সংবাদ দর্পণ

পাঁশকুড়ায় মার্গীয় বিধিতে অন্নপ্রাশন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২৪শে মার্চ রবিবার পাঁশকুড়ার পূর্ববাকুল্দা গ্রামে বাকুল্দা আনন্দমার্গ স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্রী অনিল কুমার মণ্ডলের নাতির শুভ অন্নপ্রাশন ও নামকরণ অনুষ্ঠান মার্গীয় প্রথায় সুসম্পন্ন হল৷ সকাল থেকে ছয় ঘণ্টার অখণ্ড কীর্তন ও মিলিত সাধনার পর শুরু হয় মূল নামকরণ অনুষ্ঠান৷ অচিন্ত্য-মধুছন্দার নবজাতক পুত্রের নাম রাখা হয় ’তৃষাণ’৷ অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন আচার‌্য কৃষ্ণনাথানন্দ অবধূত মহোদয়৷ সহযোগিতা করেন অবধূতিকা আনন্দ নবীনা আচার‌্যা, বিভুকনা আচার‌্যা প্রমুখ শ্রদ্ধেয়া দিদিগন৷ অনুষ্ঠান উপলক্ষে রক্তদান শিবির(৪০) ও চারাবিতরণ (৬০০) উপস্থিত অতিথিদের মনে সামাজিক অনুষ্ঠান সম্পর্কে নোতুন ভাবনার জন্ম দেয়৷ গৃহকর্তী শ্রীমতী চিন্ময়ী মণ্ডলের আন্তরিক অতিথি আপ্যায়ন সত্যিই ভোলা যাবে না৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন শ্রী অনন্ত কুমার গোস্বামী৷

 চাকদহে অখন্ড কীর্ত্তন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২৪ শে মার্চ ২৪ রবিবার নদীয়া জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ১০০জন ভক্তের উপস্থিতিতে নদীয়া জেলার অন্তর্গত চাকদহের বিশিষ্ঠ আনন্দমার্গী শ্রীশক্তিপদ সরকার ও শ্রীমতী গোপা সরকার এর বাসগৃহে একটি মনোরম পরিবেশে সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ৩ঘন্টা ব্যাপী মানব মুক্তির মহামন্ত্র বাবানাম কেবলম অখন্ড সংকীর্র্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্র্ত্তনের মধু মুর্চনায় গ্রামের দূর-দুরান্ত থেকে বহু ভক্ত কীর্র্ত্তন অঙ্গনে ছুটে আসেন৷

কীর্র্ত্তন ও প্রভাত সঙ্গীত পরিচালনা করেন ব্রহ্মচারিণী শুদ্ধা আচার্যা, ব্রহ্মচারিণী সুচেতা আচার্যা, দিদি চিরকীর্র্তি, শ্রীপ্রশান্ত শীল, শ্রীমতী কাজল সরকার,শ্রীমতী কাকলী মন্ডল ডাঃ বৃন্দাবন বিশ্বাস, কৌশিক সরকার, মৃদঙ্গে ছিলেন-স্বরুপানন্দ দে কীর্র্ত্তন শেষে মিলিত সাধনা,গুরুপুজা, হয়৷ স্বাধ্যায় করেন-কৃষ্ণনর ডিটএস এল ব্রহ্মচারিণী শুদ্ধা আচার্যা৷

কীর্ত্তন মহিমা বিষয়ে আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন গৌরাঙ্গ ভট্টাচার্য ও নদীয়া ভুক্তি প্রধান ডাঃ বৃন্দাবন বিশ্বাস ও ব্রহ্মচারিণী শুদ্ধা আচার্যা৷ শতাধিক ভক্তকে নারায়ন সেবায় আপ্যায়ীত করেন --- শক্তিদার পুত্র ও পুত্রবধু বিবেকজ্যোতি ও তনুকা৷

কৃষ্ণনগরে ডিট লেবেল সেমিনার

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

৩০,৩১শে মার্চ ২০২৪ মহা উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্যে দিয়ে কৃষ্ণনগর ডায়োসিস সচিব আচার্য সৌম্য সুন্দরানন্দ অবধূত দাদার নেতৃত্ত্বে ও নদীয়া জেলা ভুক্তি কমিটির সদস্যবৃন্দ তথা নদীয়া জেলার সমস্ত দাদা দিদির অকুন্ঠ সহযোগীতায় ৩০শে মার্চ ২০২৪ শনিবার সকাল ৯টা ৩০মিঃ থেকে বেলা ১২টা ৩০মিঃ পর্যন্ত তিন ঘন্টা ব্যাপী মানবমুক্তির মহামন্ত্র বাবা নাম কেবলম অখন্ড সঙ্কীর্তন শেষে মিলিত সাধনা, গুরুপুজা,ও স্বাধ্যায়র মধ্যে দিয়ে সেমিনারের শুভ সুচনা করা হয়৷

