November 2021

যোগের তাৎপর্য

মনোজ দেব

যোগ আজ সারা পৃথিবীতে বহু আলোচিত ও অনুশীলিত৷ কিন্তু যোগের তাৎপর্য, যোগ অভ্যাসের প্রভাব ও যোগের আসল লক্ষ্য এক কথায় যোগ সম্পর্কে সম্যক ধারণা খুব কম মানুষেরই আছে৷ আর মানুষের অজ্ঞতার সুযোগে কিছু  স্বার্থপর মানুষ যোগের অপব্যবহার করছে ও যোগের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের পথ করে নিচ্ছে৷ অনেকে আবার যোগ বলতে শুধু আসন প্রাণায়ামকেই বোঝে৷ তাই যোগাসন কথাটাই বহুল প্রচলিত৷

পোস্ত

পরিচয় ঃ ‘পপি’ নামে এক রকমের ছোট ফুলের গাছ ইয়ূরোপ থেকে এদেশে এসেছিল৷ এটি শীতকালের মরশুমী ফুল৷ ভারতে এখন শখের ফুল হিসেবে অনেকেই বাগানে চাষ করেন৷ ফুলের রঙ নানান ধরনের–লাল, শাদা, হলদে, ৰেগনে৷ এটি নির্দোষ বা নির্বিষ বর্গীয়৷ ফুল ঝরে যাবার পর এর গাছে যে ৰীজকোরক আসে সেটা ছোট ও লম্বাটে৷ তার গা চিরে দিলে যে রস বের হয় তা নির্দোষ৷ ৰীজকোরকে যে ৰীজ হয় তা কালচে রঙের৷ এই পপির যে প্রজাতিটি ওপিয়াম পপি নামে পরিচিত, তা কিন্তু ভারতে বিদেশ থেকে আসেনি৷ সেটা এদেশেরই ফুল৷ সাধারণ পপি ও ওপিয়াম–পপির মধ্যে তফাৎ হ’ল, সাধারণ পপির চেয়ে এর পাতা ৰড়, মোটা, পুষ্ট ও সতেজ ও একটু বেশী রকমের জোরালো সবুজ৷ সাধারণতঃ

রাঢ়ে নারী স্বাধীনতা

রাঢ়ে যখন পৌরাণিক ধর্ম এল, সে একা আসেনি৷ সঙ্গে নিয়ে এল অজস্র সামাজিক ক্ষত, অজস্র সামাজিক আধি–ব্যাধি৷ প্রাচীনকাল থেকে অর্থাৎ এদেশে আর্যাগমনের সময় থেকে বর্ণ–বিভাজন ব্যবস্থা ভারতের অন্যান্য জায়গার মত রাঢ়েও এসেছিল – একথা আগেই বলেছি৷ কিন্তু বর্ণবৈষম্য মোটেই ছিল না৷ এমনকি  এ জাতি, ও–জাতি বিবাহেও কেউ বড় একটা আপত্তি করতেন না৷ কিন্তু যখন পৌরাণিক ধর্ম রাঢ়ে এল, তখন রাঢ়ে পৌরাণিক ধর্মাবলম্বী রাজারা কিছুসংখ্যক গোঁড়া ব্রাহ্মণ ও গোঁড়া কায়স্থের সাহায্যে রাঢ়ের বুকে বর্ণবৈষম্যটা জগদ্দল পাথরের মত চাপিয়ে দিতে চাইলেন৷ ঢ়িলেঢ়ালা বর্ণ–ব্যবস্থাযুক্ত রাঢ় এটা ঠিকভাবে মেনে নিতে পারল না৷ সমাজে দেখা দিল নানান ধরণের বিশৃঙ্

কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে সাবধান

(সংগ্রহকর্তা---আচার্য সর্বানন্দ অবধূত)
  • সকালে খালি পেটে জল খাওয়া উচিত৷ l রোজ প্রাতরাশে ও লাঞ্চে কিছু ফল খাওয়া ভালো৷l খাওয়ার শেষে একটু টক দই বা ঘোল খাওয়া শরীরের পক্ষে উপকারী৷l
  • সকাল ও বিকালে কমপক্ষে আধঘণ্টা হাঁটা উচিত৷l রাত্রে খাওয়ার পর কিছুক্ষণ হাঁটা ভালো৷l
  • রান্নাতে বেশী তেল ও মশলা ব্যবহার না করা ভালো৷l সারা দিনে কমপক্ষে পাঁচ লিটার জল খাওয়া উচিত৷l
  • পারতপক্ষে হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করা, মানসিক চাপ ও টেনশন থেকে মুক্ত থাকার চেষ্টা করা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো৷l
  • প্রত্যেকদিন শরীর-চর্চা ও ব্যায়াম করা একান্ত প্রয়োজন৷l যাঁরা বসে বসে কাজ করেন তাঁদের জন্য প্রত্যহ কিছু শারীরিক পরিশ্রম করা একান্ত প্রয়ো

