January 2020

ঠাকুরনগরে আনন্দমার্গের নবগঠিত স্কুলের দ্বারোদঘাটন

৮ই জানুয়ারী উত্তর ২৪ পরগণার ঠাকুরনগর চৌরোঙ্গীতে আনন্দমার্গের নবঘটিত স্কুলের দ্বারোদঘাটন হয়৷ এদিন সকাল থেকেই বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রা, অভিভাবকবৃন্দ ও স্থানীয় মার্গী ভাই-বোনেরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয়৷ নবনির্মিত বিদ্যালয় গৃহের আনুষ্ঠানিক প্রবেশের পর বিদ্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠাত্রন শুরু হয়৷

কবে হবে বলা শক্ত

ভারত অর্থনীতিতে পাঁচ লক্ষ কোটি ডলার স্পর্শ করবেই, কিন্তু কবে করবে, কত সময় লাগবে তা এই মুহূর্ত্তে বলা যাবে না৷ যদিও সরকারের লক্ষ্যমাত্রা ২০২৪-২৫ সাল৷ কিন্তু সেই সময়ের মধ্যে হবে না৷ এমনই মন্তব্য করলেন স্টেট ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান রজনীশ কুমার৷ তিনি আরও মনে করেন শুধুমাত্র সরকারী লগ্ণীতে এই লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব নয়৷ লক্ষ্যে পৌঁছতে হলে সরকারকে বে-সরকারী লগ্ণীর ওপর নির্ভর করতেই হবে৷

প্রাচীন বাঙলার খাদ্যাভাস প্রসঙ্গে

বাংলায় ‘গাছা’, ‘গাছি’, ‘গাছিয়া’, (‘গেছে’)–এইসব নামে প্রচুর স্থান রয়েছে৷ বাংলা ভাষায় এই ‘গাছ’ কথাটার উৎস জানা দরকার৷ গাছের সংস্কৃত প্রতিশব্দ ‘বৃক্ষ’ কিন্তু তাই বলে বাংলা ‘গাছ’ শব্দটা সংস্কৃত ‘বৃক্ষ’ থেকে আসে নি বা ‘গাছ’ শব্দটার মূল কোন সংস্কৃত শব্দ নেই৷ ‘গাছ’ শব্দটা এসেছে মাগধী প্রাকৃত ‘গ্রৎস’ শব্দ থেকে৷ ‘গ্রৎস’ মানে যে নড়াচড়া করে না৷ গ্রৎস> অর্দ্ধমাগধীতে ‘গচ্ছ’>পুরোনো বাংলায় ‘গচ্ছা’>বর্তমান বাংলায় ‘গাছ’৷ বারশ’ বছরের পুরোনো বাংলা কবিতায় আছে–

‘‘ওগগ্র ভত্তা রম্ভা পত্তা গাইক্ক ঘিত্তা দুগ্ধ সজত্তা৷

নালি গচ্ছা মুল্লা মচ্ছা দীজ্জই কন্তা খাএ পুণ্যবন্তা৷’’

মৃত্যুর মিছিল

প্রভাত খাঁ

এ কোন সভ্যতা এ কোন ব্বরতা?

মৃত্যুর মিছিল চলে নেশার ঠেকে

আর হাসপাতালে অবিরাম গতিতে

গৃহে গৃহে ক্রন্দনের রোল,

এদিকে জ্বলন্ত বাতি হাতে নগরের রাস্তায় রাস্তায়

বিদেহী অতৃপ্ত আত্মার শান্তি কামনায়

নীরব পদচারণার এক মর্মন্তুদ ছবি

         চোখে আনে জল

এ কার পাপ? কোন অপরাধীর অপরাধের

এতো বড়ো ভয়ংকর নারকীয় পরিণতি?

গণতন্ত্রের বুকে এ কোন কদাচারী

শাসকের শাসনের কদর্য কুকর্মের ফল?

ন্যায় সত্য ধর্মের ঠুলি পরে আছে যারা

হতভাগ্য মানুষের তরে কতটুকু

সেবা দিতে পেরেছে তারা

আসা

কবি রামদাস বিশ্বাস

আসা যাওয়া ভবের খেলা সবাই বলে গানের সুরে

আসতে হবে এই ভূবনে বারে বারে ঘুরে ঘুরে৷

কোথা থেকে আসব আমি কোথায় আবার যাব চলে

কেউ জানি না সেই ঠিকানা কেউ ঠিকানা দেয় না বলে৷

কী কারণে আসা হেথা কেন সেথা চলে যাওয়া

কেউ কি বলে দেবে আমায় কেন হেথায় তরী বাওয়া৷

শুনেছি মানুষের জীবন শ্রেষ্ঠ জীবন ভূমণ্ডলে

দেখেছি মানুষ পশু হয়ে চরছে বনে জঙ্গলে৷

কেউ জানে না সুখ-দুঃখ দুটোই আছে সমান সমান

সবাই ভাবে দুঃখ বেশী সুখ নাই কণা প্রমাণ৷

দুঃখে পুড়ে সুখের আশায় বারে বারেই যাওয়া আসা

আশায় আশায় ভূমণ্ডলে শূন্য মাঝে শুধুই ভাসা

গোবিন্দবাবুর ঝকমারি

গণ  অন্ন ঞ্চ গণান্ন৷ ভাবারূঢ়ার্থে ‘গণান্ন’ বলতে বোঝায় যে অন্ন বা খাদ্য অনেকের জন্যে পাক করা হয়েছে৷ যোগারূঢ়ার্থে গণান্ন বলতে বোঝায়–বিশেষ ধরনের গণ–নবান্ন উৎসব৷

