রাষ্ট্রসঙ্ঘে স্বীকৃতি পেল বাংলা ভাষা

গত ১০ই জুন রাষ্ট্র সংঙ্ঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে বহুভাষাবাদের পক্ষে অ্যান্ডোরা ও কলম্বিয়ার আনা প্রস্তাব গৃহীত হয়৷ গৃহী

নিজস্ব সংবাদদাতা

আনন্দমার্গ স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রের যুগান্তকারী আবিষ্কার

পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার ছেলে সাবির হোসেন এক বিশেষ ধরণের পাউডার আবিষ্কার করেছেন যা ব্যবহারে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে ক্ষতস্থানের রক্তপাত বন্ধ হয়ে যাবে৷ পি.এন.এ.

সুপ্রিম কোর্টে সাতে নেই বাংলা প্রতিবাদে সরব ‘আমরা বাঙালী’

সুপ্রিম কোর্ট তার রায় প্রকাশের মাধ্যম হিসাবে হিন্দী, ইংরাজীর সাথে আরও পাঁচটি ভাষাকে বেছে নিয়েছে৷ তার মধ্যে উড়িয়া, অসমিয়া থাকলেও বাংলা ভাষার স্থান হয়নি নিজস্ব সংবাদদাতা

বিশ্ব পরিবেশ দিবসে আবেদন

‘‘মানুষ যেন মানুষের তরে সবকিছু করে যায়৷

               একথাও যেন মনে রাখে পশুপাখী তার পর নয়

নিজস্ব সংবাদদাতা

শব্দ অমৃত

জিজ্ঞাসু

গত সপ্তাহে  লিখেছিলুম শব্দ  দূষণ নিয়ে,  এখন লিখছি  উল্টো কথা৷  বিজ্ঞান-বুদ্ধিতে মেজে ঘষে শব্দের  সুর  তরঙ্গকে কাজে লাগিয়ে  অনেক  দেহ-মানসিক ব্যধি থেকে  মানুষ মুক্তি  পাচ্ছে৷  শব্দ বিজ্ঞানীদের  মতে  সুর-তরঙ্গের  নিরবিচ্ছিন্ন প্রবাহ, কেন্দ্রীয় নার্র্ভস সিস্টেমের  শক্তিক্ষেত্রকে প্রভাবিত  করে৷ সঙ্গীতের  তাল মিনিটে ষাট  বা তার কম হলে  টেনশন  কমায়, সত্তরের বেশি  হলে টেনশন বাড়ায়৷ যে কোনো  পুরাতন  বা নোতুন অসুখ, যন্ত্রণা ইত্যাদি  থেকে মুক্তি  পেতে পজিটিব মাইক্রোবাইটামের  সংখ্যা বাড়াতে  পরিপূরক  হিসেবে  ভারতীয় রাগ রাগিনীর  সাহায্য নেওয়া হচ্ছে৷ ভৈরবী, ভীমপল্লশ্রী আহেরি ভৈরব, বসন্ত বিহার, বাগেশ্রী, আ

ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনই হলো বরাক উপত্যকায় বাঙালী জনগোষ্ঠীর একমাত্র বাঁচার পথ

প্রভাত খাঁ

অত্যন্ত দুঃখের কথা এদেশের শিক্ষিত ব্যষ্টিগণ মনে হয় ভুলেই গেছেন সেই অষ্টাদশ শতাব্দীর ভয়ংকর ষড়যন্ত্রের ইতিবৃত্ত৷ বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দোল্লা যখন মাত্র ১৮ বছরের তরুণ তাঁকে সরিয়ে পলাশীর প্রান্তরে ইংরেজ এর সঙ্গে নাটক করে বিশ্বাসঘাতক সিপাহ সালার মিরজাফর সিংহাসন দখল করেন৷ আর বন্দী নবাব সিরাজকে নামাজে রত অবস্থায় মোহম্মদী বেগকে দিয়ে পৃষ্ঠ দেশে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করানো হয় মিরজাফরের পুত্র মিরনকে দিয়ে৷ যাঁর মৃত্যু ঘটে বজ্রাঘাতে ! সেই যে বিশ্বাসঘাতকতার ঘটনা সেটাই একনাগাড়ে চলে আসছে এই হতভাগ্য বাংলায় অদ্যাবধি৷

