বর্ত্তমান কেন্দ্র সরকারের শাসননীতি সবই মহান ভারতবর্ষের আদর্শের পরিপন্থী

লেখক
প্রভাত খাঁ

মহাকাল থেমে নেই, তাই পা পা করে আমরা ১৫ই আগষ্টকে ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস হিসাবে পালন করলুম এ বছর৷ যাঁরা ইংরেজের সঙ্গে হাত মিলিয়ে অখণ্ড ভারতবর্ষকে খণ্ড বিখণ্ড করে মেকী রাজনৈতিক স্বাধীনতায় দেশজননীকে হিন্দুস্তান ও পাকিস্তান হিসাবে রূপ নেয়৷ তাঁরা কতো বড়ো ভুল করে গেছেন সেটা কী একবার এদেশের বর্ত্তমান রাষ্ট্র নেতারা স্মরণ করেন৷ ভারতবর্ষ কোনদিনই মেকী জাতপাতকে স্বীকার করেনি ও আজও করে না৷ কিন্তু আজ যাঁরা দেশ শাসনের দায়িত্বে তাঁরা কিন্তু সেই সম্প্রদায় জাতপাতকেই মান্যতা দিয়ে মহান সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতাকে মানেন বলে বলে মনেই হয় না৷ কিন্তু জহরলাল নেহেরু এটাকে মেনে চলতেন৷ আমরা আশ্চর্য হয়ে গেলুম বর্ত্তমান প্রধানমন্ত্রী মাননীয় নরেন্দ্রমোদী স্বাধীনতা দিবসে স্বাধীনতার দিবসে মহিলা স্বাধীনতা সংগ্রামী এই বাঙলার মেদিনীপুরের  মাতঙ্গিনী হাজরাকে ইচ্ছাকৃতভাবে অসমের অধিবাসী বলে মহান দিল্লির লালকেল্লার প্রকার থেকে বত্তৃণতা দেবার সময়  ঘোষণা করে কী দ্বিচারিতার ও মিথ্যাচারিতার পরিচয় দিলেন না? এটা সারা ভারতের লজ্জা! প্রধানমন্ত্রী এইটুকুও কী জানেন না যে মাতঙ্গিনী বিপ্লবের পীঠস্থান বাঙলার  মেদিনীপুরের অধিবাসী৷ নাকি এটাই তাঁর বত্তৃণতা দানের এক কপট রাজনীতি পরিকল্পনা! বত্তৃণতার সময় তিনি এই ধরনের বেফাঁস কথাই বলেন৷ না কি ২০২১-এর রাজ্য বিধানসভায় পশ্চিম বাঙলার জনগণ নির্বাচনে তাঁকে প্রত্যাখ্যান করায় তিনি তার বদলা নিতেই পশ্চিম বাঙলার পরিবর্তে আসামের  নাম নিয়ে ইতিহাসকেই উল্টে দিতে চেয়েছেন৷ নাগরিকগণ ও সমগ্র বিশ্ববাসী ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সম্বন্ধে কি ধারনা জন্মাবে?

এছাড়া সাত বছরে বিজেপি সরকার ভারতের কোটি কোটি হতদরিদ্র জনগণের ঘরে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম এতো বাড়িয়ে দিয়েছে যা কহতব্য নয়৷ রান্নার গ্যাসের সিলেণ্ডার পিছু হাজার ছুই ছুই৷ করোনায় ওষুধটুকু দিতে পারেনি৷ সেই ওষুধ বাহিরের দেশে বিক্রি করছে আর  এই দেশের মধ্যে সেই ওষুধ এর দামও আকাশছোঁয়া কালো বাজারী হচ্ছে৷ অত্যন্ত আশ্বর্যের কথা ১৫ই আগষ্ট লালকেল্লা থেকে বত্তৃণতায় জোর করে ১০০ লক্ষ কোটি টাকার ভাষণ প্রধানমন্ত্রী জনগণকে শুনিয়েছেন৷ এদিকে লক্ষ্মীর ভাঁড়ার শূন্য৷

এই সরকার বহু প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছেন৷ কিন্তু অদ্যাবধি সেই নোতুন প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করা তো দূরের কথা, তার কোন চিহ্ণ দেখা গেল না৷

দেশে কোটি কোটি মানুষ বেকারের যন্ত্রনায় কাতর৷ এই সরকার করের বোঝা চাপিয়ে মানুষকে রক্তশূন্য করে ছাড়ছে৷ এটাকে গণতন্ত্র বলেন না৷ এর হাত থেকে বাঁচতে শোষিতদের তীব্র প্রতিবাদী হয়ে উঠে বাচার লড়াই কী জরুরী নয়? অত্যন্ত দুঃখের কথা আফগানিস্থানের সঙ্গে ভারতবর্ষের আত্মীক সম্পর্ক আছে প্রায় ৫০০০ বছরের৷ মহাভারতের  গান্ধারী হলেন এই দেশের রাজকন্যা৷ তাঁর নিষ্ঠা ও ভাবাদর্শ মানবসমাজকে মানবজীবনে আদর্শের বাণী দিয়ে থাকে৷ সেই দেশে আজ কুসংস্কারাচ্ছন্ন তালিবানরা শাসনে৷ তাঁকে পাকিস্তান ও চীন সমর্থক করে৷ কিন্তু এ দেশের সরকার দেশকে বাঁচাতে আজ কোথায়?