মানবতার কলঙ্ক পররাষ্ট্র  আক্রমণকারী চীন সরকারের সঙ্গে সকল সম্পর্ক  ছিন্ন করা উচিত

লেখক
প্রভাত খাঁ

চীন বর্তমানে এশিয়ার বুকে এক সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র৷ দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার বুকে তার লক্ষ্যই হলো ছোট ছোট রাষ্ট্রগুলিকে কব্জা করা, আর তাদের  অভ্যন্তরে প্রবেশ করে ছলবল কৌশলে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে তাদের উপর অর্থনৈতিক ও রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে তাদের স্বাতন্ত্রকে ধবংস করা৷ এইভাবে মানবিকমূল্যবোধকে খর্ব করে স্বৈরাচারী  কম্যুনিষ্ট  কায়দায় নির্মমভাবে শোষণ চালানো৷ ধণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা যা করে তার চেয়ে কম বিপদজনক নয় এটা৷

ভারত বহুভাষাভাষির জনগোষ্ঠীর দেশ ও বর্তমানে ১৩৩ কোটি মানুষের বাস৷ ভারত চিরকালই মানবিকমূল্যবোধকে ও অধ্যাত্মবাদকে মান্যতা দিয়ে এসেছে৷ তাই ভারতের বাহিরে ভারতের শাসকগণ কোনদিনই ব্যষ্টিজীবন ও সামাজিক জীবনবোধের উপর হাত বাড়ায়নি৷ বরং তাদের আত্মীক ও সামাজিক জীবনকে উন্নতই করে গেছে৷ দেশ জয়ের নেশা ভারতীয়দের পেয়ে বসেনি৷ ভারতের (ভারতবর্ষের) সর্বত্যাগী মানবতাবাদীরা আধ্যাত্মবাদকে প্রাধান্য দিয়ে মানসিক ও চারিত্রিক উন্নয়নের উপর জোর দিয়ে গেছেন চিরকাল৷ আজ ও ভারতের বিভিন্ন সমাজসেবামূলক সংঘটন সেই সুপ্রাচীনকালের অধ্যাত্মবাদকেই শিরধার্য করে দেশে  সমাজ কল্যাণে ও মানবিক মূল্যবোধের বিকাশের দিকে লক্ষ্য রেখেই প্রচার করে থাকেন৷  ভারতের মিশনারী সংঘটনগুলি পৃথিবীতে সেবামূলক কাজ করেই চলেছে৷

চীন জড়বাদী চিন্তাধারায় প্রেষিত হয়ে পশ্চিমী গোষ্ঠীর মতই সাম্রাজ্য বিস্তারে কী মত্ত নয়?  চৌএন লাই-এর আমলে ১৯৬২তে চীন ভারত আক্রমন করে আর তখন থেকেই ভারতের  হিমালয় সীমান্তে পাহাড় এলাকায় এক নাগাড়ে রাহাজানি চালিয়েই চলেছে৷ তিববতকে গ্রাস করেছে৷ নেপালকে বিষাক্ত কমিউনিজমের অহিফেন খাইয়ে গ্রাস করতে উদ্যত৷  ভারতের দক্ষিণ হিমালয়ে ‘‘শিবালিক’ এলাকায় থাবা বসাতে একনাগাড়ে ষড়যন্ত্রে করে চলেছে তার পাকিস্তানী দোসরকে সঙ্গে নিয়ে এশিয়ার উষ্ণ জলনীতিকে কবজা করতে৷ লাদাক এর অবস্থান হিমালয়ের দক্ষিণের জল বিভাজিকায় পড়ে৷ এখানে উত্তরের চীনাদের হামলা করাটা সম্পূর্ণ আগ্রাসী মনোভাব৷ লাদাক তো ভারতের অন্তর্গত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মাতৃভূমি৷ এখানে তার কিসের দরকার ? ভারতের সৈন্যগণ কোন দিনই চীনের এলাকা মাড়ায়নি৷ তার প্রয়োজন নেই৷ এশিয়ার অশান্তির মূলে চীনের উগ্র জড়বাদী নীতি৷

