সংখ্যাধিক্যের জোরে লোকসভা ও রাজ্যসভায় পাশ হ’ল সিটিজেনশিপ্ এ্যামেণ্ডমেণ্ট বিল৷ ধর্মমতের ভিত্তিতে তৈরী এই বিল দেশের অখণ্ডতাকে বিপন্ন করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ‘আমরা বাঙালী’র কেন্দ্রীয় সচিব বকুল রায়৷ তিনি বলেন, বাঙালী বিদ্বেষী কেন্দ্রীয় সরকারের মূল উদ্দেশ্য বাঙালী জনগোষ্ঠীকেই নির্মূল করে দেওয়া৷ বাঙালী জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করতে ও বাঙলাকে শোষণের স্থায়ী বন্দোবস্ত করতেই কেন্দ্রীয় সরকার এই বিভাজনের বিল এনেছে৷ তিনি আরও বলেন, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খুবই সংকটজনক৷ অবস্থা সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য আকাশছোঁয়া৷ এই পরিস্থিতিকে চাপা দিতেই নাগরিকত্বের বিল নিয়ে হৈচৈ শুরু হয়েছে৷ কেন্দ্রীয় কমিটির অন্য এক সদস্য জয়ন্ত দাশ বলেন---এবার অন্য ইতিহাস তৈরী হবে৷ ১৯৪৬ ভারতবাসী বিভাজনের বাঙলা দেখেছে৷ এবার দেখবে ঐক্যবদ্ধ বাঙলার রূপ৷ সংসদে ৩০০ জন হাত তুলে কয়েক কোটি মানুষকে বিদেশী বানাতে পারে, কিন্তুু বাস্তবের মাটি বড় শক্ত৷ সংসদ সুবিধাবাদের জায়গা৷ যারা বিলের পক্ষে বা বিপক্ষে না গিয়ে সংসদ বয়কট করে তারা সুবিধাবাদের নীতি নিয়েছে৷ ইতোমধ্যে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পরিস্থিতি অগ্ণিগর্ভ হয়ে উঠেছে৷ অসম, ত্রিপুরায় জনজীবন স্তব্ধ হয়ে গেছে৷ বন্ধ, অবরোধ, অগ্ণি- সংযোগের মত ঘটনা ঘটছে৷ বিজেপি শাসিত দুই রাজ্যেই বিজেপিরই শরিক দলের উগ্র আন্দোলন দমন করতে সরকারকে সেনা নামাতে হয়েছে, ইণ্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখতে হয়েছে৷
সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়