বেসরকারী করণের তালিকায় ১৩টি বিমান বন্দর৷ রাজকোষ পূর্ণ করতে সরকারী সম্পত্তি বিক্রির উৎসবে মেতেছে মোদি সরকার৷ আচ্ছাদিনের আত্মনির্ভর সরকার দিনদিন পুঁজিবাদ নির্ভর হচ্ছে৷ ব্যাঙ্ক, বিমা, বন্দরের পর মোদি সরকারের বেসরকারী করণের তালিকায় এবার দেশের বিমানবন্দর৷ প্রাথমিক পর্যায়ে এই তালিকায় আছে ১৩টি বন্দর৷ দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ১২টি বন্দর বেসরকারীকরণের তালিকায় আসবে৷
এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান সঞ্জীব কুমার সংবাদমাধ্যমকে বলেন--- অসামরিক বিমান পরিবহন দপ্তরে ১৩টি এয়ার পোর্টের নাম পাঠান হয়েছে৷ পিপিপি (পাবলিক প্রাইভেট পার্টনার শিপ) মাধ্যমে সেগুলি পরিচালিত হবে৷ ২০২১-২২ অর্থবর্ষেই এই বেসরকারী করণের কাজ সম্পূর্ণ হবে৷ এই ১৩টি বিমান বন্দর হলো বারাণসী, অমৃতসর, ভূবনেশ্বর, রায়পুর, ইন্দোর ও ত্রিচি৷ এই ছয়টি বড় বন্দরের সঙ্গে যুক্ত হবে তিরুপতি, জববলপুর, হুবলি, আত্তরঙ্গবাদ, গয়া, কাংড়া, কুশীনগর৷
প্রবীন প্রাউটিষ্ট শ্রী প্রভাত খাঁ বলেন---প্রধানমন্ত্রী দেশের জনগণের সঙ্গে শঠতা করছেন৷ একদিকে গলাফুলিয়ে আত্মনির্ভরতার কথা বলছেন, আর রাষ্ট্রীয় সম্পদ বেসরকারী সংস্থার হাতে তুলে দিচ্ছে৷ এর অর্থ সরকার নিজেই পুঁজিবাদ নির্ভর হয়ে পড়েছে৷ ‘আমরা বাঙালী’ কেন্দ্রীয় কমিটির সংঘটন সচিব শ্রী জয়ন্ত দাশ বলেন--- প্রধানমন্ত্রী আত্মনির্ভরতায় অর্থই বোঝেন না৷ রাষ্ট্রীয় সম্পদ বেসরকারী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার অর্থই আর্থিক ক্ষমতা পুঁজিবাদের হাতে কেন্দ্রীত হয়ে যাওয়া৷ আত্মনির্ভরতার অর্থ আর্থিক ক্ষমতা বিকেন্দ্রী করণের মাধ্যমে জনগণের হাতে তুলে দেওয়া৷ প্রধানমন্ত্রীর মুখ বলে এক কিন্তু করে ঠিকতার বিপরীত৷ তিনি বলেন আমরা বাঙালীর সমাজ আন্দোলনের লক্ষ্য আর্থিক পরিকল্পনার দায়িত্ব স্থানীয় মানুষের হাতে তুলে দিয়ে আর্থিক শক্তির বিকেন্দ্রীকরণ করা৷ তবেই মানুষ আত্মনির্ভর হতে পারবে৷