বিভিন্ন স্থানে মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী জন্মতিথি উৎসব

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

মেদিনীপুর ঃ ১৮ই মে শুভ আনন্দপূর্ণিমা তিথিতে মহাসমারোহে পরমারাধ্য মার্গগুরুদেব শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী শুভ ৯৯তম জন্মতিথি উৎসব পালিত হয়৷ ভোর থেকে প্রভাত সঙ্গীত ও বাবানাম কেবলম্ কীর্ত্তনে ভক্তরা আশ্রমকে আনন্দমুখর করে তোলেন৷ সকাল ৬টা ৭ মিনিটে মার্গগুরুদেবের আবির্ভাব মুহূর্ত্তে জয়ধবনি সহ বিভিন্ন মঙ্গলধবনির পর মিলিত সাধনা অনুষ্ঠিত হয়৷ এরপর আনন্দপূর্ণিমা উপলক্ষ্যে  বিভিন্ন ভাষায় মার্গগুরুদেবের দেওয়া ‘আনন্দবাণী’ পাঠ করা হয়৷ বাঙলায় বাণী পাঠ করেন চিত্রা সাউ, ইংরেজীতে পঞ্চানন দাস, সংসৃকতে গীতিকা বসু প্রমুখ৷ বাণী পাঠের পরে বাণীর তাৎপর্য, শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী জীবনী ও আদর্শের ওপর বক্তব্য রাখেন রমেন্দ্রনাথ মাইতি, অসিত দত্ত ও আচার্য নিত্যতীর্থানন্দ অবধূত৷

এরপর স্থানীয় বহু দুঃস্থ মহিলাকে বস্ত্র (শাড়ী) দান করা হয় ও তিন শতাধিক মানুষকে নারায়ণ সেবায় আপ্যায়িত করা হয়৷

আনন্দমার্গের প্রতিটি আশ্রমে ও প্রতিষ্ঠানে ও ইয়ূনিটেও শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী শুভ জন্মতিথি  উৎসব পালিত হয়৷ দুই মেদিনীপুরে দীপা, খড়িপাড়া, রামচন্দ্রপুর, গোয়ালতোড়, পাটাশোল, শিলদা, কুরকুটশোল, শালবনি, চন্দ্রকোণা রোড, নেড়াদৌল, মালিগ্রাম, বাকুলদা, রঘুনাথবাড়ি, তমলুক প্রভৃতি সর্বত্রই আনন্দমার্গের আশ্রমে পরমারাধ্য মার্গগুরুদেবের শুভ জন্মতিথি উৎসব পালিত হয়৷

জলপাইগুড়ি ঃ গত ১৮ই মে বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে জলপাইগুড়ি আনন্দমার্গ আশ্রমে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ৯৯তম শুভ জন্মতিথি উৎসব পনালিত হয়৷ এই উপলক্ষ্যে এদিন সকাল থেকেই যথারীতি প্রভাত সঙ্গীত, বাবা নাম কেবলম্ কীর্ত্তন, মিলিত সাধনা, বাণীপাঠ ও নারায়ণ সেবা অনুষ্ঠিত হয়৷ এই অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন বিষ্ণু মজুমদার, অজিত মজুমদার, বাবলু সরকার, প্রভাত সরকার, কেশব সিংহ, খুশী মণ্ডল প্রমুখ৷ ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তনের পর কীর্ত্তন মহিমা, আনন্দমার্গের আদর্শ ও সাধনা সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন আচার্য অজেয়ানন্দ অবধূত, খুশীরঞ্জন মণ্ডল প্রমুখ৷

শিলিগুড়ি ঃ ভারতনগরে অবস্থিত আনন্দমার্গ আশ্রমে যথারীতি মার্গগুরুদেবের ৯৯তম শুভ জন্মতিথি উৎসব পালিত হয়৷ শিলিগুড়ির সমস্ত আনন্দমার্গীরা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন৷ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন নন্দন ব্রহ্মচারী৷

