September 2021

হে কাণ্ডারী! হও হুঁশিয়ার৷

প্রফুল্ল কুমার মাহাত

বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের অগ্ণিযুগের অগ্ণিবীণার অমোঘ উদাত্তবাণী ‘‘কাণ্ডারী হুঁশিয়ার ’’ আজও সমভাবে প্রাসঙ্গিক ও প্রযোজ্য৷ আজও দুর্গম গিরি কাণ্ডার মরু দুস্তর পরাবারকে লঙ্ঘিতে হবে রাত্রী নিশিতে৷ তাই প্রতিটি মুক্তি মোক্ষকামী পদযাত্রী অমৃতের সেন্তানকেই, প্রতিটি আলোর পথের দিশারীকে, জীবনের স্বর্ণ বালুবেলার অভিসারী সকলকেই আজ হুঁশিয়ারী কাণ্ডারীর মত কঠোর কঠিনহস্তে জীবন তরণীর দাঁড় বাইতে হবে অতি সন্তর্পণে৷ এটা ব্যষ্টিজীবনের ক্ষেত্রে যেমন প্রযোজ্য, গোষ্ঠী, সমষ্টিসহ সব মানবজাতির ক্ষেত্রেও সমভাবে প্রযোজ্য৷ আজ একবিংশ শতাব্দীর উষালগ্ণে সর্বত্রই--- যথা সমাজ, সংস্কৃতিতে, শিক্ষায়, অর্থনীতি রাজনীতি ও তথাক

শোষণ-যন্ত্রের কি নামান্তর গণতন্ত্র

হরিগোপাল দেবনাথ

রাষ্ট্রযন্ত্রকে সুচারুরূপে পরিচালনার নিমিত্ত এ যাবৎ মানুষ যা কিছু প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করেছে, সেগুলোর মধ্যে গণতন্ত্রকেই অধিকাংশ রাষ্ট্র-বিজ্ঞানী ও চিন্তাবিদগণ সর্বসেরা বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন৷ গণতন্ত্রকে বলা হয়েছে ‘জনগণের নিমিত্ত ‘জন-প্রতিনিধিত্বের দ্বারা’ জনস্বার্থে জনগণের শাসন’৷ অর্থাৎ, মানুষ বাঁচার ও বিকাশের পথ ধরে এগিয়ে চলার উদ্দেশ্যে যে সমাজ-রচনার প্রয়োজন বোধ করেছিল পরবর্তী সময়ে সেই সমাজকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্যেই অনুভব করতে পেরেছিল উপযুক্ত শাসন প্রক্রিয়ার৷ তারপরে ধাপে ধাপে শাসন-কার্যের বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরীক্ষালব্ধ অভিজ্ঞতার মাধ্যমেই একদিন উপলদ্ধি করতেও সক্ষম হয়েছিল--- গণতন্ত

আনন্দমার্গ দর্শন বিষয়ে আলোচনা চক্র

শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী জন্মশতবর্ষ উপলক্ষ্যে গত ২৮শে আগষ্ট জাতীয় ওয়েবিনারে একটি আলোচনা চক্রের আয়োজন করেছিলেন আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের বুদ্ধিজীবী শাখা রেনেসাঁ ইয়ূনিবার্সাল৷ আলোচনার বিষয় ছিল মানবতার কল্যাণে শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর বহুমুখী অবদান--- আলোচনাচক্রে সভাপতি ছিলেন রবীন্দ্র ভারতী  বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতের অধ্যাপক গোপলচন্দ্র মিশ্র৷ প্রধান অতিথি ছিলেন---অধ্যাপক এস.আর.ভাট৷ আলোচনার শুরুতে প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন করেন সুস্মিতা নাগ ও আনন্দমার্গ দর্শনের বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য রাখেন শান্তিনিকেতন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ল

ইহ জগৎ ছেড়ে গেলেন বুলা মাঝি

হাওড়া জেলার আন্দুল মহিয়াড়ি গ্রামের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী বুলা মাঝি গত ৩০শে আগষ্ট রাত ১১টা ৪৫মিনিটে আন্দুলের একটি বেসরকারী নার্সিং হোমে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর৷  তাঁর তিনপুত্র, পুত্রবধূ, এক কন্যা জামাতা ও নাতি নাতনি রয়েছেন৷

জল জীবন মিশন---শীর্ষে পশ্চিমবঙ্গ

ঘরে ঘরে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার প্রকল্প জল জীবন মিশন৷ রাজ্যে ম্যারাথন নির্বাচনের জন্যে অন্যান্য কাজের সঙ্গে এই প্রকল্পও তিনমাস বন্ধ ছিল৷ সেই সময় ‘জল জীবন’ মিশন প্রকল্পের কাজে রাজ্যের স্থান ছিল ষষ্ঠ৷    নির্বাচনের পর নূতন সরকার গড়ে নব উদ্যোগে প্রকল্পের কাজ শুরু করে মাত্র চার মাসে বাঙলা প্রথম স্থানে উঠে এসেছে৷ জুলাই মাসেও পশ্চিমবঙ্গের স্থান ছিল চতুর্থ৷ কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রক সূত্রে এই খবর জানা যায়৷ সম্প্রতি ‘জল জীবন’ মিশনের কাজ খতিয়ে দেখতে সংসদের স্ট্যাণ্ডিং কমিটির কয়েকজন সদস্য রাজ্যে এসেছিলেন৷ দলের প্রধান ডঃ সঞ্জয় জয়সওয়াল রাজ্যের কাজের গতি দেখে প্রশংসা করে যান৷ ঘরে ঘরে জল সংযোগ প্রকল্পে মোদ

