জ্বর ও জণ্ডিসের উপকারী আনারস

লেখক
বিশেষ প্রতিনিধি

আনারস বিশ্বের অন্যতম সেরা ফল৷ পৃথিবীতে প্রায় ৯৫টি প্রজাতির আনারস চাষ হয়৷ পশ্চিমবাঙলার উত্তর দিনাজপুর ও দার্জিলিং জেলার সংলগ্ণ এলাকাতে এর বহুল চাষ করতে দেখা যায়৷ অসম, ত্রিপুরাতে আনারস চাষ একটি অর্থকরি ফসল৷ আনারসের পুষ্টিগুণ অতুলনীয়৷ এতে ভিটামিন এ, বি, সি, ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য পুষ্টির উপাদান রয়েছে৷ ১০০ গ্রাম আনারসে ০.৬ ভাগ প্রোটিন, শ্বেতসার ৬.২ গ্রাম, ০.১ ভাগ সহজপাচ্য ফ্যাট, ০.৫ গ্রাম খনিজ পদার্থ, ১২.০ গ্রাম শর্করা, ০.১১ গ্রাম ভিটামিন বি–১,০.০৪মি. গ্রাম ভিটামিন–২, ভিটামিন সি ২১ মি.গ্রা., ক্যালসিয়াম ১৮ মিলিগ্রা. ফসফরাস, ০.০২ গ্রাম ও ১.২ মিলিগ্রাম আয়রণ রয়েছে৷ এছাড়া প্রতি কেজি ফল থেকে ৫০০ ক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়৷ কাচা আনারস স্বাদে টক ও পাকা আনারস অম্লমধুর৷ আনারস খেলে জ্বর জ্বর ভাগ দূর হয়৷ শরীরের ব্যথা দূর করার উপাদানও আনারসের মধ্যে রয়েছে৷ আনারস কৃমি নাশক, কৃমি দূর করার জন্যে খালি পেটে সকালবেলা ঘুম থেকে খেলে ভাল৷ শরীরে কোন কারণে রক্ত জমাট বাঁধলে (শিরা, রক্তবাহী নালী) আনারস খেলে রক্তের জমাট বাধা দূর হয়৷ আনারস হূৎপিণ্ডের সঙ্গে রক্তও পরিষ্কার করে৷ এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকার ফলে জিহ্বা, তালু, দাঁত, দাঁতের মাড়িকে বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধকের কাজ করে৷ নিয়মিত আনারস খেলে ঠাণ্ডা লাগা, গলা ব্যথা, সাইনোসাইটিক জাতীয় অসুখ কমে যায়৷ এতে প্রচুর ক্যালোরি থাকার ফলে শরীরে শক্তি যোগায়৷ আনারস টাটকা খেতে হয়৷ আর তার ফলে জ্বর ও জণ্ডিসের রোগের উপশম হয়৷