সিএএ-র প্রতিবাদে ক্রিকেট মাঠে কালো পতাকা

৫ই জানুয়ারী অসমে গুয়াহাটি স্টেডিয়ামে ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ ছিল৷ কিন্তু অকাল বর্ষণ সেই ম্যাচ পণ্ড করে দেয়৷ তবে ম্যাচের মধ্যে রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপ বজায় ছিল৷ ম্যাচের আয়োজন চলছে, বৃষ্টি তখনও শুরু হয়নি৷ দর্শকরা মাঠে উপস্থিত৷ হঠাৎ দেখা গেল ম্যাচের দুই ভি.আই.পি. অতিথি মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল ও অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা মাঠে প্রবেশ করলেন৷ তাঁদের দেখেই সি.এ.এ. বিরোধী কিছু দর্শক চিৎকার শুরু করলেন---সর্বানন্দ গো ব্যাক৷ হিমন্ত বিশ্বশর্মা গো ব্যাক৷ কারো কারো হাতে কালো পতাকাও ছিল৷ পুলিশ অবশ্য দ্রুত অবস্থা সামাল দেয়৷ শান্তিতেই মিটে যায় প্রতিবাদ পর্ব৷

 

শীর্ষে কোহলি

এ‘খনও পর্যন্ত শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন বিরাট কোহলি৷ সারা বিশ্বে টেস্ট খেলোয়াড়দের মধ্যে তিনি সেরা৷ আন্তর্জাতিক ক্রমতালিকায় তাঁর পয়েণ্ট ৯২৮৷ দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছেন স্টিভ স্মিথ৷ আর দ্রুত এগিয়ে এসে তৃতীয় স্থান দখল করেছেন অজি প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান মানাস লাকুশানে৷ নিউজিল্যাণ্ডের বিরুদ্ধে এই উদীয়মান তারকা ব্যাটসম্যান একটি ডবল সেঞ্চুরী হাঁকিয়েছেন৷  ভারতের অজিঙ্ক রাহানে ও চেতেশ্বর পূজারা অবশ্য র‍্যার্ঙ্কিংয়ে কয়েক ধাপ পিছিয়ে গেলেন৷ তবে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টিম ইণ্ডিয়ার ব্যাটসম্যানদের ভাল রান কদ্দরদ্ধাদ্দর সুযোগ রয়েছে৷

নৈহাটীতে বিস্ফোরণ

গতকাল ৯ই জানুয়ারী বিকেলে অবৈধ বাজি কারখানার বাজি ও মশলাকে একত্র করে খোলা মাঠে পুড়িয়ে নষ্ট করার কাজ করছিলেন স্থানীয় প্রশাসন পুলিশ সহ স্থানীয় মানুষজন৷ প্রায় নষ্ট হওয়া পুরোনো পরিত্যক্ত বাজিগুলি আগুনে পড়া মাত্র প্রচণ্ড আওয়াজ সহকারে ফেটে যায়৷ আওয়াজের তীব্রতা এত বেশী ছিল যে তা বিস্ফোরণের আকার নেয়৷ সূত্রের খবর গঙ্গার ওপারের অনেক বাড়ী বিস্ফোরণের পরপরই কেঁপে ওঠে৷ কয়েকটি বাড়ী ক্ষতিগ্রস্তও হয়৷ সেই কারণে প্রশ্ণ উঠেছে যে বাজির মশলাগুলি শুধু সাধারণ বাজির মশলা ছিল কি, নাকি বোমা তৈরীর মশলাও তাতে সঞ্চিত ছিল৷ তাই বিস্ফোরণ ও তার তীব্রতা এত বেশী৷ তবে স্বস্তির কথা এই যে, দু-একজন সামান্য আঘাত প্রাপ্ত হলেও হতাহতে

বাঙলার পাশে কশ্মীর

আই লীগের খেলা হচ্ছে শ্রীনগরে৷ দুই প্রতিপক্ষ স্থানীয় রিয়েল কশ্মীর ও কলকাতার মোহনবাগান ক্লাব৷ দমবন্ধ পরিবেশে অবরুদ্ধ কশ্মীরীরা একটু খোলা হাওয়ার সন্ধান পেয়েই হাড়-কাঁপানো ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে খেলা দেখতে মাঠে হাজির হাজার দশেক দর্শক৷