বিভিন্ন স্থানে অখণ্ড কীর্ত্তন

সংবাদদাতা
পত্রিকা প্রতিনিধি :
সময়

গত ১৯শে জানুয়ারী পুরুলিয়া জেলার আড়ষা পোষ্ট  অফিস মোড়ে বাঘেশ্বর কুমারের বাড়ীতে তিন ঘণ্টা ব্যাপী ‘বাবানাম কেবলম্’ অখণ্ড মহাসংকীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ সকাল ৯টা থেকে ১২ পর্যন্ত এই কীর্র্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তন শেষে মিলিত সাধনার পর স্বাধ্যায় করেন আচার্য লীলাধীশানন্দ অবধূত৷ এরপর আচার্য বিশ্বমিত্রানন্দ অবধূত, আনন্দমার্গ কী ও আনন্দমার্গের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিস্তারিত বক্তব্য রাখেন৷ এরপর অবধূতিকা আনন্দসুমিতা আচার্যা কীর্ত্তনের মাহাত্ম্য ও ‘বাবানাম কেবলম্’ কীর্ত্তনের ‘বাবা’ শব্দের ব্যুৎপত্তিগত ব্যাখ্যা দেন৷ সবশেষে আচার্য সত্যস্বরূপানন্দ অবধূত উপস্থিত ভক্তমণ্ডলীর কাছে আনন্দমার্গের সর্বানুসূ্যত দর্শনকে তুলে ধরে ধর্ম, শিক্ষানীতি, কৃষিনীতি, শিল্পনীতি, সংসৃকতি প্রভৃতি বিষয়ে জ্ঞানগর্ভ বক্তব্য রাখেন৷ তিনি জানান আনন্দমার্গ আজ প্রায় ২০০টি দেশে ব্যাপকভাবে সেবামূলক কাজে সংযুক্ত রয়েছে৷

মেদিনীপুর ঃ গত ৪ ও ৫ জানুয়ারী মেদিনীপুর শহরে কেরাণীটোলা আনন্দমার্গ স্কুলে ২৪ ঘণ্টা ব্যাপী অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ জেলার প্রায় প্রতিটি ব্লক থেকে মার্গী ভক্তমণ্ডলী এই কীর্ত্তনে অংশগ্রহণ করেন৷ তাঁরা কীর্ত্তনের মধুর ভাবে আপ্লুত হয়ে ২৪ ঘণ্টা স্বর্গীয় আনন্দ উপভোগ করেন৷ কীর্ত্তন শেষে কীর্ত্তন মাহাত্ম্য সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন শ্রী আশীষ মণ্ডল৷ গত ৭ই জানুয়ারী এই স্কুলেই তিন ঘণ্টা অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷

কাঁকিনাড়া ঃ গত ১৯শে জানুয়ারী ২০২০ রবিবার উত্তর ২৪ পরগণা জেলার কাঁকিনাড়া ফিঙ্গেপাড়ায় আনন্দমার্গের বিশিষ্ট সদস্য শ্রী অশোক কুমার মণ্ডল তাঁর বাড়ীতে মানবমুক্তির মহামন্ত্র বাবানাম কেবলম্ অখণ্ড কীর্ত্তনের আয়োজন করেন৷ সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা ব্যাপী এই অখণ্ড কীর্ত্তনে উত্তর ২৪ পরগণা, কলকাতা, নদীয়ার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বহু ভক্তবৃন্দ যোগদান করেন৷ কীর্ত্তনের মধুর আবহে আকাশ-বাতাস মুখরিত হয়ে ওঠে৷ পথচারী অনেকে কীর্ত্তনে অংশগ্রহণ করতে কীর্ত্তন অঙ্গনে আসেন৷ বাবানাম কেবলম কীর্ত্তন পরিচালনা করেন শ্রীমতী রাজলক্ষ্মী বণিক, শ্রীমতী নিরঞ্জনা রায়, আচার্য ভাবপ্রকাশানন্দ অবধূত, আচার্য প্রেমশিবানন্দ অবধূত, অবধূতিকা আনন্দ নীতিসুধা আচার্য ও শ্রীহরলাল হাজারী৷

