August 2021

সাহিত্য

জয়তী দেবনাথ

বড্ড আদরে বিধাতা তুমি,

গড়লে এই ভূবন৷

স্বর্গতুল্য করতে ধরা

সাহ্যিত্যের হল চয়ন৷৷

 

হৃদয় মাঝে সাহিত্য

যেন সুধার ধারা৷

সাহিত্যের ছোঁয়ায় হৃদয়,

হয় যে দুঃখহারা৷৷

 

রবির কিরণ যেমন করে

ঘুচায় সকল কালো৷

হৃদয়-মাঝে সাহিত্যও

তেমনি রবির আলো৷৷

 

মেঘে যখন হৃদয় ঢাকে,

লাগে দিশাহারা৷

সকল পুলক, সকল সুখ

হয়ে যায় সারা৷৷

 

সাহিত্যের হাওয়া তখন

লাগল যদি মনে৷

সকল মেঘ পড়বে ঝরে

কাটবে আঁধার ক্ষণে৷৷

 

কবির কথায় কবি স্মরণে

গহণ রাতে শ্রাবণধারা পড়িছে ঝরে,

            কেন গো মিছে জাগাবে ওরে ৷৷

এখনো দুটি আঁখির কোণে যায় যে দেখা

                                    জলের রেখা,

না-বলা বাণী রয়েছে যেন অধর ভরে৷৷

না হয় যেয়ো গুঞ্জরিয়া বীণার তারে

মনের কথা শয়নদ্বারে৷

না হয় রেখো মালতীকলি শিথিল কেশে

                        নীরবে এসে,

নাহয় রাখী  পরায়ে যেয়ো ফুলের ডোরে৷

কেন গো মিছে জাগাবে ওরে৷৷

            *                         *             *

আজ কিছুতেই্‌ যায় না মনের ভার

দিনের আকাশ মেঘে অন্ধকার ---হায়রে৷৷

মানালী ভ্রমণ

আশিষ দত্ত রায়

পূর্ব প্রকাশিতের পর,

পর্বতের গায়ে ছোট ছোট গ্রাম যেগুলি রাতের বেলায় অসময়ের দীপাবলির কথা মনে করাচ্ছিলো৷ আমার গুরুদেবের লেখা গানে মনপ্রাণ তাঁকেই আহ্বান করে গেয়ে উঠলো৷

দীপাবলী সাজায়েছি প্রভু

তোমারে করিতে বরণ৷

এসো তুমি হৃদিমাঝে নিতি নিতি নব সাজে

ধীরে ধীরে ফেলিয়া চরণ৷

এসো তুমি মনমাঝে আরো গানে আরো নাচে

মৃদু হাসি করি বিকিরণ ৷ এসো তুমি ভাবলোকে ছন্দে ও নবালোকে৷ জাগায় মোহন স্পন্দন৷

অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ পেলেন লভলিনা

টোকিও অলিম্পিক্সে আরও  একটি ব্রোঞ্জ জয় ভারতের৷ সেমিফাইনালে  হেরে গেলেও লভলিনা বড়গোহাঁইয়ের হাত ধরে তৃতীয় পদক পেয়ে গেল ভারত৷ তুরস্কের বুসেনাজ সুরমেনেলির বিরুদ্ধে ০-৫ ব্যবধানে হেরে গেলেন লভলিনা তাই তাকে ব্রোঞ্জ নিয়েই সন্তুষ্ট হতে হবে৷

পদক নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে আগেই৷ অলিম্পিক্স বক্সিংয়ের ৬৯ কেজি  বিভাগে ঐতিহাসিক লড়াইয়ে নেমেছিলেন তিনি৷

আনন্দনগরে ফুটবল প্রতিযোগিতা

গত ২৫শে জুলাই আনন্দনগর আনন্দমার্গ স্পোর্টস একাডেমির পরিচালনায় ১৫ বছরের নীচে ছেলেদের নিয়ে  ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল৷ আনন্দনগর ও আনন্দনগর সংলগ্ণ বিভিন্ন গ্রামের ১৬টি দল এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন৷

প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয় রড়েকচা ফুটবল ক্লাব ও রানার্স হয় আনন্দনগর পিপি হোস্টেল৷ বেলে ঘুটু ফুটবল ক্লাব তৃতীয় স্থান ও চিড়কামু ফুটবল ক্লাব চতুর্থ স্থান অধিকার করে৷ প্রতিযোগিতায় ম্যান অব দা ম্যাচ হন গোপেশ মান্ডি রড়েকচা দলের খেলোয়াড়৷ ম্যান অফ দা সিরিজ হন অবিনাশ হেমব্রুম৷

আনন্দনগরে বন্ধুত্বপূর্ণ ফুটবল ম্যাচ

গত ৪ঠা জুলাই আনন্দমার্গ স্পোর্টস একাডেমি আনন্দনগর ও গ্যাংগারা ফুটবল কোচিং ক্যাম্প পুরুলিয়ার মধ্যে ফুটবল ম্যাচ হয় গ্যাংগারা হাইস্কুল মাঠে৷ প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য গত ১লা এপ্রিল থেকে আনন্দনগরে ফুটবল কোচিং ক্যাম্প শুরু হয়৷ ক্যাম্প শুরুর এই প্রথম ছেলেরা আনন্দনগরের বাইরে ফুটবল খেলতে যায়৷ প্রথমবার ছেলেরা খুব ভালোই খেলেছে৷

