বাংলাদেশে বাঙালী বিদ্বেষী চক্রান্ত প্রতিবাদ ‘আমরা বাঙালী’র

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

সাম্প্রতিক বাঙলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ, খুন, লুটপাটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায় ‘‘আমরা বাঙালী’’ দল৷ দলের অসম রাজ্য কমিটির সচিব সাধন পুরকায়স্থ বলেন, যারা বাঙলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, যারা বাঙলাদেশের অস্তিত্বকে অস্বীকার করে, যারা বাঙলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিরোধিতা করেছিল, যারা রাজাকার হিসেবে পাকিস্তানি হানাদারদের সাহায্য করেছিল, ৭১ এর স্বাধীনতা আন্দোলনকামী লক্ষ লক্ষ বাঙালীদেরকে খুনের মদতদাতা বা  হত্যাকারী, যারা বাঙালী জাতিসত্তাকে স্বীকার করে না, যারা বাঙালী মা-বোনদের সতীত্ব নষ্ট করেছিল, যারা দেশ টাকে  আবার পাকিস্তান বানাতে চায়৷ সেই জাতিদ্রোহী শক্তি শারদীয় দুর্র্গেৎসবকে পণ্ড করে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার মাধ্যমে দেশটাকে অস্থির করে তুলেছে৷ আমরা এই ববর্বর অপশক্তির বাঙলাদেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মঠ, মন্দির, দূর্র্গপূজার প্যাণ্ডেল, দূর্গা মূর্ত্তি ভাঙা, ঘর বাড়ীতে ভাঙচুর, লুটপাট ইত্যাদির বিরুদ্ধে ধিক্কার জানাচ্ছি৷ আমরা সংখ্যালঘু ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও জীবন-সম্পত্তি রক্ষায় বাঙলাদেশ সরকারের প্রশাসনিক ব্যর্থতার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাচ্ছি৷ আমরা মনে করছি এই ববর্বরচিত আক্রমণ এক পূর্বপরিকল্পিত নকশার মাধ্যমে করা হয়েছে৷ বাঙলাদেশ ও ভারতের  গোয়েন্দা দপ্তরের ইহা না জানার কথা নয়৷ জেনে বুঝে ববর্বর ধর্মীয় উন্মাদদের এই জঘন্য নারকীয় কাজের পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়েছে৷ কুমিল্লার একটি মণ্ডপে প্রদর্শিত একটি হনুমান মূর্তিতে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র  গ্রন্থ কোরান শরিফ ব্যাপারটি একটি  সুগভীর ষড়যন্ত্র৷ এই কাজ যারা করেছে তারা ভারত-বাঙলাদেশে দুইয়েরই শক্র তথা মানবতার শত্রু৷ বাঙালী জাতির শত্রু৷ আমরা ভারত সরকারের দূর্বল বিদেশ নীতির নিন্দা করছি৷ ১৯৫০ সালের চুক্তি অনুযায়ী সেই দেশের সংখ্যালঘুদের জীবন সম্পত্তির নিরাপত্তা দেওয়া সরকারের দায়িত্ব৷ সরকার সেটা করতে ব্যর্থ হয়েছে৷ স্বাধীনতার পর থেকে বাঙলাদেশের সংখ্যালঘুদের সংখ্যা আজ ৭/৮ শতাংশ নেমে এসেছে৷ যেখানে সামাজিক নিরপত্তা নেই, ধর্মাচরণের উপর বারংবার আঘাত আসছে, সেখানে সংখ্যালঘুদের বসবাস করা দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে৷

তবে বাঙলাদেশেও শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষেরা রয়েছেন৷ যারা বিভিন্ন সময়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন৷ আমরা আশাকরি এই বর্বর বাঙালী জাতীয়বাদ বিরোধী অপশক্তি পরাস্ত হবে৷ আমরা বাঙলাদেশের নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের পাশে থাকব ও অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবো৷

আমরা এই ব্যাপারে ভারত সরকারের কঠোর অবস্থানের দাবী করছি৷ সেই সঙ্গে সর্ববস্থায় শান্তি, সম্প্রীতি রক্ষায় সর্বস্তরের জনসাধারণের কাছে আহ্বান রাখছি৷