কোচবিহার ঃ এই জেলার প্রতিটি স্কুল ও ইয়ূনিটে মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী শুভ জন্মতিথি উৎসব পালিত হয়৷ কোচবিহার টাউন স্কুল, খাগড়াবাড়ি ইয়ূনিটে কোচবিহার শহরের আনন্দমার্গীরা মিলিত হয়ে আনন্দপূর্ণিমা উৎসব পালন করেন৷ খাগড়াবাড়ি ইয়ূনিটের অনুষ্ঠানটি  পরিচালনা করেন ভুক্তিপ্রধান মহাদেব মল্লিক৷

ঢাংঢিংগুড়ি আনন্দমার্গ ইয়ূনিটে মহাসমারোহে নরেশ রায়, সন্তোষ মোদক, রবি সরকার প্রমুখের উপস্থিতিতে মহা ধূমধাম সহকারে মার্গগুরুদেবের ৯৯তম জন্মোৎসব পালিত হয়৷ সর্বত্র এই উপলক্ষ্যে অখণ্ড কীর্ত্তন, মিলিত সাধনা, আনন্দবাণী পাঠ ও নারায়ণ সেবার অনুষ্ঠান হয়৷

দিনহাটা ঃ মার্গগুরুদেবের ৯৯তম জন্মতিথি উৎসব মহা ধূমধাম সহকারে পালিত হয়৷ দিনহাটা মহকুমার সমস্ত আনন্দমার্গীরা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে মিলিত কীর্ত্তন ও সাধনায় অংশগ্রহণ করেন৷ যথারীতি নারায়ণ সেবাও অনুষ্ঠিত হয়৷

মাথাভাঙ্গা, গোপালপুর ও গোসাইয়ের হাট প্রভৃতি স্থানেও মহাসমারোহে মার্গগুরুদেবের জন্মতিথি উৎসব পালিত হওয়ার খবর এসেছে৷

এছাড়া অসমের গুয়াহাটি, নওগাঁ, হোজাই, শিলচর, করিমগঞ্জ, ত্রিপুরার আগরতলা, ধর্মনগর, বিশালগড়, তেলিয়ামুড়া সহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত আনন্দমার্গের বিভিন্ন শাখা সংঘটন ও ইয়ূনিটে যথারীতি মহাসমারোহে মার্গগুরুদেবের জন্মতিথি উৎসব পালিত হওয়ার খবর আসছে৷

 

নদীয়া ঃ নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরে মার্গগুরুদেবের বাসভবন ‘মধুপর্ণা’য় তাঁর ৯৯তম জন্মতিথি উদ্যাপন হয়৷ সকাল ৫টা থেকে ৬টা ৭মিনিট পর্যন্ত প্রভাত সঙ্গীত ও মানবমুক্তির মহামন্ত্র ‘বাবানাম কেবলম্’ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ জন্ম মুহূর্ত্ত ৬টা ৭ মিনিটে শঙ্খধবনি ও জয়ধবনির মধ্য দিয়ে দিনটি উদ্যাপিত হয়৷ তারপর মিলিত সাধনা, গুরুপূজার পর বিভিন্ন ভাষায় বাণী পাঠ করা হয়৷ ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ প্রায় দুই শতাধিক ব্যষ্টি নারায়ণ সেবায় আপ্যায়িত হন৷ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন গোরাচাঁদ দত্ত, সনৎ মৃধা, আনন্দ মণ্ডল, মনোরঞ্জন বিশ্বাস, তাপসী মুখার্জী, রেখা দত্ত প্রমুখ৷

 

ভাতজাংলা ইয়ূনিট ঃ এখানেও শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ৯৯তম জন্মতিথি যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালিত হয়৷ জন্মমুহূর্ত্তে উলুধবনি, শঙ্খধবনির পর মিলিত সাধনা, গুরুপূজা হয়৷ বাণী পাঠ করেন বাংলায় প্রশান্ত দত্ত, ইংরেজীতে জয়দেব বিশ্বাস৷ এছাড়া প্রীতিকণা দত্ত, নবনীতা সরকার, সুভাষ সরকার প্রমুখরা বিভিন্ন ভাষায় আনন্দবাণী পাঠ করেন৷ এই অনুষ্ঠানেও শতাধিক ব্যষ্টিকে নারায়ণ সেবায় আপ্যায়িত করা হয়৷

এছাড়া নদীয়া জেলার মদনপুর, নররায়নগর, পাটিকাবাড়ি, হবিবপুর প্রভৃতি স্থানে মহাসমারোহে এই দিনটি পালন করা হয়৷