কীর্ত্তন

কৌশিক খাটুয়া

কীর্ত্তন তরঙ্গে তরঙ্গায়িতা

অনু-তণু-মন, ভক্তবৃন্দ,

ভাব-তরঙ্গের দোদুল দোলায়

পেয়েছে নতুন ছন্দ৷

মানুষ, পশু-পাখি, বৃক্ষলতা

ঝর্ণা, তটিনী বহে সে বারতা৷

সেই তরঙ্গে উজ্জিবিত পবন

বহিতেছে মৃদু-মন্দ৷

সুকুমার রায়ের কবিতা

তুমি গেলে চলে কোন সূদূরে

মধুময় প্রীতি দিয়ে সবারে,

শোকাকূল বিশ্ব তোমারী তরে,

বিদায় দিইনি আছ হৃদয় ভরে৷

তোমার অমৃতবাণী দিলে ধরায়

বিধিমতে সেবা সাধনা সহায়৷

 

তুমি এসেছ ধূলিময় ধরণীতে

অমৃতলোকের মাধুরী ঝরাতে,

গুণাতীত তুমি, নন্দন সাজে

এলে তুমি, সকল হৃদয় মাঝে

সত্যপথের দিয়েছ সবারে শরণ

মধুময় করেছ জগত জীবন৷

ভালো থাকা

তৃপ্তি বিশ্বাস

ভালো আছি ভালো থেকে

এ শুধূ নয় বলার থেকে৷

 

ভালো থাকবি কেমন করে ?

মনকে কিছু শিখিয়ে নিয়ে ৷

সব কিছুরই ভালোটা দেখে,

খারাপ থেকে দূরে থেকে৷

 

ভালো থাকবি কেমন করে ?

নিজের কর্ম করার সাথে,

সমাজ সেবাও করবে সাথে৷

 

ভালো থাকবি কেমন করে ?

ঠকবি না তুই কোন খাতে,

ঠকাবিও না কোন কাজে৷

 

মননশীল মানুষ তুমি

মন যে তোমার বেজায় দামি৷

মনটা বড় করে নিলে

ভালো থাকা শিখে গেলে৷

 

মাতৃহৃদয়

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

নিবেদিতার স্কুলে প্রফুল্লমুখী নামক এক ছাত্রা ছিল৷ সে ছিল বাল-বিধবা৷ নিবেদিতা বিধবাদের বিশেষ স্নেহের দৃষ্টিতে দেখতেন৷ কারণ, তিনি জানতেন, হিন্দু ঘরের মেয়েদের বৈধব্য-জীবন কী সাংঘাতিক কঠোর!বিশেষত তাদের খাওয়া- দাওয়ার ব্যাপারে কত খুঁটিনাটি বাছ-বিচার৷ তাই বাল-বিধবা প্রফুল্লমুখী দেখে নিবেদিতার হৃদয় ব্যথায় ভরে উঠতো৷ তিনি জানতেন একাদশীতে বিধবাদের উপোস  করতে হয়৷ তাই প্রফুল্লমুখীকে তিনি প্রতি একাদশীতে ছুটির পরে ডেকে এনে নানারকম মিষ্টি আর সরবত খাওয়াতেন৷

পাটোয়ারী ৰুদ্ধি

‘ক্রথ্’ ধাতুর অর্থ হ’ল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে কাউকে হত্যা করা৷ দেবোদ্দেশ্যে বা ধর্মের নামে পশুহত্যা এই পর্যায়ে পড়ে৷ ক্রথ্  অচ্ ঞ্চ ক্রথ৷ ‘ক্রথ’ মানে যাকে হত্যা করা হচ্ছে৷ ক্রথ্  ল্যুট্ ঞ্চ ক্রথন মানে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে হত্যা করা, ধর্মের নামে হত্যা করা, অথবা যাকে হত্যা করা হচ্ছে৷ কেউ যদি ভাবে ধর্মের নামে পশু–হত্যা করলে উভয় পক্ষেরই লাভ অর্থাৎ মানুষের লাভ দুটো ঃ তার লোল জিহ্বা পাবে নিরীহ পশুর মাংস আর অর্জন করবে পুণ্য আর ওই নিরীহ হতভাগ্য পশু, যে জীবনে সবচেয়ে বড় ভুল করেছিল মানুষ নামে জীবকে বিশ্বাস করে, সে পাবে পশুজীবন থেকে মুক্তি–এ ধরনের জিনিসগুলি ভাবের ঘরে চুরি ছাড়া কিছুই নয়৷ সম্ভবতঃ মানুষ জা

ম্যাচে হারের পর ভারতীয় দলের পরিবর্তন

গত ম্যাচে হারের পর ভারতীয় দলের রাস্তা বড়ই কঠিন হয়ে গেছে টি-২০ বিশ্বকাপে৷ সেমিফাইনালে যেতে হলে পরের চারটি ম্যাচ বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভারতীয় দলের জন্য৷ তাই আগামী ৩১শে অক্টোবর নিউজিল্যাণ্ডের বিরুদ্ধে নামার আগে কোন কোন বিষয়ে নজর দেওয়া প্রয়োজন ভারতের এমন অনেক প্রশ্ণের মুখে ভারতীয় দল৷