March 2020

সোশ্যাল মিডিয়ার ভালো-মন্দ

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া নামক একটি নোতুন জগতের সাথে আমাদের পরিচিতি ঘটেছে৷ এক বিংশ শতাব্দীর সূচনা লগ্ণ থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ার পথ চলা শুরু৷ বর্তমান সময়ে এর প্রভাব ও বিস্তার উপেক্ষা করার মতো নয়৷ আট থেকে আশি সকলের কাছেই সমাদর লাভ করেছে সোস্যার মিডিয়া পরিবারের সদস্যবৃন্দ যেমন--- ফেসবুক , হোয়াটস আপ, টুইট্যার, ইন্সটাগ্রাম ইত্যাদি ৷

লক্ষ কোটি মানুষের মেল বন্ধন ঘটেছে৷ সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে৷ আঙুলের স্পর্শে ভৌগোলিক দূরত্ব মুছে যাচ্ছে, দেশ-মহাদেশ -মহাসাগর অতিক্রম করে মানুষ মিশে যাচ্ছে, একাকার হয়ে যাচ্ছে স্থান-কাল-পাত্র উপেক্ষা করে৷

ব্যষ্টিগত ও সামূহিক জীবনে নেশার সুদূরপ্রসারী কুফল

নেশার ত্রিদোষ

নেশার জিনিস আমরা তাকেই বলি যার তিনটি লক্ষণ–(১) নিয়মিত সময়ে নেশার জিনিস না পেলে মন উশ্খুশ্ করে, কোন কাজে মন বসে না৷ (২) নেশার জোর যতক্ষণ থাকে ততক্ষণ সে বুদ্ধিভ্রষ্ট অবস্থায় থাকে ও স্থায়ীভাবে নেশা করতে থাকলে, বুদ্ধিভ্রষ্টতাও স্থায়ী হয়ে যায়৷ (৩) নেশার তৃতীয় দোষ হচ্ছে যকৃত, কন্ঠ, কিডনী অবশ্যই তাতে আক্রান্ত হয়৷ অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোষ্ঠবদ্ধতা রোগও দেখা দেয়৷

অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা

এই সমাজে পুরুষেরা বিশেষ সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে৷ পুরুষদের ওপর অর্থনৈতিক নির্ভরতার জন্যে পরিত্যক্তা নারীদের একাংশ পতিতাবৃত্তি গ্রহণ করতে বাধ্য হয়৷ যখন সমাজে নারীরা অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ও পুরুষের সমান মর্যাদা পাবে তখন এই ধরণের বৃত্তি বন্ধ হয়ে যাবে৷ যে সব নারী ওই জঘন্য বৃত্তি পরিত্যাগ করে নিজের চরিত্র শুধরে নেবেন, সেই সব নারীকে উপযুক্ত মর্যাদা সমাজকে দিতে হবে৷ পতিতাবৃত্তি সামাজিক–অর্থনৈতিক ব্যবস্থার কুফল৷

আবীরে লাল কলকাতার সেকাল

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

কলকাতার আদি পরিবারগুলির অন্যতম হল শেঠ পরিবার৷ এই শেঠ পরিবারের প্রথম যিনি কলকাতায় আসেন তাঁর নাম মুকুন্দরাম৷ মুকুন্দরামের ছেলে লালমোহন৷ খ্যাতিমান ব্যবসায়ী হিসেবে ইংরেজদের  কাছে বিশেষ সমাদর পেতেন এই লালমোহন৷ এই লালমোহন যে-দিঘি খনন করান তারই নাম লালদিঘি৷ লালদিঘি নামকরণের উৎস অবশ্য আরও আছে৷ দিঘির মাটি দিয়ে  ইঁট তৈরি করে  পশ্চিমদিকে একটা  ভদ্রাসন তৈরি করা হয়েছিল৷ লালমোহন একটা বাজারও তৈরি করেছিলেন৷ সেই বাজারটিই হল আজকের বিখ্যাত লালবাজার৷ ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দ অবধি বাজারটির অস্তিত্ব ছিল৷ পরে বাজারটি বন্ধ হয়ে যায়৷ এখন শুধু নামটিই আছে৷

