March 2020

করোনার জের ঃ পিছিয়ে গেল পুরভোট

করোনার কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পুর নির্বাচন করা সম্ভব নয়৷ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সর্বসম্মতভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার শ্রীসৌরভ দাস এই সিদ্ধান্তের কথা জানান৷ তিনি বলেন নির্বাচনের প্রস্তুতি বন্ধ থাকবে না৷ তবে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সঠিক দিন ঘোষণা করা হবে৷

মহামারী রোগ আইন  পশ্চিমবাঙলাতেও

মারণরোগের বাইরাস প্রতিরোধে ১৮৯৭ সালে তৈরি হয়েছিল দ্য এপিডেমিক ডিজিজেস এ্যাক্ট বা মহামারী আইন৷ রাজ্য সরকারের এক নির্দেশে পশ্চিম বাঙলাতেও এই আইন চালু করা হল৷ এর আগে বেশ কয়েকটি রাজ্য এই আইন চালু করেছে৷ এরফলে  বিদেশ থেকে যারা আসবে বা করোনা বাইরাসে যারা আক্রান্ত হবে রাজ্যসরকারের নির্দেশ মেনে চলতে তারা বাধ্য থাকবে৷

গো-মূত্র খেয়ে অসুস্থ শিবু

ঝাড়গ্রাম শহরের চার নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শিবু গরাই ছোটখাটো কাপড়ের ব্যবসায়ী৷ কয়েকজন বন্ধু মিলে মায়াপুরে বেড়াতে গিয়েছিলেন৷ সেখান থেকেই ১৮০ টাকা দিয়ে কিনে আনেন এক শিশি গো-মূত্র৷ করোনা আক্রমনের ভয়ে ১৭ তারিখ সন্ধ্যায় এক ছিপি গো-মূত্র পান করেন শিবু৷ তারপরেই গলা ও বুকের অসহ্য জ্বালা নিয়ে ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে যান৷ আজ পর্যন্ত শিবু সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন৷

অর্থনীতিতে ধবস ঃ চরম মন্দার আশঙ্কা করোনা নয়, কেন্দ্রীত অর্থনীতির কুফল

গত ১৪, ১৫ই মার্চ কলিকাতায় প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্সালের কর্মীদের এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়৷ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে এই প্রশিক্ষণ শিবিরে কর্মীরা অংশ নিয়েছিলেন৷ প্রশিক্ষক ছিলেন প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্সালের সেক্রেটারী জেনারেল আচার্য রবিশানন্দ অবধূত ও কেন্দ্রীয় সংঘটন সচিব আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত৷

একবিংশ শতাব্দীর মহামারী---কোভিড-১৯

এই মুহূর্ত্তে করোনার ত্রাসে কাঁপছে সারা পৃথিবী৷ বিশ্বের ১৬০টিরও বেশী দেশে ছড়িয়ে পড়েছে মারণ ভাইরাস করোনা৷ কয়েক লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে৷ পরিস্থিতি এখনও চিকিৎসা বিজ্ঞানের নিয়ন্ত্রণের বাইরে৷ এ পর্যন্ত আট হাজারেরও বেশী মানুষ প্রাণ হারিয়েছে৷

প্রকৃত মানব ধর্মে জাতিভেদ, অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কারের স্থান নেই

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

বর্তমানে ধর্মের নামে নানান ধরণের গোঁড়ামী, জাত–পাতের ভেদ ও সাম্প্রদায়িক বিভেদ ও বিদ্বেষ চলছে৷ এগুলিকে ধর্মের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ বলে বলা হচ্ছে৷ তা কিন্তু  মোটেই ঠিক নয়৷

মনকে একাগ্র করার উপায়

আজ একজন সাধক মনকে একাগ্র করার পদ্ধতি সম্বন্ধে জানতে চেয়েছিল৷ তার প্রশ্ণ ছিল কীভাবে মন একাগ্রতার চরমাবস্থায় পৌঁছতে পারবে? এর উত্তর সব সাধকেরই জানা উচিত৷ বৌদ্ধিক বিচারে প্রতিটি জীবই তিন শ্রেণীভুক্ত–পশু, মানব ও দেবতা৷ আধ্যাত্মিক সাধনা হ’ল এক বিশেষ অভ্যাস যা পশুত্ব থেকে মানবত্বে ও মানবত্ব থেকে দেবত্বে প্রতিষ্ঠিত করে৷

বাইরাস আক্রান্ত গণতন্ত্র

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

বিশ্বজুড়ে করোনা বাইরাসের আতঙ্কের মধ্যেই মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের তরুণ ব্রিগেডের নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ২২ জন বিধায়ক নিয়ে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি’তে  যোগ দিলেন৷ ফলে এই সম্পাদকীয়  লেখা পর্যন্ত যে পরিস্থিতি তাতে দেড় বছরের মধ্যেই কমলনাথ সরকারের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারের পতনের সম্ভাবনা ও এখানে পুনরায় বিজেপির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা প্রবল৷

প্রকৃতির রুদ্ররোষ!  মানুষের দুর্বুদ্ধি!

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

করোনার আতঙ্কে কাঁপছে বিশ্ব৷ বিশ্বায়ণের নূতন পর্ব হয়তো শুরু হল৷ ‘বিশ্বায়ণ’ শব্দটি এতদিন পুঁজিবাদী দুনিয়ার করায়ত্ত ছিল৷ এই বিশ্বায়ণ পুঁজিবাদী দুনিয়ার জন্যে অবাধ বাণিজ্যের দুয়ার খুলে দিলেও সাধারণ নাগরিকের জন্য সি.এ.এ, এন.আর.সির আগল মজবুত করা হচ্ছিল৷ সহজ কথায় তথাকথিত বিশ্বায়ণ বণিক শ্রেণীর বিশ্বের বাজার দখলের, শোষণের হাতিয়ার৷ এই বিশ্বায়ণকে কেন্দ্র করেই উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যে চলছে ঠান্ডা যুদ্ধ৷

দানবীয় সাম্প্রদায়িকতা গণতন্ত্রকে প্রহসনে পরিণত করেছে৷

প্রভাত খাঁ

বেনিয়া ব্রিটিশ নীতি হলো বিভেদ সৃষ্টি করো ও  শাসন করো৷ তাই তাদের দ্বারা ভারতকে টুকরো করা হয়েছে৷ দেশকে রাজনৈতিক স্বাধীনতা ইংরেজ দিয়েছে সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারার ভিত্তিতে৷ দেশকে রক্তাক্ত করে যাদের হাতে  তুলে দেওয়া হয় তারা সবাই ছিল ইংরেজের অনুগামী স্তাবক৷ তা না হলে অখন্ড ভারতবর্ষ  পূর্ণস্বাধীনতা লাভ করতো নেতাজী সুভাষচন্দ্রের আজাদ হিন্দ বাহিনীর দ্বারা৷  সুভাষচন্দ্র ভারতবর্ষের দ্বারপ্রান্তে বাহিনী নিয়ে আসেন ও মনিপুরের মৈরানে ভারতীয় বাহিনীর পতাকা উত্তোলন করেন৷ তাতেই ভীত  ও সন্ত্রস্ত্র হয়  ইংরেজ  শাসক  ও এদেশের  রাজনৈতিক  দলগুলো৷ সেই কারণে  রাজনৈতিক দলের নেতারা লোকচক্ষে নেতাজীকে হেয় প্রতিপন্ন করতে কু