাধুনিক যুগেও৷ স্রষ্টা বিশ্ব প্রকৃতির মাধ্যমে নদনদী, পাহাড় পর্বত ও নানাভাবে বিভিন্ন গোষ্ঠীকে আলাদা আলাদা ভাগে গড়ে তুলেছেন৷  কিন্তু আক্রমণকারীরা প্রকৃতির বন্ধনকে অস্বীকার করে তাদের উপর আজ অত্যাচার করে তাদের  বাঁচার  স্বাধীনতাকে কেড়ে নিচ্ছে৷

অনেক লড়াইয়ের পর এই মানুষের মধ্যেই কিছু  মানুষ ধাক্কা খেয়ে বিশেষ করে শাসকগণ ইউ.এন.ও গড়ে তুলেছেন৷ কিন্তু তাকে সর্বদা দেননা৷ বিশেষ করে শক্তিশালী কয়েকটি রাষ্ট্র৷ তাঁরা দাদাগিরি করে থাকে৷ তাদের মধ্যে আমেরিকা ও চীন অন্যতম৷ আমেরিকার সেই বর্ণবৈষম্য আজও গেল না আর চীনের  সেই আগ্রাসী নীতি আজও গেল না৷  কিন্তু ইউ.এন.এওতে এই দুটি দেশ বেশী দাদা গিরি করে চলেছে৷ অনেক ব্যাপারে  জঘন্য বৈষম্যকেই সমর্থন  করে থাকেন৷ ইউ.এন.ওকে  আমেরিকা, ইংল্যাণ্ড, ফ্রান্স ,রাশিয়া ও চীন ‘ভেটো’ প্রয়োগের অধিকারী৷ এরাই শক্তিশালী রাষ্ট্র৷ তাহলে কল্যাণটা হবে কি করে? যুদ্ধের হিংসা দমনের জন্যই ইউ.এনও কিন্তু  সেটাই এখানে মাথা চাড়া দিচ্ছে৷ চীন সাম্রাজ্য বিচারে  ওস্তাদ৷ তিববতকে গ্রাস করেছে চীন, চীনের, এশিয়াতে চরম আগ্রাসী নীতি অশান্তির কারণ হয়ে উঠেছে৷ ইউ.এনওকে  লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে ছোট বড়ো  সকলদেশই যেন মানবতাকে মর্য্যাদা দেয়৷ সাদাকালোর ভেদ যেন মানবতাকে ছোট না করে৷ পঞ্চশীল নীতি হোক ইউএন.ও এর চলার পথের পাথেয়৷ একে রক্ষার দায় সব রাষ্ট্রেরই৷ এখানে দাদাগিরিটা যেন প্রবল না হয়৷  ইউ এন ওকে  কোন রাষ্ট্র হুমকি দিতে পারে না৷ সব রাষ্ট্রকে মান্যতা দিতে হবে ইউ এন ওকে৷

চীনের আগ্রাসী মানসিকতাকে পৃথিবী ধিক্কার জানাক৷ হিমালয়ের দক্ষিণে অগ্রসর হওয়াটা প্রাকৃতিক সীমানা লংঘনের অবৈধ নীতি৷ চীন সংযত হোক৷ এশিয়ার বড়ই চীন বাড়াবাড়ি  করছে৷ চীন লাদাখস নেপাল সিকিম, ভুটান, অরুণাচলে হাত বাড়াচ্ছে৷

এটা নির্লজ্জপনা তাছাড়া জোর করে ছোট দেশগুলোকে কবজা করছে ছলবল কৌশলে  সেটা বন্ধ হোক৷

লাদাখে,নেপালে, সিকিমে, ভুটান ও অরুণাচলে চীন বড়ই দৌরাত্ম করছে৷ এ সম্বন্ধে  ইউ এন ও সচেতন হোক৷ সারা পৃথিবী তীব্র প্রতিবাদ করুক৷ তাছাড়া অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ হোক৷  আজ পৃথিবী হতভাগ্য মানুষজন শতকরা ৬০/৬৫ শতাংশ তার চেয়ে বেশী হবে অর্দ্ধভুক্ত, আশ্রয়হীন, রোগগ্রস্থ, তাঁদের বাঁচার কথা সব দেশ ভাবুক৷ অস্ত্র প্রতিযোগিতা সৈন্য বৃদ্ধি আর আকাশ অভিযানে  অর্থব্যয় করাটাকে  রাষ্ট্রের অহংকার  ও আত্ম? কি প্রকাশ পায় না৷