মরণোত্তর বিবাহ

পাশাপাশি শায়িত দুটি শবদেহ৷ শেষকৃত্যের সব আয়োজন প্রায় শেষ৷ হঠাৎ বিবেক দংশনে (?) জেগে উঠলেন শবদেহ দুটির  পরিবারের লোকজন৷  যে বিয়েতে কিছুতেই রাজী হচ্ছিলেন না দুই পরিবারের অভিভাবকরা, তারাই বিয়ের আয়োজন শুরু করলেন প্রাণহীন দুটি দেহের৷ মহারাষ্ট্রের জলগাঁওয়ের ওয়াড গ্রামের বাসিন্দা মুকেশ সোনাওয়ানে৷ এই গ্রামের কাকার বাড়িতে থাকতো নেহা থ্যাকারে৷ দুই তরুণ তরুণী ভালোবাসায় আবদ্ধ হয়ে বিবাহ করতে চেয়েছিল দুজনে দুজনকে৷ কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় দুই পরিবার৷ দুজনের অপরাধ তারা একই সম্প্রদায় ও সমগোত্রীয়৷ তাই দুই পরিবারই অনড় থাকে তাদের সিদ্ধান্তে৷ কোন পথ না পেয়ে নেহা ও মুকেশ আত্মহত্যা করে৷ ময়না তদন্তের পর দুজনের শেষক

রাজ্য প্রশাসনে রাজ্যপালের ভূমিকা

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

রাজ্যশাসন বিভাগে শুধুমাত্র মন্ত্রিপরিষদ নয়, রাজ্যপালের  ভূমিকাও আছে৷ রাজ্যপাল নিয়মতান্ত্রিক শাসনকর্র্ত৷ তাঁকে দায়িত্বশীল মন্ত্রিপরিষদের পরামর্শ মেনেই শাসনকার্য পরিচালনা করতে হয়৷ কেন্দ্রে এরই প্রতিচ্ছবি দেখা যায়৷ রাষ্ট্রপতিকেও কেন্দ্রের মন্ত্রী মণ্ডলীর পরামর্শ গ্রহণ করতে হয়৷ তবে পার্থক্য একটু আছে৷ সংবিধানে রাজ্যপালের স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতার  সুষ্পষ্ট উল্লেখ থাকলেও রাষ্ট্রপতির ক্ষেত্রে তা নেই৷

জল যন্ত্রনা!

বানভাসি বাঙলা৷ পশ্চিমবাঙলার দক্ষিণের বেশকিছু অংশ প্লাবিত৷ একটু ভারী বৃষ্টি হলেই কলকাতার বেশবিকছু অংশ জলে ডুবে যায়৷ স্বাধীনতার চুয়াত্তর বছরেও কোন সমাধান হল না৷ মুণ্ডেশ্বরী, দারকেশ্বর রূপনারায়ণ, দামোদর নদের জলে প্রতিবছর বন্যার প্রকপ৷ রাজ্য সরকার ডিভিসিকে কাঠ গোড়ায় তুলছে৷ ডিভিসির পরিকল্পনাতো ত্রুটিপূর্ণ হয়েইছে৷ তাছাড়া দীর্ঘদিন নদী, বাঁধের সংস্কার না হওয়া ও আর একটি বড় কারণ অপরিকল্পিতভাবে নদী, খাল বিলের গতিপথ বন্ধ করে বাসভবন গড়ে তোলা৷ সরস্বতী নদী তো হারিয়েই গেল৷

ভারত সেরা বাঙুর

বিজেপি নেতারা পশ্চিমবাঙলার উন্নয়ন নিয়ে যতই নিন্দা-মন্দ করুক, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিকে পিছনে ফেলে দেশের সেরা জেলা হাসপাতালের স্বীকৃতি পেল কলিকাতার এম আর বাঙুর হাসপাতাল৷ কেন্দ্রীয় নীতি আয়োগ রাজ্যের স্বাস্থ্যভবনে একটি চিঠি দিয়ে এই খবর জানায়৷ করোনা সংক্রমনের প্রথম দিন থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে লড়াই করে আসা বাঙুর হাসপাতালের কোভিড যোদ্ধা ডাক্তার নার্স সকলেই খুব খুশি সেরার সম্মান পেয়ে৷ রোগীদের, সেবা, পরিষেবার মান, অস্ত্রোপচার, শয্যা সংখ্যা, আইসি.ইউ শয্যা, খাবারের মান ইত্যাদির ওপর ভিত্তি করে এই পুরস্কার দেওয়া হয়৷ সব বিভাগেই দেশের অন্যসব রাজ্যকে পিছনে ফেলে সেরার সেরা স্বীকৃতি আদায় করে নিল কলিকাতার এম.আর