বিশ্বকাপে ধোনির অভিজ্ঞতা  ভরসা জাতীয় দলের

সংবাদদাতা
ক্রীড়াপ্রতিনিধি
সময়

অনেকদিন ধরেই ভারতীয় ব্যাটিংয়ে চার নম্বর জায়গা নিয়ে অনেক আলোচনা শুণে আসছি৷ আমার মনে হয়, এই নিয়ে বেশী কথা হচ্ছে৷  ভারতের হাতে তো একজন চার নম্বর ব্যাটস ম্যান আছেই৷ সেই ব্যাটসম্যানের নাম মহেন্দ্রসিং ধোনি৷ কেন যে ধোনিকে ধারাবাহিকভাবে নামানো হয়না, সেটাই আমার কাছে বড় রহস্য৷

যেভাবে প্রথমে অষ্ট্রেলিয়া ও তারপরে এই আইপি.এলে ধোনি খেলে চলেছে, তাতে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে  ওর  এখনো অনেক কিছু দেওয়ার  আছে৷  অবশ্যই বিশ্বকাপে যে সব বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে ধোনিকে খেলতে হবে, তা ওর কঠিন পরীক্ষা নেবে৷ কিন্তু তার মানে এই নয় যে, ধোনি দলকে টেনে নিয়ে যেতে পারবে না৷

একদিনে ক্রিকেটে ম্যাচের গতি প্রকৃতি বুঝে ব্যাট করার দক্ষতা ধোনির মতো কারোর নেই৷ মানছি,  ও হয়তো শুরু থেকে চালিয়ে খেলতে পারবে না৷ কিন্তু ৫০ ওভারের ক্রিকেটে অনেকটা সময় পাবে ইনিংস তৈরী করার৷ একবার উইকেটে জমে গেলে  ধোনিকে বল করার মতো কঠিন কাজ আর কিছু নেই৷ আগ্রাসনের সাথে সতর্কতা মিশে থাকে ওর ইনিংসে৷  বিশেষ করে রান তাড়া করার সময়৷ এটাও স্বীকার করছি, ধোনির স্ট্রাইক রেটটা এখন কিছুটা কমে গেছে 

সেটা অবস্থা ও পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাট করে বলে৷ গত ৫ বছর ধোনি  অনেক ভাবনা চিন্তা করে ব্যাট  করছে৷ তাছাড়া ও চেষ্টা করে যত বেশী ওভার  সম্ভব ব্যাট করা৷  রান তাড়া করার সময় ম্যাচটাকে শেষ ওভার পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাওয়ার বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, ম্যাচ জিতিয়ে ধোনি বুঝিয়ে দিয়েছে ওর অঙ্কে কোন ভুল নেই৷ ধোনির উইকেট কিপিং দক্ষতায় একটুকুও মরচে পড়েনি৷ বরং আরো  যেন ভাল হয়েছে৷ দিল্লী ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ওর স্ট্যাম্পিং বুঝিয়ে দিয়েছে, শুধু উইকেট কিপিং -এ র দক্ষতাতে  ধোনি ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারে৷ ধোনির অভিজ্ঞতা, উইকেটের পেছনে ওর রিফ্লেক্স, ব্যাটিং ফর্ম, সবই কিন্তু ইংল্যাণ্ডে ভারতের খুবই কাজ আসবে৷

বিশ্ব ক্রিকেটে এরকম খেলোয়াড় খুব কমই আছে, যারা শুধু নিজেদের উপস্থিতি  দিয়ে দলকে উদ্বুদ্ধ করতে পারে৷ আমাদের সময় সেরকম ক্রিকেটার ছিল কপিল দেব৷ পরে আসে শচীন তেণ্ডুলকর ৷ ঠিক ওদের দুজনের মতোই দলের সঙ্গে থেকে ক্রিকেটারদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে পারে ধোনি৷ এইরকম ফর্মে থাকাকালীন ধোনি একটা গোটা দলের  আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিতে পারে৷ চেন্নাই সুপার কিংসের ক্ষেত্রে যেটা সবাই দেখতে পাচ্ছি, ধোনির নেতৃত্বে এই দলটাকে প্রায় অপরাজয় দেখাচ্ছে--- জানালেন --- কৃষ্ণমাচারী শ্রীকান্ত৷