আজ মানুষ, জীবজন্তু, গাছপালা এই পৃথিবীতে কিছু মানুষের  লোভে ধবংস হয়ে যাচ্ছে,তার কারণে পৃথিবীর পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে৷ বিভিন্ন রোগের শিকার হচ্ছে পৃথিবীর সম্পদ, মানুষ  জীবজন্তু ও গাছপালা৷ তাই অন্ধ জাতিয়তাবোধ ও সাম্রদায়িকতা থেকে মানুষ এর তৈরী  রাষ্ট্রগুলি কিছুটা  বেরিয়ে আসুক ও সবাইকে নিয়ে এক মানব সমাজ গড়ে তোলায় মনদিক৷ কারণ মানুষ মানুষ ভাই ভাই--- এটাই হোক বর্তমান পৃথিবীর একটি নারা অর্থাৎ শ্লোগান৷

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ভারতের  সংলগ্ণ লাদাকে হিমালয়ের পার্বত্য এলাকায় যে সব যাযাবর  গোষ্ঠী আছে  যাদের পশুপালনই হলো জীবিকা তাদের  উপর  সৈন্য দিয়ে কুকুর ও সৈন্য লেলিয়ে চারণভূমি  অধিকার  করে নিচ্ছে ও ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে জমি দখল করছে৷ যে সংবাদ লাদাকের নায়কেরা পঞ্চায়েৎ সদস্যা বার বার করে চলেছেন নাম শ্রীমতি উরগেন সেটা হলে চীনের ভারতের জমি কেড়ে নেওয়া সেটা ১১ই জুন ২০২০ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোষ্ট তিনিই করেন৷ তিনি ২০১৩ সালে চীন মে মাসে  ১৫০ টন ভারী মেশিন দিয়ে ভারতের সীমান্ত  কিভাবে রাস্তা করেছে তাও সোশ্যাল মিডিয়াতে জানান৷ কিন্তু  সীমান্তের জন্য কারোর মাথা ব্যথা তিনি  দেখেন নি৷ গালোয়ানে যে সংবাদ আমরা দেখেছি তা হলো চীন ভারতের ভূখণ্ডে প্রবেশই করেনি  কিন্তু ভারতীয় সৈন্য ২০ জন ও ক্ষটের অধিক আহত হলো  কি করে  তা আমরা জানতেও পারিনি৷ চীনের ক্রোধ হলো এই এলাকা ৩৭০ ধারা  পরিবর্ত্তন করে  কেন্দ্র  শাসিত করায় তাই তারা পাকিস্তানের  প্ররোচনায় এই  সব আক্রমন করে চলেছে৷ ভারতের সামনে চীন প্রচণ্ড সামরিক চাপ সৃষ্টি করেছে৷

শ্রীমতি উরগেন জনপ্রতিনিধি হিসাবে দাবীও করেছেন যে এটা ভারতীয় ভূখণ্ড৷ বিভিন্ন মহলের সেবা বিশেষ করে চীনাপন্থীদের  তিনি সে পোস্টও মুছে দেন৷

তাছাড়া ৩৭০ ধারা বলবতের পর যখন ঐসব অঞ্চল কেন্দ্রশাসিত হয় তখন থেকে ঐসব এলাকা যাতে স্থানীয় নাগরিক সীমান্ত রক্ষায় দাযিত্ব  দিয়ে তাঁদের  বোঝানো উচিত ছিল যে এটা তাঁদের জন্মভূমি৷ এ সরকার  কি সেটা করেছেন? মনে হয় করেন নি৷

তবে এই  শ্রীমতি উরগেন কিন্তু বিজেপির হয়েই নির্বাচিত হন৷ তাই ধন্যবাদ তাঁকে তাঁর পবিত্র দায়িত্ব জ্ঞানের প্রকাশে কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনী এতো কেন নীরব? চীন কোনকিছু ভারতের বন্ধু নয় এরা পাকিস্তানের দোসর৷ গণতন্ত্রে চির শত্রু হলেন চীন৷  চীনের জনগণকে অদ্যবধি সে দেশের সরকার গণতান্ত্রিক অধিকার দেয়নি৷ তাই সেখানেও জনগণ একদলীয়  শাসন শ্বাসরুদ্ধ হয়ে আছেন৷