১৫ই জানুয়ারী, কপিল মেলা-- প্রতি বছরের মত পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে মহা সাড়ম্বরে কপিল মেলা উৎসব উদ্যাপন হয়৷ এই দিনটিতে পাট ঝালদা গ্রামে মহর্ষি কপিল মুনির আবির্ভাব হয়েছিল৷ ওই দিনটিতে সাগরমেলাতেও দেশের বহু সাধুসন্ত, মুনীঋষিগণ উপস্থিত হন৷ কিন্তু মহর্ষি শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার তথা আনন্দমূর্ত্তিজী ‘সভ্যতার আদিবিন্দু রাঢ়’ গ্রন্থে এর ঐতিহাসিক দিক উল্লেখ করেছেন৷ এ বছরও পৌষ সংক্রান্তিতে আনন্দনগর তথা ঝালদার মার্গী দাদা-দিদি, সন্ন্যাসী-সন্ন্যাসিনীবৃন্দ তাঁর জন্মস্থানে উপস্থিত হয়ে তাঁর জন্মদিনটি শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করেন৷ তিন ঘণ্টা ব্যাপী অখণ্ড কীর্ত্তন, মিলিত সাধনার পর আচার্য প্রজ্ঞাধীষানন্দ অবধূত স্বাধ্যায় করেন৷
‘কপিল মুনি’ সম্পর্কে ও রাঢ়ের নানান ঘটনার বিভিন্ন দিক নিয়ে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন আচার্য মুক্তানন্দ অবধূত ও শ্রী অশোক সিংদেও৷ কপিল মুনির ওপর ও সামাজিক নানান দিক নিয়ে প্রশ্ণ-উত্তরের মধ্যে দিয়ে ক্যুইজ প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করেন শ্রী সনৎ মাহাত৷ ক্যুইজে অংশগ্রহণকারী প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারীদের পুরসৃকত করা হয়, পাট ঝালদা গ্রামের দরিদ্র বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়৷ বোকারোর বিশিষ্ট মার্গী শ্রী দেবেন্দ্র নারায়ণ সিংয়ের অর্থানুকুল্যে ১০০ জন গরীবের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়৷ শ্রী চক্রধর কালিন্দী মহাশয়ের উদ্যোগে দরিদ্র মানুষদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অবধূতিকা আনন্দ ব্রতীশা আচার্যা, অবধূতিকা আনন্দ সুমিতা আচার্যা, অবধূতিকা আনন্দ তপশীলা আচার্যা মহিলাদের ও বৃদ্ধদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করেন৷ মেলাতে ৫০০ জনকে নারায়ণ সেবায় আপ্যায়িত করা হয়৷ আচার্য প্রজ্ঞাধীশানন্দ অবধূত, আচার্য শুভপ্রসন্নানন্দ অবধূত, ঝালদার ডি.এস. প্রমুখ এঁদের উদ্যোগে অনুষ্ঠানটি প্রভাত সঙ্গীত, প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে নৃত্য সহ একটি সুন্দর সাংসৃকতিক পরিমণ্ডলে রূপ নেয়৷
*১৫ই জানুয়ারী, টুসু মেলা---
গত ১৫ই জানুয়ারী আনন্দনগর পি.পি.হোস্টেল ময়দানে টুসু মেলা উপলক্ষ্যে একটি লোক সংসৃকতির আয়োজন করা হয়৷ সঙ্গে ছিল নানান রকমের প্রতিযোগিতামূলক খেলাধূলা৷ এছাড়া প্রভাত সঙ্গীত প্রতিযোগিতা ছিল উল্লেখযোগ্য৷ সমস্ত প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানধিকারীদের পুরস্কার দেওয়া ছাড়াও প্রতিযোগীদের সকলকে বিশেষভাবে পুরসৃকত করার ব্যবস্থাও ছিল৷
এই মেলায় আনন্দনগরের পাশ্ববর্তী বিভিন্ন গ্রাম থেকে বহু মেয়ে নানান সুরে নানান কথায় টুসু গান গাইতে গাইতে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়৷ সন্ন্যাসী-সন্ন্যাসিনী দাদা-দিদিরা তাদের হাতেও পুরস্কার তুলে দেন৷
২৯শে জানুয়ারী বিদ্যাদিবস পালন
২৯শে জানুয়ারী ‘বিদ্যাদিবস’ পালিত হ’ল চিতমু গ্রামের জাগৃতিতে৷ তরুণ গরাঞ-এর উদ্যোগে তিন ঘণ্টা ব্যাপী অখণ্ড কীর্ত্তন, মিলিত সাধনা, গুরুপূজা ও স্বাধ্যায় হয়৷ বক্তব্য রাখেন আচার্য দেবাত্মানন্দ অবধূত৷ সবশেষে মিলিত আহারে উপস্থিত সকলে অংশগ্রহণ করেন৷
২৬শে জানুয়ারী ভলাণ্টিয়ার্স সোশ্যাল সার্ভিস কর্তৃক ‘সকলের জন্য খাদ্য’---
এই কর্মসৈূচীতে আনন্দনগর ভলাণ্টিয়ার সোশ্যাল সার্ভিস আনন্দনগরের বেলামু গ্রামে গ্রামবাসীদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ করেন৷
* শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা
গত ২৭ ও ২৮শে জানুয়ারী ২০২০ আনন্দনগর উমানিবাসের প্রাইমারী ও হাইস্কুলের ছাত্রাদের নিয়ে শীতকালীন বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠিত হয়৷ উপস্থিত দাদা-দিদিরা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন৷
* আনন্দনগর উমানিবাসের এ্যামার্ট (এল)
গত ১৯শে জানুয়ারী আনন্দনগর উমানিবাসের এ্যামার্ট (এল) ইয়ূনিট কর্তৃক বারুডি গ্রামে দরিদ্র সীমার নীচে থাকা গ্রামবাসীদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে৷
এছাড়া ১৫ই জানুয়ারী মকর সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে উক্ত এ্যামার্ট (এল) ইয়ূনিট জেডারু গ্রামে দরিদ্র্য সীমার নীচে বসবাসকারী গ্রামবাসীদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করেন৷