সবাই মিলে' এক সঙ্গে চলার নামই সমাজ। যে পিছিয়ে রয়েছে তাকে ঘৃণা না করে' এগিয়ে আসতে সাহায্য কোরো। এটাই হবে তোমার সমাজ-ধর্ম।
-- শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তি
সবাই মিলে' এক সঙ্গে চলার নামই সমাজ। যে পিছিয়ে রয়েছে তাকে ঘৃণা না করে' এগিয়ে আসতে সাহায্য কোরো। এটাই হবে তোমার সমাজ-ধর্ম।
-- শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তি
বেশ কিছু দিন যাবৎ গণমাধ্যমগুলিতে কলকাতা মহানগরী ও রাজ্যের বিভিন্ন কলেজগুলিতে ছাত্রভর্তির বিষয়ে যে সংবাদ সমূহ পরিবেশিত হয়ে চলেছে তার অভিঘাতে জনসাধারণ, বিশেষতঃ ছাত্র-ছাত্রাদের অভিভাবকগণ আতঙ্কিত ও সন্ত্রস্ত৷ প্রথমতঃ উচ্চমাধ্যমিক ও তার সমতুল পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর কলেজগুলিতে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ভর্ত্তির ফর্ম তোলা ও সেই ফর্মগুলি পূরণ করে যথাস্থানে জমা দেওয়া৷ এরপর মেধা ভিত্তিক বিভিন্ন বিষয়ের অনার্স ও পাসকোর্
আজকের সমাজের সর্বস্তরে ভুল আহারের কারণে দৈহিক-মানসিক ব্যাধির প্রকোপ বেড়ে যাচ্ছে---রক্ত, চামড়া, পাকস্থলী, হাড়, সন্ধি, ব্রেনের অসুখের কারণে ডাক্তার, হাসপাতাল ও ওষুধের পেছনে অর্থদণ্ড দিতে হচ্ছে, সময় নষ্ট হচ্ছে, শক্তি নষ্ট হচ্ছে৷ আজ শুধু ডিম ও মুরগী বিষয়ে লিখব৷ সস্তায় প্রোটিন, ভিটামিনের নামে ছেলে-বুড়ো সবাই ডিম খাচ্ছে৷ মুরগীর মলদ্বার থেকে বের হওয়া ডিম বস্তুটি আসলে তো আন-ফার্টিলাইজড্ অপুষ্ট, অসহায় এক পাখীর সম্ভাবনা৷ অপ্রকাশের অসহায় ক্রন্দনে যা ভরা থাকে৷ যার জন্ম হতে হতেও হতে পারল না৷ এবার জানাই কী অবস্থায় মুরগী ডিম দেয়৷ মুরগীর খাদ্য চাই, কিন্তু পোলট্রি মালিকদের শুধু ব্যবসায়িক লোভে অর্থ বাঁচাতে, ম
পূর্ব প্রকাশিতের পর ঃ
যোগ সম্পর্কে আগের সংখ্যাতে যা বলেছি তা বিশেষ করে যোগের আধ্যাত্মিক দিক নিয়ে৷ এখন আমি আলোচনা করব প্রধানতঃ যোগাসন নিয়ে৷ প্রথমে আমি এর ইতিহাস ও বর্তমান সম্পর্কে কিছু বলতে চাই৷ ইতিহাসের আগে একটু বর্তমান সম্পর্কে বলব৷ যোগাসন নিয়ে বর্তমানে বিশ্ব তোলপাড়৷ যোগাসন দৈনন্দিন জীবনে প্রত্যহ অনুশীলন করতে হলে আপনাকে অবশ্যই উপযুক্ত শিক্ষকের কাছে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে৷ তা কিন্তু খুব একটা কেউ করছেন না৷ এই না করার ফল অত্যন্ত ক্ষতিকারক৷ উদাহরণস্বরূপ শীর্ষাসন ও সর্বাঙ্গাসনের কথা আমি এর আগেই বলেছি৷
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন গত ৮ই জুলাই মম্তব্য করেছেন যে গত ২০১৪ সাল থেকেই কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের শাসনকালে ভারত সম্পূর্ণ ভুল পথে হেঁটে চলেছে৷ আর্থিক উন্নয়নের নামে ভুল করতে করতে পিছিয়ে পড়ছে দেশ৷ এই সালে শ্রী মোদি বোটে জিতে লোকসভায় আসেন৷ শ্রী অমর্ত্য সেনের মতে আজও তপশীলি উপজাতিভুক্ত ব্যষ্টিরা উপেক্ষিত হয়ে আছে৷ তাঁর মতে সরকার জাত-পাত বিষয়ক সমস্যাগুলি ঠিকমতো সামলাতে পারেন নি ৷
ছোট ভাইবোনেরা, বৈচিত্র্যময় এই জগতে আমরা নানান ধরণের বস্তু দেখতে পাই৷ তাদের প্রত্যেকেরই কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য বা গুণ আছে যা দেখে আমরা সেই বস্তুটিকে চিনতে পারি৷ যেমন আগুনের বৈশিষ্ট্য হ’ল তাপ ও আলো দেওয়া, জলের বৈশিষ্ট্য হ’ল ভেজানো বা নীচের দিকে গড়িয়ে যাওয়া৷ বস্তুর এই বিশেষগুণ বা বৈশিষ্ট্যকেই তার ধর্ম বলে৷
রামায়ণে দেখি সীতাহরণের জন্যে রাবণকে সন্ন্যাসীর ভেক নিতে হয়েছিল৷ কেন?
