দক্ষিণ অসমের বরাক বাঙলার কাছার করিমগঞ্জ ও হাইলাকান্দি জেলার মিজোরাম সীমান্তে বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে৷ মিজোরাম পুলিশ বলপূর্বক বেআইনিভাবে বরাক বাঙলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল দখল করেছে৷ ‘আমরা বাঙালী’ দলের অসম রাজ্য কমিটির সচিব সাধন পুরকায়স্ত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন--- মিজোরাম সরকারের পুলিশ ও এম.জেড.পির মতো সংঘটন এই বেআইনি দখলের কাজে লিপ্ত৷ বরাক উপত্যকায় যাদেরকে ঘর বাড়ি জ্বালিয়ে উচ্ছেদ করেছে তারা সবাই ভারতীয় বাঙালী৷ বরাক উপত্যকায় মিজোরাম সীমান্তে বসবাসকারী এই বাঙালীরা দীর্ঘদিন ধরে প্রহরীর মতো অসমের সীমান্ত এলাকা সুরক্ষিত রাখছেন৷ কিন্তু সরকার তাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন৷ যেহেতু বাঙালীরা উৎখাত হচ্ছে তাই অসম সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের এদিয়ে নজর নেই৷
মিজোরামে বর্তমানে এম.এন.এফ জোট সরকার৷ এম.এন.এফ-এর অতীত ইতিহাস ভারতের অখণ্ডতা বিরোধী ইতিহাস৷ দেশের বিরুদ্ধে যারা যুদ্ধ ঘোষনা করেছিল তারা কতটুকু দেশপ্রেমিক হতে পেরেছে? এটাই আজ বড় প্রশ্ণ? আমরা মনে করি বরাকে মিজো আগ্রাসনের পেছনে বিদেশী শক্তির হাত আছে৷ মায়ানমার থেকে মিজোরামে অনবরত অনুপ্রবেশ ঘটছে৷ এব্যাপারে মিজোরাম সরকার সম্পূর্ণ উদাসীন৷ উপরন্তু মিজোরাম সীমান্তে বসবাসকারী বরাক উপত্যকার বাঙালীদের বাংলাদেশী আখ্যা দেওয়া হচ্ছে৷ আমরা চাই দক্ষিণ অসমের মিজোরাম সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্ব সামরিক বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হোক৷
দলমত নির্বিশেষে সকল বাঙালীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে নাবার আহ্বান জানান সাধন পুরকায়স্ত৷ তিনি বলেন বাঙালী ঐক্যবদ্ধ না হলে বরাক উপত্যকায় তার অস্তিত্ব বিপন্ন হবে৷