নীলকন্ঠ দিবস পালন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১২ই ফেব্রুয়ারী কলকাতায় আনন্দমার্গের কেন্দ্রীয় আশ্রমে মহাসমারোহে  ‘নীলকন্ঠ দিবস’ পালিত হয়৷ এইদিন পাপশক্তির  ষড়যন্ত্রকে  ব্যর্থ করে মার্গগুরুদেব স্বীয় ঐশী শক্তির সাহায্যে মারাত্মক  বিষকে আত্মস্থ করেছিলেন৷ তাই এই দিনটিকে আনন্দমার্গীরা ‘নীলকন্ঠ দিবস’ হিসেবে পালন করেন৷

এই উপলক্ষ্যে এদিন আনন্দমার্গীরা আনন্দমার্গের কেন্দ্রীয় আশ্রমে মিলিত  হয়ে অখণ্ড কীর্ত্তনে  যোগ দেন৷ অখণ্ড কীর্ত্তন, মিলিত সাধনা ও স্বাধ্যায়ের পর আচার্য সর্বেশ্বরানন্দ অবধূত ‘নীলকন্ঠ দিবসে’র  তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন৷ কীভাবে সরকার সিবিআইকে দিয়ে  মিথ্যা অভিযোগে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী কারারুদ্ধ  করে, কীভাবে সরকার এদিন তাঁকে বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করে ও কীভাবে ঐশী শক্তি  বলে তিনি সেই মারাত্মক বিষকে আত্মস্থ করে’ পাপশক্তি ষড়যন্ত্রকে  ব্যর্থ করেছিলেন--- আচার্য সর্বেশ্বরানন্দ তাঁর বিস্তারিত বিবরণ দেন৷ অতঃপর তিনি বলেন আজ নীলকন্ঠ দিবসে আমাদের  নূতন করে শপথ  গ্রহণ করতে হবে যে, শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী যে বিশ্বব্যাপী শোষণমুক্ত সর্বাঙ্গসুন্দর  সমাজরচনার  জন্যে অবর্ণণীয় কষ্টবরণ করেছেন, আমরা মার্গগুরুদেবের  সেই আদর্শকে বাস্তবায়িত করবই করব৷

 

দুমকায় আনন্দমার্গের সেমিনার

নিজস্ব সংবাদদাতা ঃ গত ৮,৯,১০ফেব্রুয়ারী  দুমকাতে আনন্দমার্গের সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়৷  এটি হ’ল  হুগলি, হাওড়া, বর্ধমান ও দুমকা ডায়োসিসের  আনন্দমার্গীদের জন্যে ফার্ষ্ট ডায়োসিস স্তরের সেমিনার৷ এই  সমস্ত এলাকা থেকে দেড় শতাধিক  সক্রিয় আনন্দমার্গী এই সেমিনারে  যোগ দিয়েছিলেন৷

এতে ‘যোগ, তন্ত্র ও ভক্তিতত্ত্ব’, ‘আনন্দমার্গ এক বিপ্লব’, ‘বিশ্বায়ন’---এই বিষয়গুলির ওপর আলোচনা করেন আচার্য রবীশানন্দ অবধূত৷ ‘প্রমাতত্ত্বে’র-ওপর আলোকপাত করেন আচার্য তথাগতাননন্দ  অবধূত৷ এছাড়া প্রত্যহ পাঞ্চজন্য, অখণ্ড কীর্ত্তন, মিলিত সাধনা, প্রভাত ফেরী প্রভৃতির মাধ্যমে  সেমিনারে এক সুন্দর আধ্যাত্মিক পরিবেশের  সৃষ্টি হয়েছিল৷ 

 

‘নেতাজীর আদর্শকে  অনুসরণ করতে হবে’