ভারতের মাটিতেই গা জোয়ারি করে চীন সৈন্য পাঠায়৷ ভারতীয় সৈন্যরা যখন আলোচনার পর দক্ষিণে সরে আসছে তখন উঁচু পাহাড় থেকে  পিছনের দিকে অতর্কিতে আক্রমণে  ভারতের জোয়ানদের হত্যা ও আহত করে৷ পরে তারা ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রতিরোধ করে৷ আত্মরক্ষা করাটা সকলেরই অধিকার৷ চীন হুমকী দিচ্ছে ভারতীয় জোয়ানদের  তাঁদের সামরিক শক্তি দিয়ে শিক্ষা দেবার আস্ফালন করছে মিথ্যাচারীর দল৷ চীন চিরকাল যা করে এসেছে৷

দু দেশই করোনায় আক্রান্ত! চীনের কাছ থেকে ভারত করোনার প্রতিষেধক কীট ক্রয় করে বন্ধু দেশ হিসাবে৷

 কিন্তু বিশ্বাসঘাতক চীন ভারতকে কীট এর নামে নিম্নমানের প্রতিষেধক দিয়ে ঠকিয়েছে৷ তাই তার হুমকীটাও যে চরম মিথ্যাচারিতার নামান্তর সেটা ভারত ও সারা বিশ্ব বুঝেছে৷

ইউ.এন.ওতে  এ বিষয়ে  অবশ্যই  আলোচনা হবে৷ যেখানে আশা করা যায় সত্য উদঘাটিত হবে৷ চীনকে উচিত  শিক্ষা দেবার সময় এসেছে পৃথিবীর৷ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই চীন ‘ভেটো’ শক্তির  অপ্রয়োগ করে বিশ্ব শান্তিকে ব্যাহত করছে৷

চীন আগ্রাসী নীতিতে ওস্তাদ ও পোক্ত  সেটা সারা পৃথিবী জানে৷  চীনের শাসকদের স্বৈরাচারী শাসনকে সে দেশের জনগণ অন্তর দিয়ে গ্রহণ করে নি৷ তিয়েনয়ানমেনের নারকীয় গণ হত্যা কি তার উজ্বল দৃষ্টান্ত নয়?

তাই চীনের সাম্রাজ্যবাদী সরকার সাবধান হোন৷ দেশের জনগণ যখন উচিত শিক্ষা দেবে তখন পথের ধূলায় সন্ত্রাসবাদী চীন সরকারে মিশে যেতে হবে৷ আমাদের ২০ জন জোয়ান শুধু প্রাণ হারাননি৷ ১০ জন নিখোঁজ আছেন৷ বাংলার দুই বীর শহিদ হলেন মাননীয় রাজেশ ওরাঁও  ও বিপুল রায়৷ ভারতের সৈন্যরা চীনের সঙ্গে যুদ্ধ করতে যায়নি৷ দেশের সীমান্তে তাঁরা উপস্থিত হয়েছিলেন যাতে চীন লাদাকে প্রবেশ করতে না পারে৷ ভারতের সার্বভৌমকে রক্ষা করতে৷ অকালে ভারতের রক্ষায় যে মহান জোয়নদের প্রাণ গেল তাঁদের  জন্য দেশ  ১৩৩ কোটি মানুষ মর্মাহত ও ভ্রাতৃবিয়োগে কাতর৷ চীনের এই অন্যায় দেশবাসী মেনে নেবেন না৷ ভারতের প্রতিটি মানুষ ধিক্কার জানায় চীনের বর্বরতা ও সরকারকে আবেদন করে চীনের সঙ্গে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করতে৷ সঠিক সময়ে সঠিক উত্তর ভারতবাসী দেবেন---একথা যেন পাকিস্তানী অন্ধ দোসর চীনের  কমিউনিষ্ট সরকার স্মরণে রাখেন৷