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পরমারাধ্য মার্গগুরুদেবের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে আসন গ্রহন করেন সেমিনারের প্রধান প্রশিক্ষক আচার্য নির্মল শিবানন্দ অবধুত প্রবীন সন্ন্যাসী আচার্য সর্বেশ্বরানন্দ অবধূত ও নদীয়া জেলার সাধারন ভুক্তি প্রধান ডাঃ বৃন্দাবন বিশ্বাস৷ অতিথি বৃন্দকে পুষ্প স্তবকে বরণ করার পর উলুধবনী ও শঙ্কধবনীর মধ্যে দিয়ে আচার্য নির্মল শিবানন্দ অবধুত মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে পরমারাধ্য মার্গগুরুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে আনুষ্ঠানিক ভাবে সেমিনারের শুভ সূচনা করেন৷ উক্ত তিন জন অতিথি সেমিনারের উদ্যেশ্য সম্পর্কে অবহিত করেন৷

মধ্যাহ্ণ ভোজনের অব্যবহিত পরে অপরাহ্ণ ৫টা ৩০ মিঃ পর্যন্ত পরপর দুটি বিষয়ের ওপর আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন আচার্য নির্মল শিবানন্দ অবধুত ও আচার্য সর্বেশ্বরানন্দ অবধূত৷ অনুরুপ ভাবে ৩১/০৩/২৪ সকাল ১০টা ৩০মিঃ থেকে ১টা ৫০মিঃ পর্যন্ত পর পর দুটি বিষয়ের ওপর আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন উক্ত দুজন দাদা৷ এরপর সংক্ষিপ্ত সাঘটনিক আলোচনা হয়৷ ব্লক লেবেল সেমিনার সমুহের তারিখ--- অর্গানাইজারের নাম ও ট্রেইনারদের নাম ঘোষণা করেন ভুক্তি প্রধান ডাঃ বৃন্দাবন বিশ্বাস৷

প্রতিদিন গুরুসকাশ পাঞ্চজন্য সকালসন্ধা ভজন কীর্ত্তন-মিলিত সাধনা হয়েছে৷ সেমিনারে আলোচনার বিষয় ছিল---(১) আদর্শমানুষের জীবনচর্যা কেমন হওয়া উচিত --- (২) প্রত্যাহার যোগ ও পরমা গতি--- (৩) বুদ্ধির মুক্তি (৪) পাপস্য কারণত্রয়ম মধ্যাহ্ণ ভোজনের পর সেমিনারের সমাপ্তি হয়৷

শ্রদ্ধাঞ্জলী অনুষ্ঠান

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

চিৎমু নিবাসী পীতাম্বর টুডুর ধর্মপত্নী শ্রীমতী বাসন্তী টুডু-কিস্কুর কাকু করচে নিবাসী স্বর্গীয় মনোরঞ্জন কিস্কু (মার্গের অনুগামী ছিলেন না) গত ২৫শে মার্চ’২৪ পরলোক গমন করেন৷ তিনি অকৃতদার ছিলেন৷ বাসন্তী কিস্কুই শ্রাদ্ধকর্তী৷ ৩১শে মার্চ’২৪ রবিবার সকালে করচে আনন্দমার্গ জাগৃতিতে তাঁর শ্রদ্ধাঞ্জলী অনুষ্ঠান আনন্দমার্গ সমাজশাস্ত্র ‘‘আনন্দমার্গে চর‌্যাচর‌্য’’ বিধানুসারে প্রভাত সঙ্গীত(ভক্তিমূলক গান), নাম-সংকীর্তন, মিলিত ঈশ্বর-প্রণিধাণ, বর্ণার্ঘ্যদান, স্বাধ্যায় শেষে মূল শ্রদ্ধাঞ্জলী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়৷

