শেষ দু’টি ম্যাচে আবহাওয়ার কারণে পুরো ম্যাচ হয়নি৷ এক পয়েন্ট নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল৷ প্রথম ম্যাচে জিততে না পারলেও প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার কারণে তিন পয়েন্ট তুলে নিয়েছিল বাংলা৷ কিন্তু মনোজ তিওয়ারিরা জয় পাচ্ছিলেন না৷ অবশেষে জয়ে ফিরল বাংলা৷ অসমের বিরুদ্ধে ইনিংস এবং ১৬২ রানে ম্যাচ জিতে নিল বাংলা৷ আর এই জয়ের নেপথ্যে কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল দেখছেন তরুণদের দাপট৷
বাংলা প্রথম চারটি ম্যাচেই পায়নি মুকেশ কুমার, অভিমন্যু ঈশ্বরণ এবং শাহবাজ আহমেদকে৷ শেষ দু’ম্যাচে দলে ছিলেন না আকাশ দীপও৷ ভারতীয় টেস্ট দলে রয়েছেন মুকেশ৷ অভিমন্যু এবং আকাশ ভারত এ দলে৷ শাহবাজ জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে চোট সারাচ্ছেন৷ গত মরসুমে বাংলাকে রঞ্জির ফাইনালে তোলার নেপথ্যে এই চার ক্রিকেটারের বিরাট ভূমিকা ছিল৷ গত দু’টি মরসুমেই তাঁরা ছিলেন দলের অন্যতম ভরসা৷ কিন্তু সেই চার ক্রিকেটারকে বাদ দিয়েও দাপটের সঙ্গে ম্যাচ জিতে লক্ষ্মী বললেন, ‘‘বাংলার রিজার্ভ বেঞ্চ তৈরি৷ আমাদের চার জন ক্রিকেটার নেই৷ কিন্তু সেটার প্রভাব পড়ল না ম্যাচে৷ তরুণরা দায়িত্ব নিয়ে জেতাল৷’’
অসমের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে অনুষ্টুপ মজুমদার এবং মনোজ তিওয়ারি শতরান করেছিলেন৷ তাঁদের ওই ইনিংস না থাকলে বাংলা বিপদে পড়ত৷ কিন্তু ভুললে চলবে না ওই ইনিংসে সূরজ সিন্ধু জয়সওয়াল এবং করণ লালের ইনিংস দু’টি৷ তাঁরাই বাংলাকে ৪০০ রান পার করিয়ে দেন৷ বল হাতে মহম্মদ কাইফ প্রথম ইনিংসে নেন ৪ উইকেট৷
সূরজ দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ৫ উইকেট৷ ম্যাচে ৮ উইকেট সূরজের৷ তিনিই ম্যাচের সেরা৷ লক্ষ্মী বললেন, ‘‘অনূর্ধ-২৩ থেকে উঠে আসা ছেলেরা খেলে দিচ্ছে৷ করণ, কাইফ, সূরজেরা এই ম্যাচে ভাল খেলেছে৷ এর আগে সৌরভ রান করেছে৷ জয়ের থেকেও এটা বেশি স্বস্তি দিচ্ছে৷ বাংলার আগামী দিনের ক্রিকেটারেরা তৈরি৷’’
গত রবিবারই কলকাতায় ফিরে এসেছে বাংলা দল৷ তিন দিনে ম্যাচ শেষ হয়ে যাওয়ায় বাড়তি এক দিন বিশ্রামের সময় পাবেন মনোজেরা৷ পরের ম্যাচ যে গ্রুপ শীর্ষে থাকা মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে৷ অজিঙ্ক রাহানে, শিবম দুবে, শামস মুলানিদের মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ইডেনে খেলবে বাংলা৷ রঞ্জির নক আউটে ওঠার জন্য সেই ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ৷ আজ ২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে এই ম্যাচ৷ যদিও লক্ষ্মী বললেন, ‘‘আমি একটা একটা করে ম্যাচ ধরে এগোতে চাই৷ এখনই নক আউট নিয়ে ভাবছি না৷’’