নির্বাচনে আসন-সংরক্ষণ

Baba's Name
শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার

(নির্বাচনে) আসন-সংরক্ষণ বিধিটি যদিও গণতান্ত্রিক নিয়মবিরোধী তবুও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্যে সাময়িকভাবে আসন-সক্ষরক্ষণ ব্যবস্থা রাখলেও রাখা যেতে পারে৷ কিন্তু সাধারণতঃ দেখা যায় অনগ্রসর গোষ্ঠীদের প্রতিনিধিদের মধ্যে যোগ্যতা-সম্পন্ন ব্যষ্টি খুব কমই থাকে৷ তাই সংরক্ষিত আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কর্রার অধিকার কোনো গোষ্ঠী বিশেষের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয়৷ তবে ওই সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীদের প্রাথমিক নির্বাচন কালে কেবল মাত্র যে জনগোষ্ঠীর জন্যে আসনটি সংরক্ষিত তাদেরই বোট দেবার অধিকার থাকবে৷ এইভাবে তাঁরা একটি আসনের জন্যে প্রাথমিক নির্বাচনে দু’জন ব্যষ্টিকে মনোনীত করতে পারেন, পরে সর্বসাধারণের বোটে ওই দু’জনের মধ্যে যে কোনো একজন চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হবেন৷ প্রাথমিক নির্বাচনে যদি একজন ব্যষ্টিই মনোনীত হন অর্থাৎ অন্য কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকেন সেক্ষেত্রে সর্বসাধারণের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তার পরীক্ষা করতে হর্ে৷ আসন সংরক্ষণ ব্যবস্থা যদি কোনো অনগ্রসর বা সংখ্যালঘু সম্প্রদায় স্পষ্ট ভাষায় দাবী করে তবেই রাখতে হবে---অন্যথায় নয়৷ 
নির্বাচন-প্রার্থীকে লিখিতভাবে নিজের নীতি ঘোষণা করতে হবে৷ নির্বাচিত হার পর যদি দেখা যায়, তিনি ওই নীতিবিরোধী কাজ করেছেন সেক্ষত্রে আদালতে তার সত্যতা প্রমাণিত হলে তাঁর নির্বাচনও নাকচ হয়ে যাবে৷ ‘‘প্রাপ্ত বয়স্কের বোটাধিকার’’ কথাটি শুণতে খুবই ভাল৷ কিন্তু একথা অস্বীকার করবার জো নেই যে রাজনৈতিক চেতনাবিহীন ভোটদাতা শাসনযন্ত্রকে দুর্বলই  করে দেয় ও সেই জন্যে অশিক্ষিত বা অল্প শিক্ষিত ব্যষ্টিদের বোটদানের অধিকার জনস্বার্থের খাতিরে না থাকাই বাঞ্ছনীয়৷ অশিক্ষিত দেশে গণতন্ত্র একটি প্রহসন মাত্র৷ সেইর্স দেশে দ্ধিমান ধাপ্পাবাজেরা অতি সহজেই অশিক্ষিত ব্যষ্টিদের বোট হাতাতে পারে বা কিনতে পারে৷ জাতিবাদ বা সাম্প্রদায়িকতাবাদ প্রচার করে অশিক্ষিত দেশে জনসাধারণকে সহজেই বিভ্রান্ত করা যায়৷ গণতন্ত্রের সার্থকতা নির্ভর করে শিক্ষিত সংবেদনশীল বোট দাতার ওপরে, আর তাই গণতান্ত্রিক দেশে শিক্ষাবিস্তারের অবশ্যই নিঃশুল্ক দ্রতে হবে৷ এই শিক্ষা-ব্যবস্থার ওপর রাষ্ট্রীয় দাপট থাকা উচিত নয় কারণ সেক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দল শিক্ষার মাধ্যমে দলীয় ভাবধারাই প্রচার করতে থাকর্ে৷ ঘন ঘন সরকার পরিবর্তন হলে  ঘন ঘন শিক্ষাব্যবস্থাও পরিবর্তিত হতে থাকর্ে৷ তার ফলে সমগ্র ব্যবস্থাটিই বিপর্যস্ত হয়ে যাব৷ 
শিক্ষাব্যবস্থায় বিশ্বৈকতাবাদ ছাড়া অন্য কোনো ইজমই রাখা চলবে না৷ ছাত্রগণের জ্ঞানার্জনের স্পৃহা জাগাতে হবে৷ শ্রদ্ধা ভক্তি-শৃঙ্খলা-নিয়মানুবর্তিতা শেখাতে হবে---আর শেখাতে হবে বিজ্ঞানসম্মত দৃষ্টিভঙ্গি৷ বৈজ্ঞানিক নিষ্ঠা যে ছাত্রের জেগেছে কুসংস্কার তার মনে াসা ধতে পারবে না, ইজমের বাগ্জাল তাকে বিমুগ্ধ করতে পারবে না---ভবিষ্যৎ জীবনে সদ্বিপ্র হার যোগ্যতা সে সহজেই অর্জন করে নেব৷