September 2020

সময়োচিত কিছু কথা

বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায়

আমরা কেউ ভালো নেই সকলেই এক দুঃসহ অবস্থার মধ্য দিয়ে চলছি  একদিকে করোনা আতঙ্ক, অন্যদিকে  অর্থনীতির বেহাল অবস্থা ছাত্রছাত্রা থেকে বেকার যুবক-যুবতী, কর্মচারী সবাই ঘোর অনিশ্চয়তার  মধ্যে দিন কাটাচ্ছে শিশু থেকে বৃদ্ধ মহামারীর কারণে বেশিরভাগ মানুষই প্রায় ঘরবন্দী প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে স্বচ্ছন্দে কেউ বেরোতে সাহস পাচ্ছেন না মানুষের মধ্যে পারস্পরিক মেলামেশা, ছোটোদের খেলাধুলো সবই প্রায় বন্ধ স্বাভাবিক জীবনযাত্রা সকলেরই ব্যাহত সরকার আনলক ঘোষণা করলেও সংক্রমণ বৃদ্ধির ভয়ে অনেকেই প্রয়োজন ছাড়া  বাড়ির বাইরে বেরোতে চাইছেন না এর উল্টো ছবিও চোখে পড়ছে মাস্কবিহীন কিছু আহাম্মককেও রাস্তাঘাটে বা বাজারে  দেখা যাচ্ছে

করোনা রাষ্ট্রগুলিকে  নব্যমানবতায় উদ্বুদ্ধ  হতে  পরোক্ষভাবে শিক্ষা দিচ্ছে!

প্রভাত খাঁ

কেন্দ্র ও রাজ্যের হাতে যুক্তভাবে যে শাসনক্ষমতার তালিকা সংবিধানে নির্দ্দেশিত আছে সেগুলি কী কেন্দ্র সরকার যথাযথভাবে পালন করছেন বর্তমানে চরম সামাজিক,আর্থিক, আর করোনা আক্রমণে নিপীড়িত সারা রাষ্ট্রের জনগণ জানতে আগ্রহী অত্যন্ত দুঃখের  ও লজ্জার কথা এদেশের রাজনৈতিক দলগুলির সে যে দলই হোক, শাসন ক্ষমতা হাতে পেলেই স্বৈরাচারী একবগ্গা মানসিকতার পরিচয় দিয়ে থাকে---ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে তাঁরা পদে পদে সংবিধানের উল্লেখ করেন কিন্তু  অদ্যাবধি যে যখন শাসনে এসেছেন তাঁরাই ছলবল ও কৌশলে সেই পবিত্র সংবিধান সংশোধন করে বসেন তবু তাঁরা গদী শেষ পর্যন্ত্য কায়েম করে রাখতে পারেন  কি কেন্দ্র সরকারে (পড়ুন মোদি সরকারের) গত ক

স্বাধীনতার চুয়াত্তরে প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

২০২০ সালের ১৫ই আগষ্ট আমরা ভারতবাসী হিসেবে ভারতবর্ষের ৭৪তম স্বাধীনতা দিবস পালন করলাম পৃথিবীর ইতিহাসে, বিশেষতঃ ভারতবর্ষের ইতিহাসে আগষ্ট মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাস ৬ই আগষ্ট,হিরোশিমা দিবস, ৯ই আগষ্ট নাগাসাকি দিবস ও ভারত ছাড়ো আন্দোলন দিবস যার লক্ষ্য ছিল বিদেশী ব্রিটিশ বিতাড়ন ১৫ই আগষ্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবস ও ঋষি অরবিন্দ ঘোষের জন্মদিন,যিনি একাধারে বিপ্লবী দেশপ্রেমিক ও দার্শনিক ১৮ই আগষ্ট দেশপ্রেমের উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর তাইহোকু বিমান দুর্ঘটনার সূত্রে চূড়ান্ত অন্তর্ধান দিবস, যার পরবর্তী অধ্যায়ে নেতাজী সম্পর্কে অন্য কোনো সর্বজনগ্রাহ্য সরকারি প্রামাণ্য তথ্য প্রকাশিত হয়নি---এইগুলি

আমরা বাঙালীর লক্ষ্য---শোষণমুক্ত মানব সমাজ

এইচ এন মাহাতো

আমরা বাঙালীর মৌলিক  উদ্দেশ্য হলো সামাজিক অর্থনৈতিক দর্শন  প্রাউটের আলোকে বিশ্বব্যাপী শোষণমুক্ত এক মানবসমাজ ঘটন বিশ্বের শোষিত মানুষের শোষণ মুক্তি ঘটাতে হলে সারা পৃথিবীর সকল মানুষের ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি পূর্ণশ্রদ্ধা ও নতুন করে মূল্যায় প্রয়োজন সার্বিক হিতের কথা চিন্তা করে প্রতিটি অঞ্চলের  অর্থনৈতিক উন্নয়ন, ভাষা-কৃষ্টি-সংস্কৃতির সুরক্ষা ও বিকাশ ঘটানো, তৎসহ মানবিক মৌলিক অধিকারগুলিকে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করা

মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের প্রগতিশীল সমাজতান্ত্রিক ভাবধারায় প্রবর্তিত প্রাউট (প্রগতিশীল উপযোগী তত্ত্ব) আঞ্চলিকতার  শ্রীবৃদ্ধির পথ ধরে বিশ্বৈকতাবাদের প্রতিষ্ঠা করবে

ব্যারাক পুরে  অখণ্ড কীর্ত্তন

১৩ই সেপ্ঢেম্বর- ব্যারাকপুর নিবাসী শ্রী শেখর সাহার বাড়ীতে  অপরাহ্ণ ৩-৩০ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৬-৩০ মিনিট পর্যন্ত অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয় উল্লেখ্য যে ১৯৭০ সালের ৮ই অক্টোবর পরমশ্রদ্ধেয় শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী অষ্টাক্ষরী মহানামমন্ত্র াা নাম কেবলম্ কীর্ত্তন প্রবর্ত্তন করেন সেই থেকে  বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তের সাধক-সাধিকা সাধনাক্রমের অঙ্গ হিসাবে নিয়মিত কীর্ত্তন করে থাকেন

অর্থমন্ত্রীর যুক্তি ধূলিসাৎ করলো অর্থমন্ত্রকের পরিসংখ্যান

জিএসটি নিয়ে কেন্দ্র রাজ্য সংঘাতের সময় অর্থমন্ত্রী  আর্থিক বিপর্যয়কে দৈবদুর্বিপাক বলে সব দায় ভগবানের ঘাড়ে চাপিয়ে ছিলেন মন্ত্রীর যুক্তি ছিল, করোনা জনিত দৈবদুর্বিপাকের ফলে জিএসটি থেকে রাজ্যগুলির আয় কমেছে তার দায় কেন্দ্রীয় সরকার নেবেনা রাজ্যগুলিকে ঋণ নেওয়ার প্রস্তাব দেয় এই নিয়েও কেন্দ্র রাজ্য সংঘাত বাধে, বিশেষ করে যে, সব রাজ্যে অবিজেপি দল ক্ষমতায়

জলপাইগুড়িতে এ্যামার্টের স্বাস্থ্যশিবির

আনন্দমার্গ ইয়ূনিবার্র্সল রিলিফটিমের পক্ষ থেকে  জলপাইগুড়ি জেলার পেটকাটি, ময়নাগুড়ি ও জলপাইগুড়ি শহরে স্বাস্থ্যশিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল এখানে প্রায় ১৬০০ মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় ও প্রয়োজন অনুসারে ঔষধ দেওয়া হয় জেলার আনন্দমার্গের স্থানীয় ইয়ূনিটের  পক্ষ থেকে এই স্বাস্থ্যশিবিরের আয়োজন করা হয়

স্মৃতি

জয়তী দেবনাথ

হৃদয়ে জুড়ে কতই না স্মৃতির আনাগোনা

রঙিন সেই স্মৃতিগুলো বড্ড যতনে বোনা

 

দিন আসে, দিন যায়, কাটে বছর কত

সময় যে দিয়ে যায় স্মৃতি শত শত

 

আর ফেরেনা সেই সময়, সেই সুখের হাসি

সময় শুধুই দিয়ে যায়, স্মৃতি রাশি-রাশি

 

এখন সেই দিনগুলো কাটছে হেলায় খেলায়,

এক সময় এইগুলোই ভাসবে স্মৃতির ভেলায়

 

মনে হবে ঐদিন, আবার ফিরে পেতাম যদি

দু-হাত আগলে তবে রাখতাম তাদের বাঁধি

করোনা বাইরাস

বিভাংশু মাইতি

ঔদ্ধ্যত্বের সিঁড়ি বেয়ে

অহঙ্কারে বুক উঁচিয়ে

আমি চলছিলুম

চলছিলুম ভোগ-সিন্ধুর

শেষ বিন্দুটুকু শুষে নিতে

 

প্রাণী-পশু-উদ্ভিদ

পরিবেশ প্রতিবেশী

কারও দিকে তাকাইনি

সবাইকে শাসন-শোষণ

করেছি সাধ্যমত

আত্মসুখে হয়েছি উন্মত্ত

 

জড়বাদের তীব্র চাবুকে

রক্তাক্ত হয়েছে কত দেহ

মতবাদের অব্যর্থ বুলেটে

লুটিয়ে পড়েছে মানবতা,

প্রেম-প্রীতি আধ্যাত্মিকতা

 

অলখপুরুষ হেসে বলেছিলেন

সামলে চলো বৎস

সবার জন্য এই ধরা

সবাইকে ভালোবেসো

 

বর্ণ বৈষম্যের বিরুদ্ধে মুখ খোলার আহ্বান জানাল---ওসাকা

গত শনিবার রাতে মেয়েদের সিঙ্গলসের ফাইনালে  তিন সেটের লড়াইয়ে  ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কাকে হারিয়ে  যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের রানি হন  জাপানি তারকা খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিত নেয়োমি ওসাকা ফাইনালে তিন সেটের লড়াইয়ের ফল ---১-৬,৬-৩,৬-৩ তিনি এশীয় খেলোয়াড় হিসেবে তৃতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের নজির সৃষ্টি করেছেন