আনন্দনগরের আকর্ষণে

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২৫-৩০শে মার্চ’২৪ আসামের হোজাই, উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার ও ২৪পরগণার বেলঘরিয়া-নন্দনপুর থেকে আনন্দমার্গের অনুগামী ও শুভানুধ্যায়ীগণ আনন্দনগর দেখতে তথা বেড়াতে আসেন৷ ২৬-২৭মার্চ’২৪ হোজাইয়ের অধিবাসী ডাক্তার সুজিত দেবনাথ আনন্দনগর থেকেই পড়াশোনা ও জীবনের ভিত্তি গড়া কিন্তু তাঁর পরিবার ও দুইকন্যা সঙ্গে একজন শুভানুধ্যায়ী এই প্রথম আনন্দনগরে আসা৷ ওরা দুইদিনে আনন্দনগরের দর্শনীয়স্থান ও তন্ত্রপীঠ, শিক্ষা-সেবামূলক প্রকল্পগুলো দেখে খুবই উদ্ভুদ্ধ হয়৷ ২৭-৩০মার্চ’২৪ আলিপুরদুয়ার থেকে গৌতম চন্দ্র রায় সঙ্গে একজন শুভানুধ্যায়ী নারায়ণ বিশ্বাসকে নিয়ে আসেন৷ ওনারা আনন্দনগরের প্রাগৈতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন আনন্দনগরের শিক্ষা-সেবা-কল্যাণ ও উন্নয়নমূলক কাজগুলো দেখেন ও আনন্দনগর সম্বন্ধে অনেক সম্বৃদ্ধ হন৷ শিশুসদনের সব ছেলে ও মেয়েদের একবেলা মধ্যাহ্ণ ভোজনের আয়োজন করেন৷ ছেলেদের শিশুসদনের তিনটি সিলিং ফ্যান প্রয়োজন ছিল সেগুলো ক্রয় করে দেন৷ ২৫-৩০মার্চ বেলঘরিয়া-নন্দনপুর থেকে আসেন শচীন্দ্র নাথ সেন মহাশয় তিনি অনেক পুরনো সাধক শিশুসদনের ছেলেদের দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্যে চপ্পল, শর্টস, ছাতা ইত্যাদি ও মিলিত আহারেরও ব্যবস্থা করেন৷

আনন্দনগরে বসন্তোৎসব

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২৫শে মার্চ’২৪ আনন্দনগরে বসন্তোৎসব সাড়ম্বরে পালিত হয়৷ এই উপলক্ষ্যে ২৪শে মার্চ সকাল সাড়ে দশটা থেকে ২৪ঘণ্টা অখণ্ড ‘বাবা নাম কেবলম্‌’ নাম সংকীর্ত্তনের শুভারম্ভ হয়৷ ২৫শে মার্চ নাম-সংকীর্ত্তন শেষে মিলিত ঈশ্বর প্রণিধাণ, বর্ণার্ঘ্যদান, স্বাধ্যায় ও বসন্তোৎসবের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করা হয়৷ অতঃপর সকলেই গুরুদেবের প্রতিকৃতিতে রঙ-আবীর অর্পণ করেন৷ ছোটরা বড়দের চরণে আবীর দিয়ে প্রণাম করে ও বড়রা ছোটদের আশীর্বাদ প্রদান করেন৷ পরিশেষে সকলে পুরুষ ও মহিলারা পৃথকভাবে নিজেদের মধ্যে আবীর খেলা করে৷ অবশেষে মিলিত আহারের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়৷

ডিট লেভেল সেমিনার

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২৩-২৪শে মার্চ’২৪ আনন্দনগর ‘বি’ ডিট লেভেল সেমিনার ডিমডিহা আনন্দমার্গ জাগৃতিতে অনুষ্ঠিত হয়৷ প্রশিক্ষক আচার্য সুরেশানন্দ অবধূত আনন্দমার্গ দর্শনের উপর আলোচনা করেন৷

আনন্দনগরে সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

আনন্দমার্গ হাইস্কুলঃ ২৩শে মার্চ’২৪ আনন্দনগর রোটাণ্ডায়(অডিটোরিয়াম) আনন্দমার্গ হাইস্কুলের বার্ষিক সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়৷ সভাপতিত্ব করেন আনন্দমার্গের কেন্দ্রীয় ট্রেনিং সেক্রেটারী আচার্য সর্বেশ্বরানন্দ অবধূত৷ মূখ্য অতিথি ছিলেন পুরুলিয়ার সিধু-কানু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ লক্ষ্মীরাম গোপ৷ সম্মানীয় অতিথিদের মধ্যে ছিলেন সিধু-কানু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. স্বপন কুমার মাইতি, আনন্দমার্গের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আচার্য কিষণ সিং সুদ, আনন্দনগর আনন্দমার্গ গুরুকুলের সচিব ও আনন্দনগরের নিজপুরসভার মূখ্য পুরুষ আচার্য মুক্তানন্দ অবধূত, আনন্দনগর রেক্টর মাষ্টার আচার্য নারায়ণানন্দ অবধূত৷ আনন্দমার্গ হাইস্কুলের অধ্যক্ষ আচার্য প্রজ্ঞানানন্দ অবধূত প্রারম্ভিক বক্তব্যে স্কুলের সার্বিক উন্নয়নের উপর বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করেন৷লেখা-পড়ায় উৎকর্ষতা, সাংস্কৃতিক, ক্যুইজ ও বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় প্রথম-দ্বিতীয়-তৃতীয় স্থানাধি কারীদের উৎসাহ প্রদান স্বরূপ পুরস্কৃত করা হয়৷ আনন্দমার্গ গুরুকুল আয়োজিত স্বর্গীয় শম্ভুনারায়ণ রায় স্মরণে পঞ্চম ও নবম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রাদের মেধান্বেষণ ও বৃত্তি পরীক্ষায় পঞ্চম শ্রেণীর প্রথম কুড়িজন ও নবম শ্রেণীর প্রথম দশজনকে সংশাপত্র ও আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়৷ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের শেষে ছাত্রদের মধ্যে থেকে কবিতা আবৃত্তি, প্রভাত সঙ্গীত, প্রভাতসঙ্গীত আধারিত নৃত্য ও শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের গল্প অবলম্বনে নাটক পরিবেশন করা হয়৷ সম্মানীয় অতিথিদের মূল্যবান বক্তব্য সকলকে উৎসাহ ও উজ্জীবিত করে তোলে৷