সারা পৃথিবীতে ‘যোগ’ এখন একটি বিশেষ জনপ্রিয় নাম৷ যদিও ‘যোগ’ শব্দটা হয়ে গেছে ‘যোগা’৷ এর উৎপত্তিস্থল প্রাচীন ভারতের মুনি-ঋষি তথা যোগীদের আশ্রম৷ কিন্তু বর্তমান পৃথিবীতে ‘যোগ’ থেকে জাত ‘যোগা’ শব্দটির দ্বারা আমরা যা বুঝি কেবলমাত্র বিশেষ রকমের শারীরিক কসরৎ অর্থাৎ exercise অর্থাৎ মহর্ষি পতঞ্জলির অষ্টাঙ্গিক যোগ সাধনার কেবলমাত্র ‘আসন’৷ না, এই আসন মানে যোগ নয়৷ আবার যদি আসনটিও দেহের জন্য ঠিকভাবে দৈনিক করতে হয় তাহলেও তা ঠিক শিক্ষকের কাছ থেকে শিখতে হয়---যাঁর শরীর বিদ্যা ও চিকিৎসা বিদ্যা সম্বন্ধে জ্ঞান আছে৷ যদি তা না করা হয় তবে লাভের থেকে ক্ষতির সম্ভাবনা বেশী থাকবে৷ উদাহরণ স্বরূপ---শীর্ষাসন৷ শীর্ষাসন সবা
আজ ভারতের চিন্তাশীল সকল নিরপেক্ষ নাগরিককে ভাবতে হচ্ছে দেশ কোন পথে এগুচ্ছে৷ দেশের ভবিষ্যৎ-ই বা কী? এদেশের স্বাধীনতা লাভের মধ্যেই ছিল বিরাট পরিহাস! বিদেশী শাসকদের শোষণের হাত থেকে দেশের স্বাধীনতা রক্ষায় যাঁরা আত্মত্যাগ করেন তাঁদের মধ্যে কেউই চিন্তা করেন নি যে লক্ষ লক্ষ নিরীহ নরনারী, শিশুর সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে অকাল মৃত্যুর বিনিময়ে জন্মভূমিকে বিভক্ত করে এক অশুভ রাজনৈতিক স্বাধীনতা দেশের জনগণ লাভ করবে!
মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্ব বা প্রাউটের ভিত্তি হ’ল নব্যমানবতাবাদ৷ বিশ্বের সমস্ত মানুষ, শুধু মানুষই নয়, পশুপক্ষী, তরুলতা সকলের কল্যাণই নব্যমানবতাবাদের মূল কথা৷
এই পৃথিবীর রুক্ষ মাটিতে এর বাস্তবায়ন হবে কিভাবে? তাও প্রাউট-প্রবক্তা তাঁর সমাজ দর্শনে উল্লেখ করেছেন৷ এই পথ হ’ল প্রাউটের ‘সমাজ আন্দোলনে’র পথ৷ এখানে এই ‘সমাজ’ কথাটি একটি বিশেষ অর্থ বহন করে৷ এখানে ‘সমাজ’ বলতে বোঝানো হয়েছে এক-একটি স্বনির্ভর হওয়ার সম্ভাবনাপূর্ণ সামাজিক-অর্থনৈতিক অঞ্চলের জনগোষ্ঠী (সোসিও-ইকনমিক- ইয়ূনিট)৷