নারী

নারী তুমি বিজয়িনী

               তুমি মহীয়সী,

তোমার উত্তাপে দগ্দ রবি

               তুমিই স্নিগ্দ শশী৷

তুমিই যে ভাঙ্গো নাকো

               কোন প্রতিঘাতে,

তাই ধরণীর তরণীর হাল

               ধরলে তুমি হাতে৷

তোমার সুরভী মাখানো

               সুমনের দলে,

এই ধরণী পরিপূর্ণ

               তোমার ফুলে ফলে৷

তুমিই আবার দীপের শিখা

               আঁধারেতে আলো,

নিমেষেই দূর কর

               যত আঁধার কালো৷

এই ধরাতে বয়ে আনো

               তুমি শ্যামলিমা,

নোতুন পৃথিবী

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

‘‘নোতুন পৃথিবী’’র দৃপ্ত আহ্বান ধায় দিকে দিকে

   শোষণের প্রতিবাদে বাঁধো জোট প্রাউটের ডাকে৷

যুগ যুগ ধরে চলেছে অন্যায়, অবিচার, বঞ্চনা

দুর্বিনীতের অত্যাচার, লুন্ঠন, শোষকের লাঞ্ছনা৷

জড়বাদ-পুঁজিবাদের দুষ্টচক্রে শোষিতের আর্তনাদ

কোটি কোটি অসহায় মানুষের চরম সর্বনাশ

ভ্রষ্ট রাজনীতির ক্রর ছলনা, সাম্রাজ্যবাদীর হুঙ্কার

মানবসমাজ করেছে ছারখার, দেশে দেশে মৃত্যুর পাহাড়৷

নব্যমানবতার আদর্শে এসো, সবে শপথ নিই আজ

গড়বই নোতুন পৃথিবী, শোষণমুক্ত মানব সমাজ৷

জানার বিষয়

 

১) করোনা বাইরাস  কত সালে আবিসৃকত হয়?

                                             --- ১৯৬০ এর দশকে৷

২) চীনের  কোন শহরে করোনা বাইরাসের সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ দেখা যায়?                --- উহান শহরে

৩) করোনা বাইরাসের বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে যেটি উহান শহরে ছড়িয়ে পড়ে তার নাম কী?

                                             ---নোভেল  করোনা বাইরাস৷

৪)  চীনের সাথে সাথে মো১ট কতগুলি দেশ এই বাইরাসে আক্রান্ত?

                                             ---এখনও পর্যন্ত ১০৩টিরও বেশি

মুন্নীলালের কোষশুদ্ধি

প্রাচীনকালে কোনো লোক যদি অগ্ণিপরীক্ষায় কৃতকার্য হয়ে বেরিয়ে আসত অর্থাৎ সে যুগের সেই নিষ্ঠুর পরীক্ষাতেও দৈবলীলায় উত্তীর্ণ হয়ে আসত সেক্ষেত্রে এই উত্তীর্ণ হওয়াটাকে বলা হত ‘কোষশুদ্ধি’৷

কোনো জিনিস অযোগ্য লোকের হাতে পড়ে যদি অপব্যবহহৃত হয়, তারপর সেটিকে যদি পবিত্র করা অর্থে পুড়িয়ে নেওয়া হয় তখন সেই বস্তুকেও ‘কোষশুদ্ধি’ বলা হয়৷

চার ম্যাচ বাকি থাকতেই আই.লিগ.মোহনবাগানের

হোলির দিনে সবুজ মেরুণ রঙে রাঙিয়ে দিয়ে গেল ১৩০ বছরের মোহনবাগানকে ৷ বিশাল চেহারার ত্রিনিদাদ ও টোব্যাগোর ড্যানিয়েল সাইরাসকে দেখা গেল নাচের মধ্যমণি হতে৷ সকলের নাচানাচি থামতেই মোহনবাগান কোচকে  আকাশে তুলে ধরল পুরো দল৷ কল্যাণী স্টেডিয়ামের বাইরে তখন বাজির আওয়াজে কান ঝালাফালা  হওয়ার উপায়৷

অলিম্পিক্সে যাওয়ার ছাড়পত্র  পেলেন মেরিকম

জর্ডনের রাজধানী আন্মানে বাছাই পর্বের প্রতিযোগিতায় রবিবার অলিম্পিক্সের  ছাড়পত্র পেয়েছিলেন ভারতের পাঁচ বক্সার৷ এ দিন মেরি, সিমরনজিৎ ও অমিত যোগ্যতা অর্জন করায় সেই সংখ্যা হল আট৷ লন্ডন অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ জয়ী মেরী জিতেছেন  ফিলিপিন্সের আইরিশ ম্যাগনোর বিরুদ্ধে৷ এই ম্যাচের ফল ৫-০৷ এই একই ফলে মঙ্গোলিয়ার নামউন মনখোরের  বিরুদ্ধে রিংয়ে ঝড় তুলে সেমিফাইনালে যান সিমরনজিৎ৷ আর অর্মি ফিলিপিন্সের কার্র্লে পালামকে  হারান ৪-১ ফলে৷