আনন্দমার্গ প্রাইমারী স্কুলের ঃ গত ২৫শে মার্চ’২৪ বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মধ্যআনন্দনগর আনন্দমার্গ প্রাইমারী স্কুলের বার্ষিক সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়৷ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আনন্দনগরের রেক্টর মাষ্টার আচার্য নারায়ণানন্দ অবধূত৷ মূখ্য অতিথি ছিলেন আনন্দনগর আনন্দমার্গ হাইস্কুলের অধ্যক্ষ আচার্য প্রজ্ঞানানন্দ অবধূত৷ সম্মানীয় অতিথিদের মধ্যে ছিলেন আনন্দমার্গের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আচার্য কিষণসিং সুদ, আনন্দনগর আনন্দমার্গ গুরুকুলের সচিব ও আনন্দনগরের নিজ পুরসভার মূখ্য পুরুষ আচার্য মুক্তানন্দ অবধূত, আনন্দনগর মহিলা বিভাগের রেক্টর অবধূতিকা আনন্দ সুমিতা আচার্যা ও আনন্দমার্গ গুরুকুলের বিদ্যাবিবেক শ্রীমতী প্রভাসুদ আচার্যা৷ আনন্দমার্গ প্রাইমারী স্কুলের অধ্যক্ষ আচার্য নিত্যনবীনানন্দ অবধূত প্রারম্ভিক বক্তব্যে স্কুলের সার্বিক উন্নয়নের উপর বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করেন৷ লেখা-পড়ায় উৎকর্ষতা, সাংস্কৃতিক, ক্যুইজ ও বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় প্রথম-দ্বিতীয়-তৃতীয় স্থানাধি কারীদের উৎসাহ প্রদান স্বরূপ পুরস্কৃত করা হয়৷ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের শেষে ছাত্রদের দ্বারা কবিতা আবৃত্তি, প্রভাত সঙ্গীত, প্রভাত সঙ্গীত আধারিত নৃত্য ও শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের নব্যমানতাবাদ তত্ত্ব অবলম্বনে ‘সবুজ দ্বীপের বাঁশি’ নাটক পরিবেশন করা হয়৷ সম্মানীয় অতিথিদের মূল্যবান বক্তব্য সকলকে উৎসাহ ও উজ্জীবিত করে তোলে৷

আনন্দনগরে দধিচী দিবস পালন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

৫ই মার্চ দিনটিকে প্রতি বছর সারাবিশ্বের আনন্দমার্গীরা ‘দধিচী দিবস’ হিসেবে পালন করে থাকেন৷ ১৯৬৭ সালের ৫ই মার্চ আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের বয়স (১৯৫৫সালের ৯ই জানুয়ারি বিহারের মুঙ্গের জেলার জামালপুর রেলওয়ে কোয়ার্টারে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘‘আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘ’’ প্রতিষ্ঠিত হয়) তখন সবেমাত্র বার বছর অতিক্রম করে তের বছরে প্রদার্পণ করেছে৷ ১৯৬২ সালের শেষের দিকে আনন্দমার্গ মিশনে সন্ন্যাসী প্রথার প্রচলন শুরু হয়৷ তখন মিশনের শৈশবাবস্থা অর্থাৎ পাঁচ বছর বয়স অতিক্রম করেনি৷ সংস্থার প্রতিষ্ঠিত জন্মলগ্ণ থেকেই কিছু স্বার্থান্বেষী, বিপথগামী, সুবিধাবাদী ও মানুষের রক্ত শোষকেরা আনন্দমার্গকে ধবংস ও উৎখাত করতে লেগে পড়ে৷ ১৯৬৭ সালের ৫ই মার্চ আনন্দনগরে কমিউনিষ্ট গুণ্ডারা (তখন পশ্চিমবঙ্গে যুক্তফ্রন্টের সরকার চলছিল---জ্যোতি বসু ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) পরিকল্পিতভাবে আনন্দমার্গ মিশনের কর্মীদের আক্রমণ করে ও নির্মমভাবে পাঁচজন সর্বত্যাগী সন্ন্যাসীকে হত্যা করে৷ দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ায় বিচারক তদানীন্তন স্থানীয় জয়পুর ব্লকের বিডিও অশোক চক্রবর্তী সহ মোট আঠারো জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সহ বিভিন্ন মেয়াদে দোষী সাব্যস্ত করেন ও শাস্তি প্রদান করেন৷

