আক্রান্ত জে এন ইউ l  নীরব দর্শক দিল্লী পুলিশ বাঙালীর রক্তে ভাসল রাজধানী শহর

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

রাতের অন্ধকারে কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে দিল্লীর জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে  নৃশংস, বর্বরোচিত ভাবে হামলা করল একদল দুষ্কৃতি৷ বাদ যায়নি  মেয়েদের হোষ্টেল, অ্যাম্বুলেন্সও৷ গুরুতর আহত হয়েছেন ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ, অধ্যাপিকা সুচরিতা সেন সহ আরো অনেকে৷ প্রায় এক কিলোমিটার দৌড়ে প্রাণ বাঁচিয়েচেন আর এক বাঙালী গবেষক ছাত্রী শ্রেয়সী বিশ্বাস৷  ছাত্র ও অধ্যাপকদের বৃহৎ অংশের দাবী এবিভিপির গুণ্ডা বাহিনী এই হামলা করেছে৷ যদিও এবিভিপি তা অস্বীকার করেছে৷

উত্তরপ্রদেশে সিএএ বিরোধী আন্দোলন দমন করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে ২১ জন মারা গেছে৷ জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশী বর্বরতা, শাহিনবাগে অত্যাচার, জে.এন.ইউ-তে বর্বরোচিত আক্রমণে শক্তির দম্ভে উন্মত্ত শাসকের বিভৎস পাশবিক রূপ বেরিয়ে এসেছে৷ পুরো ঘটনায় জে.এন.ইউ কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ নীরব দর্শক ছিল৷ পুলিশের সামনে দিয়েই একের পর এক হোষ্টেলে গিয়ে হামলা চালিয়েছে গুণ্ডা বাহিনী৷

যেভাবে এই হামলা চালানো হয়েছে তা অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ও দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার সংঘটিত অপরাধ৷ দেশের রাজধানী শহরে বছরের প্রথম রবিবার এই নৃশংস নক্কারজনক ঘটনা সভ্য সমাজের কাছে, বিশ্বের  দরবারে ভারতের মাথা নত করে দিয়েছে৷

সমাজের সর্বস্তরের মানুষ এই বর্বরোচিত  ফ্যাসিস্ট আক্রমনের প্রতিবাদে সরব হয়েছেন৷ দেশ জুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে৷ অভিযোগ উঠছে বিজেপির ছাত্র সংঘটন এ.বি.ভি.পি ও আর এস এস-র দিকে৷ অবস্থা সামাল দিতে শাসক দলের নেতারাও ঘটনার নিন্দা করছে৷ তবে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দুষ্কৃতিদের পাশেই দাঁড়িয়েছেন৷ তিনি ষ্পষ্টই বলেছেন---ওদের মারাই দরকার৷

বাঙালী ছাত্র যুব সমাজের পক্ষ থেকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়৷ বাঙালী ছাত্র সমাজের নেতা তপোময় বিশ্বাস বলেন শিক্ষার নামে গুণ্ডা বাহিনী তৈরী করছে দেশের শাসক দল৷ হামলাকারীদের কঠিন সাজা হওয়া উচিত৷