আমরা বাঙালী দলের অসম রাজ্য কমিটির প্রচার সচিব আবুল কালাম বাহার এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানান---গত ৪ঠা আগষ্ট অসম বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক আতাউর রহমান মাঝারভূঁইয়া, ‘‘আমরা বাঙালী’’, অসম রাজ্যসচিব সাধন পুরকায়স্থ, খাদি গ্রাম উদ্যোগ আয়োগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান শরিফুজামান লস্কর, মানবাধিকার কর্মী আজমল হোসেন চৌধুরী সন্মেলিতভাবে অশান্ত অসম-মিজোরামের লায়লাপুর সীমান্তে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতির খোঁজ খবর নেন৷ গত ২৬ শে জুলাই লায়লাপুরের যে পাহাড় থেকে মিজো পুলিশ এলএমজি দিয়ে গুলি চালিয়ে ৬ জন অসম পুলিশকে হত্যা করেছিল, সেই পাহাড়ের নীচে দাঁড়িয়ে মিজোরাম সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়৷ কোন অবস্থাতে বরাকের এক ইঞ্চি জমি মিজোরামের দখলে থাকা চলবে না৷ ১৯৭২ সালে মিজোরাম যখন মিজোরাম যখন কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল হয় ও পরবর্তীকালে ১৯৮৭ সালে রাজ্যের মর্যাদা পায়৷ তখন যে সীমানা নির্র্দ্ধরন করা হয়েছিল মিজোরামকে সেই জায়গায় চলে যেতে হবে৷
১৯৯৪ সালে তৎকালীন কেন্দ্রীয় গৃহমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অসম-মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে দিল্লীতে যে সভা হয়েছিল, সেই সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত ছিল সীমানার স্থিতাবস্থা বজায় রাখা৷ কেন্দ্রীয়ভাবে সরজমিনে এসে সীমানা নির্র্দ্ধরন করা, কিন্তু ১৯৯৪ সালের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়নি, উপরন্তু মিজোরাম অসমের জমি দখল করে চলছে৷ এখন আবার আলোচনা হলে, পুরোনো কাসুন্দির কচকচানি হবে৷ কাজের কাজ কিছুই হবে না৷ গত ৫ই আগষ্ট অসমের দুই মন্ত্রী মাননীয় অতুল বরা ও অশোক সিংঘল আইজল যান৷ মিজোরাম সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে, কিন্তু আন্তরাজ্য সীমানা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মালিক কেন্দ্রীয় সরকার৷ সেখানে রাজ্যের দুই মন্ত্রী গিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কি এক্তিয়ার আছে? তা এক বিরাট প্রশ্ণ৷ আমাদের স্বার্থের পরিপন্থী কোন পদক্ষেপ যদি নেওয়া হয় তাহলে বরাকের মানুষ, রাজ্যের মানুষ সেটি মেনে নেবে না৷ আমরা এই ব্যাপারে রাজ্যের দুই মন্ত্রীকে হুঁশিয়ার করে দিচ্ছি৷ পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারকে অবিলম্বে সীমা বিরোধ নিষ্পত্তি করার দাবী রাখছি৷
এদিকে প্রতিনিধিগণ কাবুগঞ্জ, পুনিমুখ এলাকায় শহীদ মজরুল হক বড়ভঁূইয়ার বাড়ীতে গিয়ে শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সমবেদনা জ্ঞাপন করেন৷ পরিবারের সঙ্গে সমস্তরকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন৷