বাঙলা ও বাঙালীর ১৫ই আগষ্ট

১) ১৫ই আগষ্ট ১৯৪৭, রাত্রির দ্বিতীয় প্রহর৷ সদ্য দায়িত্বভার গ্রহণ করা ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জহরলাল নেহেরু অত্যন্ত জরুরী কর্মবোধে কতগুলো নির্দেশনামায় সই করলেন--- যার অধিকাংশই সুদীর্ঘফলার ছুরি হয়ে বাঙলা ও বাঙালীর বুকে আমূল বিঁধে গেল৷ যেমন   কয়েকটি উল্লেখযোগ্য হল ---

(ক) ব্রিটিশ ভারতে সিংহভাগ বৈদেশিক মুদ্রা আসত পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানি থেকে৷ স্বাভাবিক নিয়মে বাঙলা তার একটা অংশ পেত৷ বাঙালী বিদ্বেষী পশ্চিমা বাদামী পুঁজিপতিদের স্বার্থে ও ইন্ধনে পণ্ডিত নেহেরু এক কলমের খোঁচায় তা বাতিল করে দিলেন৷

আনন্দমার্গ আদর্শে অটল শ্রদ্ধেয় শান্তি দা স্মরণে দু’চার কথা

জন্মিলে মরিতে হবে অমর কে কোথা কবে ---যিনি আসেন তাঁকে তো যেতেই হয়৷ তবে এক এক জন চলে গেলে তাঁর শূন্যস্থান পূরণ করার কেউ থাকে না৷ শান্তি ছিলেন সেইরকমই একজন আনন্দমার্গের নীরব কর্মী৷ সংঘের বহু গুরু দায়িত্ব তিনি বহন করেছেন৷ বহু ঘাত-প্রতিঘাত বাধা-বিপত্তির মধ্যে দিয়ে চলতে হয়েছে৷ শান্তি দা কখনো বিচলিত হতেন না৷ কেউ কখনও তাঁকে রেগে যেতেও দেখেন নি৷ যেকোনো পরিস্থিতিতে শান্ত চিত্তে সবকিছু সামলে নিতেন৷ বড় রসিক আর মজার মানুষ ছিলেন শান্তি দা৷ নামের সঙ্গে আচার আচরণ আর ব্যবহারের এমন সার্থক মিল সচরাচর দেখা যায় না৷

সোশ্যাল মিডিয়া নোতুন পৃথিবীর স্বপ্ণ দেখাক

কণিকা দেবনাথ

 প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া নামক একটি নোতুন জগতের সাথে আমাদের পরিচিতি ঘটেছে৷ একবিংশ শতাব্দীর সূচনা লগ্ণ থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ার পথ চলা শুরু৷ বর্তমান সময়ে এর প্রভাব ও বিস্তার উপেক্ষা করার মতো নয়৷ আট থেকে আশি সকলের কাছেই সমাদর লাভ করেছে সোস্যার মিডিয়া পরিবারের সদস্যবৃন্দ যেমন--- ফেসবুক , হোয়াটস আপ, টুইট্যার, ইন্সটাগ্রাম ইত্যাদি ইত্যাদি৷

লক্ষ কোটি মানুষের মেল বন্ধন ঘটেছে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে৷ আঙুলের স্পর্শে ভৌগোলিক দূরত্ব মুছে যাচ্ছে, দেশ-মহাদেশ -মহাসাগর অতিক্রম করে মানুষ মিশে যাচ্ছে, একাকার হয়ে যাচ্ছে স্থান-কাল-পাত্র উপেক্ষা করে৷

সক্রেটিস

ভারতী কুণ্ডু

শিষ্যদের মাঝে জ্ঞানের আলো দিয়ে বেঁচে রইবেন তিনি অনন্তকাল৷

মহাজ্ঞানী সক্রেটিসের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে ঠিক সন্ধ্যায়৷ তখনকার নিয়ম অনুযায়ী পরিবারের সবাই ও একান্ত শিষ্যরা তার চারপাশ ঘিরে আছেন৷ কারাগারের অন্ধকার ঘর৷ প্রধান কারারক্ষী এসে শেষ বিদায় নিয়ে গেলেন৷ তার চোখেও অশ্রু টলমল করছে৷ হায় কি অদ্ভূত শাস্তি! যে মরবে সে ধীরস্থির, শান্ত৷ আর যে মারবে তার চোখে জল৷

কারাগার প্রধান বললেন- ‘এথেন্সের হে মহান সন্তান, আপনি আমায় অভিশাপ দিবেন না৷ আমি দায়িত্ব পালন করছি মাত্র৷ এতবছর কারাগারে কাজ করতে গিয়ে আপনার  মতো সাহসী, সৎ ও জ্ঞানী কাউকে আমি দেখিনি৷