কীর্ত্তন শেষে মিলিত সাধনা, গুরুপূজার পর স্বাধ্যায় করেন শ্রীসন্তোষ বিশ্বাস৷ কীর্ত্তন মহিমা ও আনন্দমার্গের ওপর বক্তব্য রানে প্রাউট দর্শনের মুখপত্র ‘নোতুন পৃথিবী’র সহঃ সম্পাদক আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত৷ তিনি বলেন কীর্ত্তন করেন ভক্তবৃন্দ৷ ভক্তের উচ্চস্বরে পরমপুরুষের নাম গানের মধুর কীর্ত্তনে যে হরিপরিমণ্ডল সৃষ্টি হয়, তখন পরমপুরুষ তাঁর সিংহাসন সেই ভক্তমণ্ডলীর মধ্যে স্থাপন করেন৷ অর্থাৎ তাঁর কেন্দ্রবিন্দু হয় যেখানে তাঁর ভক্তরা তাঁর নামগানে তাঁর কীর্ত্তনে  বিভোর হয়৷ কীর্ত্তনের প্রবর্ত্তন করেন বাঙলার কবি চণ্ডীদাস৷ শ্রীচৈতন্যমহাপ্রভু সেই কীর্ত্তনকে ভারতের উত্ত-র-পূর্ব অঞ্চলের জনজীবনে জনপ্রিয় করে তোলেন৷ আর পরমারাধ্য বাবা শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী বাবানাম কেবলম্ এই মধুর কীর্ত্তনকে সারা বিশ্বের কোণে কোণে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্তের নানান সুরমূর্চ্ছনায় ছড়িয়ে দিয়েছেন ভক্তমণ্ডলীর মাঝে....৷

শ্রীসন্তোষ বিশ্বাস মহাশয় সংঘটনের জরুরী কিছু বার্তা দেন ভক্তমণ্ডলীর মধ্যে৷ সবশেষে অশোকদার পুত্র শ্রী গৌতম মণ্ডল উপস্থিত দুই শতাধিক উপস্থিত ভক্তকে নারায়ণ সেবায় আপ্যায়িত করেন৷

চাকদহ: গত ২৬শে জানুয়ারী ২০২০ রবিবার নদীয়ার চাকদহের বিশিষ্ট মার্গী শ্রী শক্তিপদ সরকার তাঁর বাড়ীতে মানবমুক্তির মহামন্ত্র বাবানাম কেবলম্ অখণ্ড কীর্ত্তনের আয়োজন করেন৷ সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা ব্যাপী এই অখণ্ড কীর্ত্তনে উত্তর ২৪ পরগণা, কলকাতা, নদীয়ার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বহু ভক্তবৃন্দ দাদাদিদিরা যোগদান করেন৷ কীর্ত্তনের মধুমুর্চ্ছনায় আকাশ-বাতাস মুখরিত হয়ে ওঠে৷ পথচারী অনেকে কীর্ত্তনে অংশগ্রহণ করতে কীর্ত্তন অঙ্গনে উপস্থিত হন ও চারজন আনন্দমার্গের সাধনা শেখেন৷ প্রভাত সঙ্গীত ও বাবানাম কেবলম কীর্ত্তন পরিচালনা করেন অবধূতিকা আনন্দ বিভূকণা আচার্যা, শ্রীমতী কাজল সরকার,  কৌশিক সরকার, আচার্য সত্যসাধনানন্দ অবধূত, শ্রীহরলাল হাজারী প্রমুখ৷ শ্রী বিবেকজ্যোতি সরকার ও পূর্ণেন্দু শীল সঙ্গতে অংশগ্রহণ করেন৷ কীর্ত্তন শেষে মিলিত সাধনা, গুরুপূজার পর স্বাধ্যায় করেন উত্তর ২৪ পরগণা জেলার ভুক্তিপ্রধান শ্রীসন্তোষ বিশ্বাস৷ কীর্ত্তন মহিমা ও আনন্দমার্গের ওপর বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাব্রতী শ্রী মনোরঞ্জন বিশ্বাস ও আচার্য সুদীপানন্দ অবধূত৷