শহীদ ক্ষুদিরাম বসু ও ভারতবর্ষের স্বাধীনতা

গৌতমচন্দ্র চন্দ্র

শহীদ ক্ষুদিরাম বসু ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক কিংবদন্তী যুবক প্রতিভা৷ ক্ষুদিরাম বসুর আত্মবলিদান সমকালে জনমানসে প্রবল আলোড়ন তুলেছিল৷ দেশ প্রেম আর বাঙালী চারণ কবিরা তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্যে গান গেয়ে দেশ প্রেমের বার্তা গ্রামে ও গ্রামান্তরে ছড়িয়ে দিতেন৷ ফাঁসির পরবর্তী কালে পরাধীন ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামে যথেষ্ট ভাবাবেগ ও উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছিল যা এককথায় অকল্পনীয় ছিল৷Khudiram Bose

শব্দ দূষণের ক্ষমতা

জিজ্ঞাসু

শহুরে জীবনযাত্রার বৈশিষ্ট্য---যান্ত্রিক জীবন, দেহ-মানসিক অজ্ঞতা, মনোযোগ আকর্ষণ করার অহংমন্যতা, জেদাজেদির প্রতিযোগিতা, অন্যকে আচমকা ভয় দেখিয়ে হীরো হবার প্রবণতা৷ আর, দারিদ্র্য, অশিক্ষা, কুভ্যাসগ্রস্ত মানুষেরা মানসিকভাবে হীনম্মন্যতায় ভোগেন৷ এজন্য সমাজের বিরুদ্ধে একটা গোপন ঘৃণা ও প্রতিহিংসার ইচ্ছা তাদের মনের গভীরে থাকেই৷ রাত দিনের যে কোনো সময় খেলা বা পূজো বা যে কোনো ধর্মীয় উৎসবের বাহানা দেখিয়ে প্রচণ্ড আওয়াজের ডি জে সাউন্ড সিস্টেম অথবা মধ্যরাতে ঢাকের বাজনা বা ভয়ংকর শব্দ বাজী ফাটিয়ে ওরা সেই প্রতিশোধ ন্যায়৷ আর ওই কাজের সাথে যুক্ত থাকা মানুষগুলি মানসিকভাবে অসুস্থ থাকে ওই বিশেষ সময়ে কম বা বেশি , শব্

অসমে বাঙালী বিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলা প্রয়োজন

সত্যসন্ধ দেব

গত ৩০শে জুলাই অসমে নাগরিকপঞ্জীর (এন.আর.সি) চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশিত হল৷ তাতে দেখা যাচ্ছে প্রায় ৪০ লক্ষ বাঙালীর নাম বাদ পড়েছে৷ আবার আবেদন নিবেদনের জটিল প্রক্রিয়ায় সুযোগের কথা বলা  হলেও তারপরেও যে লক্ষ লক্ষ বাঙালীর নাম বাদ পড়বে তাতে কারুর কোনো সন্দেহ নেই অর্থাৎ এককথায় তারা সরাসরি বিদেশী বলে চিহ্ণিত হবে৷  তাদের এদেশে থাকার কোন অধিকার নেই! বাঙলাদেশও তাদের নিতে অস্বীকার করেছে৷ অগত্যা ডিটেনশন ক্যাম্প নামক নরকের যন্ত্রণা তাদের ভোগ করতে হবে৷ অসমের  জেলা-কারাগারগুলির এগুলি হলো বর্ধিত অংশ৷

দেশভাগের বিনিময়ে  স্বাধীনতাপ্রাপ্তি নামক  বিষবৃক্ষের একটি বিষাক্ত ফল এন.আর.সি.

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

ভারতের স্বাধীনতা লাভের সাতদশক পরেও  সুপ্রাচীন বাঙালী জনগোষ্ঠীর ভাগ্যাকাশে নোতুন ক’রে কালো মেঘের ঘনঘটা,  আবার একবার  উদ্বাস্তু হওয়ার অশনি সংকেত--- যার প্রেক্ষাপট রচনা করেছে অসমের ‘‘জাতীয় নাগরিকপঞ্জী’’ বা এন.আর.সি৷ ভারতের স্বাধীনতার ৭১তম  বর্ষপূর্ত্তির প্রাক্কালে ৩০শে জুলাই ২০১৮  প্রকাশিত হল অসমের  চূড়ান্ত নাগরিক পঞ্জী  বা এন.আর.সি-র খসড়া যেখানে বাদ পড়েছে ৪০,০৭,৭০৭ জনের নাম  যার বৃহদংশই বাঙালী৷  সরকারী আমলা শ্রীযুক্ত প্রতীক  হাজেলার নেতৃত্বাধীন  এন.আর.সি কর্তৃপক্ষের  বয়ান অনুযায়ী---পূর্র্ণঙ্গ নাগরিকপঞ্জী আগামী ৩১ শে ডিসেম্বর ২০১৮ এর মধ্যে  প্রকাশিত হবে ও  তার আগে বাদ যাওয়া নামগুলি অন্তর্ভূক্ত

