জগৎ কল্যাণে আধ্যাত্মিক সাধনার বিশেষ গুরুত্ব আছে

লেখক
প্রভাত খাঁ

জন্মের প্রথম থেকেই সবাই শুনে আসছি যে সংগ্রামই জীবন৷ তাই এই সংগ্রাম হলো ঘরে বাহিরে৷ শরীরের মধ্য দিয়ে দৈহীক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক এই তিনটি ক্ষেত্রেই মানুষকে  সচেতন হতে হবে৷ শুধু তাই নয় আমরা যে স্থানে বাস করছি তার পরিবেশকেও এমনভাবে পরিষ্কার  ও পরিচ্ছন্ন করে রাখতে হবে যাতে আমরা  নানা রোগের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে সক্ষম হই৷ তাই  সংগ্রামই জীবন এই মহাবাক্য হলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ শরীরের মধ্যদিয়েই আমরা আমাদের সার্বিক বিকাশ ঘটাই তাই শরীরের মাধ্যমে সবকিছু  জাগতিক কাজ করার জন্য বলা হয় ‘‘শরীর মাধ্যমদ্বৈত মন্দির সাধনম্ স্থান, আহার, শুদ্ধ অর্থাৎ খাদ্যগ্রহণ করতে হয়৷ তা না হলে শরীর নষ্ট হয়ে যাবে৷ বর্ত্তমানে করোনা নামক এক অশুভ বাইরাস মানুষের শরীরের মাধ্যমে সংক্রামিত হয়ে মানুষের সমাজকে চরম বিপদের মধ্যে ফেলছে৷ তাই এই সংকট সময়ে মানুষের  সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একযোগে প্রতিরোধ গড়ে তুলতেই হবে যাতে মানুষ বেঁচে থাকতে পারে৷ তাই স্মরণে রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন যে শরীরের যত্ন নিতে হবে সবদিক থেকে৷ তারজন্য করনীয় হলো বিশুদ্ধ পানীয় জলগ্রহণ করা প্রয়োজন মতো কারণ শরীরের শতকরা ৭০ শতাংশ জল৷ আহার করতে হবে বিশুদ্ধ খাদ্য যা সহজপাচ্য শরীরের উপকার হয়৷ তামসিক খাদ্যগ্রহণ করা থেকে দূরে থাকতে হবে৷ নিরামিশ খাদ্যগ্রহণই কল্যাণকর৷  মানসিকও আধ্যাত্মিক উৎকর্ষ সাধনে ও শুভচিন্তা ভাবনার  বিকাশে আধ্যাত্মিক মহান জীবহিসাবে তাঁকে সেই সূক্ষ্মতম যে মহান সত্তা তাঁর সাধনায় রত হতেই হবে৷ তা না হলে এই পঞ্চভৌতিক জগতে স্থূল জড়ের আকর্ষণে জড় মানসিকতায় আবদ্ধ হয়ে জড়ত্ব প্রাপ্তি ঘটে যাবে৷ মনকে সকল কুসংস্কার থেকে মুক্ত করতে ও মানসিক বিকাশে ব্যাপ্তি ঘটাতে সেই বিরাটের ভাবনায় ভাবিত হয়ে সূক্ষ্মতম পজেটিভ মাইক্রোবাইটামকে মনোজগতে সৃষ্টি করতে হবে, যাতে নেগেটিভ মাইক্রোবাইটাম দেহ ও মনকে আক্রমণ করতে না পারে৷ তাই অশুভ মাইক্রোবাইটামের সঙ্গে সংগ্রাম করতেই শুভের সাধনা আবশ্যিক৷ আতঙ্কগ্রস্ত হলে চলবে না৷ কারণ এই পৃথিবী হলো কর্মক্ষেত্র আর এই শরীর এই পৃথিবীতে সুস্থভাবে বেঁচে থেকে সংগ্রাম করে  এগিয়ে চলার জন্যেই সৃষ্ট৷ জাগতিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক যে আবশ্যিক কর্মগুলি করতে হবে মানুষকে তারজন্য সেই ত্রয়ীর সার্থক বিকাশ  সাধনে ঐকান্তিকভাবে মনোযোগী হওয়াটাই হলো চরৈবেতি! চরৈবেতি! চরৈবেতি একমাত্র পথ৷ পরমারাধ্য বাবা এই মাইক্রোবাইটামের কথা উল্লেখ করে গেছেন৷ এটি হলো তাঁর আধ্যাত্মিক বিজ্ঞান তথা সূক্ষ্মতম বিজ্ঞানজগতে এক নবতম উদ্ভাবন৷ আধ্যাত্মিক জগতে সাধকমাত্রেই এই পজেটিভ মাইক্রোবাইটাম কীর্ত্তন সাধনার মাধ্যমে বৃদ্ধি করতে  সক্ষম যা সমগ্র বিশ্বের বুকে কল্যাণ আনবে৷