স্বদেশ প্রেমের অপর নাম ঃ তেইশে জানুয়ারী
তেইশে জানুয়ারী!
- Read more about স্বদেশ প্রেমের অপর নাম ঃ তেইশে জানুয়ারী
- Log in to post comments
তেইশে জানুয়ারী!
গত ১৩ই জানুয়ারী সোমবার বিকাল ৩ টায় তিলজলাস্থিত আনন্দমার্গ আশ্রমে একটি শ্রদ্ধাঞ্জলী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়৷ গত ২১শে ডিসেম্বর রাত্রি ১২টা ৫৮ মিনিটে টাটানগরে একটি নার্সিহোমে আনন্দমার্গের আইনবিভাগের কেন্দ্রীয় সচিব আচার্য পরাবিদ্যানন্দ অবধূত প্রয়াত হয়ে পরমপুরুষের স্নেয়ময় ক্রোড়ে আশ্রয় গ্রহণ করেন৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিল ৫৫ বছর৷ ১৯৮৯ সালে তিনি আনন্দমার্গ সংঘটনে সন্ন্যাস গ্রহণ করেন ও দীর্ঘদায়িত্বের সঙ্গে ভারতবর্ষ তথা বহিঃভারতের বিভিন্ন দেশের মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন৷
বহু আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধব এর উপস্থিতিতে সোদপুর নিবাসী বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রী চণ্ডীচরণ মুড়া ও শ্রীমতি নবনীতা মুড়ার কন্যার নামকরণ ও অন্নপ্রাশন আনন্দমার্গের সমাজ শাস্ত্র অনুসারে অনুষ্ঠিত হয়৷ অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন অবধূতিকা ঋতব্রতা আচার্যা৷ শিশুকন্যা নামকরণ করা হয় ‘কথাকল্পা’৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে নিরামিষ ভোজনে আপ্যায়িত করা হয়৷
গত ১২ই জানুয়ারী নিউব্যারাকপুরে বিশিষ্টমার্গী শ্রী মোহন অধিকারীর বাড়িতে ১১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ৬ঘন্টা ব্যাপী মানবমুক্তির মহামন্ত্র বাবা নাম কেবলম্’ অখণ্ড সংকীর্তন অনুষ্ঠিত হল৷ কীর্তন পরিচালনা করেন অবধূতিকা আনন্দ নীতিসুধা আচার্যা, অবধূতিকা আনন্দ অভিষা আচার্যা, হরলাল হাজারী, আচার্য শিবপ্রেমানন্দ অবধূত, শ্রীমতি মিতা দাস প্রমুখ৷ কীর্তনের মধুর ধবনিতে পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে বহু ভক্ত মার্গী ছুটে আসেন কীর্ত্তন অঙ্গনে৷
মশাট, হুগলী ঃ গত ১২ই জানুয়ারী হুগলী জেলার মশাটে ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটনের পক্ষ থেকে স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিবস পালন করা হয়৷ স্বামীজীর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন প্রবীণ প্রাউটিষ্ট তথা ‘আমরা বাঙালী’ নেতা শ্রীযুক্ত প্রভাত খাঁ মহাশয়৷ উপস্থিত অন্যান্য নেতৃবৃন্দও স্বামীজীর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন৷ স্বামী বিবেকানন্দের জীবন ও আদর্শ সম্পর্কে নাতিদীর্ঘ আলোচনা করেন শ্রীযুক্ত প্রভাত খাঁ মহাশয় ও ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটনের হুগলী জেলা সচিব শ্রীজ্যোতিবিকাশ সিন্হা৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা করেন যুব নেতা শ্রী কৌশিক সাঁতরা ও শ্রী সন্দীপ পোড়েল৷
গত ১৪ই জানুয়ারী দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চলে ‘আমরা বাঙালী’ কর্মী সমর্থকরা নাগরিক সংশোধনী আইন ও এন.আর.সি-র প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন৷ হাজরা পার্ক, কালিঘাট সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় সভাও করেন৷ সভায় বক্তারা বলেন বাঙালীর রক্তে দেশ স্বাধীন হয়েছে৷ সেই বাঙালীর একজনকেও বিদেশী চিহ্ণিত করলে ফল খারাপ হবে৷ দেশে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে তার জন্যে দায়ী থাকবে কেন্দ্রীয় সরকার৷ সভায় বক্তব্য রাখেন আমরা বাঙালী-র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জয়ন্ত দাশ, বাঙালী মহিলা সমাজের নেত্রী অনন্যা সেনগুপ্ত, ছাত্র যুব সমাজের আহ্বায়ক তপোময় বিশ্বাস, কলকাতার জেলা সচিব গোপাল রায় চউধুরী, অরূপ মজুমদার, বাপী পাল প্রমুখ৷
গত ১০ই জানুয়ারী বাঙালী ছাত্র যুব সমাজের পক্ষ থেকে শিয়ালদহের মেন ষ্টেশনের সামনে এন.আর.সি., সি.এ.এ.
গত ১২ই জানুয়ারী স্বামী বিবেকানন্দের ১৫৭-তম জন্মদিবস উপলক্ষ্যে বাঙালী ছাত্র যুব সমাজের পক্ষ থেকে বারাসত ষ্টেশনের সামনে একটি সভার আয়োজন করা হয়৷ বিবেকানন্দের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে সভার কাজ শুরু হয়৷
সভায় উপস্থিত ছিলেন ছাত্র যুব সমাজের আহ্বায়ক তপোময় বিশ্বাস, বাপী পাল, মমতা ঘোষাল, মৌমিতা পাল প্রমুখ৷
১২ই জানুয়ারী হাওড়ার আন্দুলে আমরা বাঙালী এন আর সি-র বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সভা করে৷ এই সভায় বিভিন্ন বক্তা এনআরসি, এনপিআর যাতে বাঙলায় না করা যায় তার জন্যে সবরকম প্রতিবাদ আন্দোলনে সামিল হতে বাঙালী জনগোষ্ঠীকে আহ্বান জানায়৷ সভায় বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমরা বাঙালী কেন্দ্রীয়কমিটির সদস্য জয়ন্ত দাশ, গোপাল রায়চউধুরী, অরূপ মজুমদার, মুরারী কাঁড়ার প্রমুখ৷
প্রাউট প্রবক্তা শ্রদ্ধেয় দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার তাঁর যুগান্তকারী প্রাউট তত্ত্বে শোষণের কয়েকটি পর্যায় ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফ্যাসিষ্ট শোষণ সম্পর্কে বলেছেন---‘ফ্যাসিষ্টদের ক্রুরদৃষ্টি যে জনগোষ্ঠীর ওপর নিবদ্ধ হবে সেই জনগোষ্ঠীকে তারা প্রথমেই চেষ্টা করবে তাদের নিজস্ব সামাজিক-সাংস্কৃতিক পরিবেশ থেকে উৎখাত করতে৷ স্বাধীনতার আগে থেকেই দেশীয় ফ্যাসিষ্ট শোষকদের ক্রুরদৃষ্টির শিকার বাঙালী জনগোষ্ঠী৷ তাই আজ বাঙলার সামাজিক-অর্থনৈতিক-সাংস্কৃতিক সর্বক্ষেত্রেই অবক্ষয়৷