 আনন্দনগরের প্রতিষ্ঠাকল্পে সেই সময় গুণ্ডাদের আক্রমণে আত্মবলিদান করে যাঁরা শহীদ হয়েছেন, তাঁরা হলেন (ক) আচার্য অভেদানন্দ অবধূত (খ) আচার্য সচ্চিদানন্দ অবধূত (গ) আচার্য অবোধ কুমার ব্রহ্মচারী (ঘ) আচার্য প্রবোধ কুমার ব্রহ্মচারী (ঙ) আচার্য ভরত কুমার ব্রহ্মচারী৷

আনন্দমার্গে সব দধিচীদের স্মরণে প্রতি বছর ৫ই মার্চ ১২ ঘণ্টা(সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত) নির্জলা উপবাস পালন করা হয়ে থাকে৷

আনন্দনগরেও এই দিনকে সব আশ্রমবাসীরা, শিশুসদনের ছেলে-মেয়েরা তথা স্কুলের ছাত্র-ছাত্রারা নির্জলা উপবাসের মাধ্যমে দধিচী দিবস পালন করে থাকে ও নিম্নোক্ত অনুষ্ঠান সূচীর মাধ্যমে সম্মিলিত দধিচী দিবস পালিত হয়:

১) আনন্দনগর ‘পাওয়ার হাউস সভাঘরে’ বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত অখণ্ড ‘বাবা নাম কেবলম’ নাম সংকীর্ত্তন হয়৷ ২) কীর্ত্তন শেষে মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান করা হয়৷ ৩) ঈশ্বর প্রণিধানশেষে মিলিত ভাবে নামকীর্ত্তন করে দধিচী পাহাড়ে যাওয়া হয়৷ ৪) দধিচী পাহাড়ে দধিচী বেদীতে পূষ্পার্ঘ্য প্রদান করা হয়৷ ৫) পূষ্পার্ঘ্য পর্বের পর প্রভাতসঙ্গীত, কীর্ত্তন ও মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান করা হয়৷ ৬) ৫ই মার্চ দধিচী দিবস উপলক্ষে সেই সময় গুরুদেবের দেওয়া নিম্নোক্ত শপথ বাক্য পাঠ করান বাংলায় আচার‌্য নারায়ণানন্দ অবধূত হিন্দি ও ইংরেজি আচার্য কিষণসিং সুদ৷ শপথ বাক্যঃ ‘যে পাপশক্তির ফলে এই পাঁচ ভাইয়ের হত্যা হয়েছে যতক্ষণ পর্যন্ত সেই পাপশক্তির বিনাশ না করছি ততক্ষণ আমরা আরাম করবো না, আরাম করবো না, আরাম করবো না৷’ ৭) শপথ গ্রহণের পর স্মৃতি চারণ ও দধিচী দিবসের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করা হয়৷ ৮) তাৎপর্য ব্যাখ্যা শেষে লোয়ার হোষ্টেলে উপবাসকারীদের উপবাস ভঙ্গের জন্যে নেবুসর্বত ও খিচুড়ি বিতরণ করা হয়৷

বৃত্তি পরীক্ষা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

৩রা মার্চ’২৪ স্বর্গীয় শম্ভু নারায়ণ রায় স্মৃতি পঞ্চম ও নবম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রাদের মেধা অন্বেষণ ও বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় আনন্দমার্গ হাইস্কুলে৷ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মেধাবী প্রথম পঞ্চম শ্রেণীর কুড়িজন ও নবম শ্রেণীর দশজনকে বৃত্তি ও সংশাপত্র গত ২২শে মার্চ’২৪ প্রদান করা হয়৷