স্পোর্টসম্যান স্পিরিট দেখিয়ে দর্শকদের হৃদয় জয় করে নিলেন বিরাট কোহলি

সংবাদদাতা
ক্রীড়াপ্রতিনিধি
সময়

অষ্ট্রেলীয় খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে বল বিকৃতি, স্লেজিং ইত্যাদি নানা ধরণের অখেলোয়াড়চিত আচরণের অভিযোগ রয়েছে ক্রিকেট মহলে৷ বল বিকৃতির জন্য ডেভিড ওয়ার্নারকে এক বছরের জন্য নির্বাসনেও থাকতে হয়েছিল৷ সেই কারণে  ইংল্যাণ্ডে  বিশ্বকাপ খেলতে আসার পর স্মিথদের কোন কোন স্থানে নানা ধরণের  বিদ্রুপাত্মক মন্তব্যও শুনতে হয়েছে৷ আসলে মিডিয়া এখন এত সচল যে খুব তাড়াতাড়ি সমস্ত খুঁটিনাটি খবর পৌঁছে যায়  সকলের কাছে৷ তবে একটি ঘটনার জন্যে বার বার সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড় বা দলকে নানাভাবে আক্রমণ করাটা বাঞ্ছনীয় নয়৷ শুধু খেলোয়াড়দের নিয়েই এই ক্রিকেট নয়৷ দর্শকরাও ক্রিকেটের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ৷ দর্শক আছেন বলেই খেলোয়াড়রা প্রশংসিত হন বা সমালোচিত হন৷ সেই কারণে ক্রিকেটকে আরও জনপ্রিয় করার জন্য ক্রিকেট বোদ্ধা তথা দর্শকদেরও বিশেষ ভূমিকা নিতে হবে৷ বলা বাহুল্য এখনকার দর্শকরাও মাঠে গিয়ে নিজেদের ভূমিকা প্রশংসার সঙ্গে পালন করে থাকেন৷

তারই প্রতিফলন দেখা গেল ২০১৯ বিশ্বকাপের রাউণ্ড রবিন লীগের অষ্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের ব্যাটিংয়ের সময়৷  দেখা যায় বিরাট কোহলি গ্যালারিতে ইশারায় পৌঁছে দিলেন তাঁর মেসেজ---কোনও কটুক্তি নয় অষ্ট্রেলিয় খেলোয়াড়দের প্রতি৷ ফলস্বরূপ স্মিথদের ফিল্ডিং করার সময় দর্শকদের পক্ষ থেকে কোনও বিদ্রুপ হজম করতে হয়নি৷ যার জন্য খেলায় অসাধারণ কয়েকটি বাউণ্ডারি বাঁচিয়েছেন অসি ক্রিকেটাররা৷  বলতে গেলে এই বিশ্বকাপের সেরা ম্যাচ উপহার দিয়েছে ভারত-অষ্ট্রেলিয় ম্যাচটি৷ দু’দলেরই ব্যাটিং-বোলিং ও ফিল্ডিং দর্শকদের আনন্দ দিয়েছে৷

 ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রশ্ণের জবাবে ভারত অধিনায়ক কোহলি বলেন, ‘‘প্রচুর  ভারতীয় সমর্থক  এ দিন খেলা দেখতে এসেছিলেন৷ আমি চাইনি তাঁরা কোনও খারাপ উদাহরণ স্থাপন  করুন৷ স্মিথরা যাতে আমাদের মত ভাল ক্রিকেট খেলার সুযোগ পান তাই আমি মনে প্রাণে চাইছিলাম৷ দর্শকদের ধন্যবাদ তাঁরা দারুণভাবে খেলায় আনন্দ পেয়েছেন ও সব খেলোয়াড়কেই ভাল খেলার জন্যে উৎসাহ জুড়িয়েছেন৷ অসি খেলোয়াড়দের প্রতি কোনও রকমের অখেলোয়াড়চিত আচরণ বা বিদ্রুপাত্মক মন্তব্য কোনো অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য নয়৷’’

আসলে বিরাট বোঝাতে চেয়েছেন ঘটে যাওয়া কোনও ঘটনাকে বার বার উত্থাপন করে কোনও খেলোয়াড়কেই আক্রমণ করাটা শোভনীয় নয়৷ অক্রিকেটিয় মনোভাবের পরিচয় দিলে ক্রিকেট তার মর্যদা হারায়৷ বিশ্বকাপের মত আসরে তাই ক্রিকেটকে আপন গরিমায় উদ্ভাসিত হতে বিরাটের মত বিরাট ব্যষ্টিত্ব খুবই প্রয়োজন৷

বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর  অষ্ট্রেলিয়াকে ৩৬ রানে  পরাজিত করে ভারত৷ এই ম্যাচে ভারত অধিনায়কের পারফরম্যান্স যেমন উল্লেখনীয় তেমনি   তাঁর সাবলীল খেলোয়াড়চিত ইঙ্গিত ও মন্তব্য সমস্ত ক্রিকেট জগতে একটি উদাহরণ হয়ে রইল৷