পি.এন.এ,শিলচর ঃ অসমের  করিমগঞ্জ জেলার নন্দীগ্রামে নেতাজী সেবা সংঘে গত ২৩শে জানুয়ারী  নেতাজী  জয়ন্তী অনুষ্ঠানে আচার্য বিশ্বমিত্রানন্দ অবধূত ও আচার্য শুভ্রজ্যোতিষানন্দ অবধূত আমন্ত্রিত হয়েছিলেন৷ আচার্য বিশ্বমিত্রানন্দ অবধূত তাঁর ভাষণে  বলেন, নেতাজী ছিলেন একাধারে সাধক ও সৈনিক৷ সাধনার মধ্যদিয়ে  তিনি আত্মশক্তির  জাগরণ ঘটিয়েছিলেন ও সেই শক্তিতে দেশবাসীর কল্যাণে লাগিয়েছিলেন৷ আচার্য শুভ্রজোতিষানন্দ  অবধূত বলেন, আজকের  তরুণ যুবাদের  নেতাজীর  আদর্শকে সামনে রেখে এগুতে  হবে৷ যুগপৎ সাধনা ও সমাজকল্যাণকে  জীবনের  আদর্শ হিসেবে গ্রহণ  করতে হবে৷ আর এটাই হবে নেতাজীর প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের  প্রকৃষ্ট উপায়৷

 

কৃষ্ণনগর স্যাঁকড়াপারা আনন্দমার্গ স্কুলের শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

নিজস্ব সংবাদদাতা, কৃষ্ণনগর, ৮ ফেব্রুয়ারী ঃ বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষা ব্রহ্মচারিণী সমর্পিতা আচার্যার উদ্যোগে ও বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাবৃন্দ, অভিভাবক ও স্থানীয় আনন্দমার্গের সদস্য-সদস্যাবৃন্দের অকুণ্ঠ সহযোগিতায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ৮-২-২০১৯ সকাল ১১টায় ৭০ জন ছাত্রছাত্রাকে ৮টি দলে ভাগ করে মোট ১৭টি ক্রীড়া প্রতিযোগিতা পরিচালনা করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ও স্থানীয় আনন্দমার্গের সদস্য৷ পতাকা উত্তোলন করে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন আনন্দমার্গের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি ‘উইমেস্ ওয়েলফেয়ার বিভাগের সেক্রেটারী অবধূতিকা আনন্দবীতরাগা আচার্যা৷ প্রধান অতিথি প্রাক্তন কমিশনার, কৃষ্ণনগর পৌরসভা, শ্রী অসিত কুমার সাহা, আনন্দমার্গের শিক্ষা বিষয়ের ওপরে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন৷ তিনি বলেন আজকের এই অবক্ষয়িত সমাজে আনন্দমার্গ নতুন পথ দেখাবে৷ উপস্থিত ছিলেন ১ নং ওয়ার্ডের কমিশনার শ্রী নিতুরঞ্জন বিশ্বাস, আনন্দমার্গের সদস্য গোরাচাঁদ দত্ত, আনন্দ মণ্ডল, সনৎ মৃধা, মনোরঞ্জন বিশ্বাস, নিত্যানন্দ পাল, গোবিন্দ বিশ্বাস প্রমুখ৷ এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট নাগরিক শ্রীসমর মণ্ডল৷ অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের হাতে উল্লিখিত বিশিষ্ট ব্যষ্টিবর্গ পুরস্কার তুলে দেন৷ বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষা ব্রহ্মচারিণী সমর্পিতা আচার্যা সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করে

 

মালদায় নীলকণ্ঠ দিবস উপলক্ষ্যে চিকিৎসা শিবির

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা ঃ গত ১২ই ফেব্রুয়ারী ‘নীলকন্ঠ দিবস’-এ মালদা জেলার রতুয়া ব্লকের আডগামা গ্রামে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের উদ্যোগে একটি চিকিৎসা শিবিরের আয়োজন করা হয়৷ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক অজিত মণ্ডল মহোদয়ের পরিচালনায় প্রায় ১৭০ জন দুঃস্থ রোগীর চিকিৎসা ও ঔষধ প্রদান করা হয়৷ রতুয়া মণিপুর আনন্দমার্গ স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল অবধূতিকা আনন্দমহাবিদ্যা আচার্যা এই শিবিরে পৌরোহিত্য করেন৷ শ্রী প্রভাস মণ্ডল ও শ্রী সঞ্জয় মণ্ডল  এই শিবির পরিচালনায় সহায়তা করেন৷ উপস্থিত স্থানীয় অধিবাসীগণের মধ্যে আনন্দমার্গ ও নীলকন্ঠ দিবসের বিষয়ে আলোচনা করেন অবধূতিকা আনন্দমহাবিদ্যা আচার্যা ও শ্রী অজিত মণ্ডল৷ স্থানীয় জনগণের মধ্যে আনন্দমার্গ সম্পর্কে যথেষ্ট উৎসাহ ও উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়৷