নীতিবাদ

দাদাঠাকুরের চিঠি

ছোট্ট ভাইবোনেরা, তোমরা জেনেছ যে মানব জীবনের লক্ষ্য হ’ল ঈশ্বরকে উপলব্ধির দ্বারা আনন্দ লাভ করা৷ কিন্তু আমাদের মনের কামনা–বাসনা, লোভ–লালসা আমাদের ঈশ্বরের দিকে না নিয়ে গিয়ে আপাত সুখের জন্যে জড় ভোগের দিকে নিয়ে যায়৷ মনের এই কামনা বাসনাকে বাধা দিয়ে ভোগমুখী মনকে ঈশ্বরমুখী করা দরকার৷ তার জন্যে চাই কিছু বিধি–নিষেধ৷ যেমন, একটা চারা গাছকে গোরু–ছাগল থেকে রক্ষা করে বড় করে তুলতে গেলে তার চারপাশে বেড়া দেবার প্রয়োজন হয়, ঠিক তেমনি সাধকের সাধনার পথে এগিয়ে চলার জন্যে যে প্রাথমিক বেড়া বা অনুশাসনের প্রয়োজন তার নাম নীতিবাদ বা নৈতিকতা৷

নাগরিক পঞ্জি ঃ কিছু কথা

সুকুমার সরকার

শাসক আর শোষকের কোনো জাত থাকে না৷ ধর্মমত, বর্ণ নির্বিশেষে সবকালে, সবদেশে তাদের একটিই পরিচয়, তা হলো, তারা শাসক ও শোষক! বর্তমান ভারতবর্ষে বিজেপি শাসিত কেন্দ্র সরকার তা আরেকবার ভালো করে প্রমান করে দিল উত্তর-পূর্ব ভারতে নাগরিক পঞ্জি তৈরীর নামে বাঙালী বিতাড়নের মধ্য দিয়ে৷

উত্তর-পূর্ব ভারতের অসম, মনিপুর, মেঘালয়, ত্রিপুরা প্রভৃতি রাজ্যগুলিতে বহু বাঙালির বাস৷ তার মধ্যে আবার ওই রাজ্যগুলির বাঙালি অধ্যুষিত বহু এলাকা ভৌগোলিক ভাবে বাঙালিস্তানেরই অংশ ছিল যা কোনো এক সময় অন্যায় ভাবে ওইসব রাজ্যের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে৷

শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী প্রবর্ত্তিত শিক্ষাপদ্ধতি বিজ্ঞান সম্মত ও সার্থক শিক্ষা-ব্যবস্থার চাবিকাঠি

প্রভাত খাঁ

শিক্ষাব্যবস্থায়  ও শিক্ষা গ্রহণে  যদি  ত্রুটি থাকে  তাহলে সে শিক্ষায় যাইহোক না কেন প্রকৃত শিক্ষিত মানুষ তৈরী হতে পারে না বা হয়না৷  কথায়  আছে মানব জমিন রহিলো পতিত আবাদ করলে  ফলতো  সোনা’’৷ তারই শিক্ষা বিশেষ  করে  সুশিক্ষাই  হলো সেই সুআবাদ, প্রতিটি মানুষের  জীবনে ৷  সেটার দারুণ অভাবের কারণে  প্রকৃত শিক্ষিত মানুষ গড়ে  ওঠে না৷  সেই কারণে  শুধু  এদেশে  নয়  সারা পৃথিবীতে  প্রকৃত সুশিক্ষিত  মানুষের  অভাবে প্রকৃত রাষ্ট্রনায়ক, দেশসেবক  ও সুনাগরিকের  এমন কি ধর্মমতের জগতে দেখা দিয়েছে  দারুণ  সংকট৷  শুধু লোভ, হিংসা, ঘৃণা আর অন্ধ কুসংস্কার, অহংকারেই  সুন্দর এই পৃথিবীটা শ্মশানে পরিণত হয়ে চলেছে৷