ভারতের অধ্যাত্মবাদকে অস্বীকার করে অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কার দেশকে ধবংস করছে

লেখক
নিরপেক্ষ

বর্তমানে আমরা ভারত ভারত বলে চিৎকার করি কিন্তু  আসল ভারত হলো অখণ্ড ভারতবর্ষ যাঁকে আমাদের স্বার্থান্ধ মেকী দেশ নেতাগণ ইংরেজের কূটচালে খণ্ড খণ্ড করে ধবংস করে দিয়েছে৷ যে পাকিস্তান সৃষ্টি হয় সেটি হলো ইংরেজ ও আমেরিকার পকেটের খণ্ডিত ভারতবর্ষ যার জন্মই হয় ভারত ভূখণ্ডের সর্বনাশ করে ঐ সাম্রাজ্যবাদী শক্তির সেবাদাস হওয়া আর চিরকালের মতো ভারতবর্ষের আদর্শও লক্ষ্যকে বিনষ্ট করা৷ সেটাই পাক সরকার করে চলেছে৷ কিন্তু আমরা জানি যে পাকিস্তানের সচেতন জনগণ সবাই ইমরানের মতো নেতাকে মেনে নেননি আর পাকিস্তানের সামরিক বিভাগও গোয়েন্দা দফতরের সংকীর্ণ আচরণ ও নীতিকেও পছন্দ করেন না৷ বিশেষ করে সেখানকার সৎনীতিবাদী মহান নরনারীগণও অত্যন্ত মানবিক যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে কালকাটাচ্ছেন৷ বিশেষ করে  বর্ত্তমানে পাঠান রাজ্য আফগানিস্তানে যে নারকীয় শাসনের জন্ম হয়েছে সেই তালিবানদের তো পাকিস্তানের মহিলারা দু’চক্ষে দেখতে পারেন না বলেই তাঁরা স্বদেশে ক্ষুধা ও আফগানিস্তানের মহিলারাতো হাতে অস্ত্র নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছেন কারণ মাতৃজাতিকেই তালিবানী শাসকগণ নিছক নারী সম্প্রদায়কে সকল সুযোগ ও সুবিধা থেকে চিরকালের মতো বঞ্চিত করে রাখারই ফতেয়া জারি করেছে৷ যা নাকি সারা পৃথিবীর সচেতন জনগণ একেবারে এই চরম অন্যায়কে ‘‘নারী জাতিকে বঞ্চনাটাকে তীব্র ধিক্কার জানায়৷ ভারতের প্রতিটি নরনারী ও সরকার এই স্বৈরাচারিতার বিরুদ্ধেই ঐক্যবদ্ধ৷ চীন একটি বিরাট দেশ৷ এদেশের অতীত গৌরবোচ্ছ্বল ও ভারতবর্ষের অতি প্রিয়দেশ চীন৷ সেই চীন ও মানবিক মূল্যবোধকেই অস্বীকার করে জঘন্য ক্ষুদ্র স্বার্থের কারণে তালিবানদের সমর্থন করেছে৷ চীন পাকিস্তানের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে ভারতের সঙ্গে পায়ে পা দিয়েই ঝগড়া করছে ও ভারতের উত্তরে ভারতের নেফা এলাকায় ও কশ্মীর সীমান্তে লাডাক এলাকায় ভারতের ভূখণ্ডে হাত বাড়াচ্ছে ও বিরোধ সৃষ্টি করছে  ভারতের মতো বন্ধু রাষ্ট্রের সঙ্গে৷ পাকিস্তানের জন্ম হয়েছে চিরকালই মিথ্যা শত্রুতা করে অশান্তিকে জিয়িয়ে রাখতে কারণ এ ছাড়া পাকিস্তানের আর কোন লক্ষ্যই নেই৷ মোদ্দাকথা ভারত বিদ্বেষই হলো পাকিস্তানের একমাত্র বৈদেশিক নীতি৷ এটা সাম্রাজ্যবাদীরা ধনতন্ত্রের পূজারীরাই শিখিয়ে দিয়ে গেছে ইমরানদের মতো রাষ্ট্র নেতাদের যারা অদূর ভবিষ্যতে পাকিস্তানকে ছায়ারাজ্য আফগানিস্তানও  পাকিস্তানের অধীনে আসে পাকিস্তানের অধীনে থাকা উত্তর পশ্চিম সীমান্ত অঞ্চল ও বালুচিস্তানের এলাকা হারাতে হবে যেমন হারিয়েছে পূর্ববাংলাকে৷

এবার আমরা ভারতের রাজনৈতিক চালচিত্রটা একবার লক্ষ্য করবো৷ তাতে বোঝা যাবে হতভাগ্য দেশের অবস্থাটা কেমন৷ মোটামুটি যা দেখা যাচ্ছে তা হলো পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর ও দক্ষিণের রাজনৈতিক অবস্থাটা কেমন তা জানাটা দরকার৷ পূর্বে দেখা যাচ্ছে চরম অবস্থা৷ এখানে জাতীয় দল গুলির দেখা যাচ্ছে শোচনীয় অবস্থা৷ আঞ্চলিক দলগুলি প্রবল হচ্ছে৷ পশ্চিম বাংলার অবস্থাটা লক্ষ্যনীয়৷ এখানে তৃণমূলের রাজত্ব৷ ত্রিপুরাতে বিজেপির নাভিশ্বাস উঠছে৷ আর অসমে  সংখ্যালঘু অসমিয়ারা সংখ্যা গরিষ্ঠ বাঙালী জনগোষ্ঠীকে চরম নির্যাতন করে চলেছে৷ গণতন্ত্র বলতে কিছুই নেই৷ আর  নেফা এলাকায় চীন হামলা চালাচ্ছে৷ জনগণের অবস্থাটা শোচনীয়৷ রাজনৈতিক দলগুলো প্রায় শেষ হয়েই গেছে৷ বিরোধী দল বলতে তো কারোর অস্তিত্ব নেই বিধানসভায়৷ এখানে দলছুট তৃণমূল বিরোধী আসনে আর শাসন ক্ষমতায় তৃণমূল৷ মুখ্যমন্ত্রী হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

কেন্দ্রের হিন্দুত্ববাদী দল মরিয়া হয়ে পড়েছে এখানে ডবল ইঞ্জিন সরকার গড়তে৷ কিন্তু সেটা সফল হয়নি৷ তাই পশ্চিম বাংলা কেন্দ্রের চক্ষুশূল৷ এই রাজ্যকে কেন্দ্র সব ব্যপারেই এক ঘরে করে রেখেছে৷ আর্থিক সাহায্য দিতে কার্পণ্য করেই চলেছে৷

দক্ষিণের রাজ্যগুলি মূলতঃ আঞ্চলিক দলের দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত৷ জাতীয় দলগুলি তেমন কল্কে পায় না৷ যদিও কর্ণাটকে কেন্দ্রের সরকার দলের শাসন টিম্‌ টিম্‌ করছে৷ তামিলনাড়ু ও কেরলে বিরোধীদলের শাসন চলছে৷

পশ্চিমে রাজ্য শাসনে আঞ্চলিক দলকে কংগ্রেস সমর্থন জানিয়ে চলছে৷ তাকে পদে পদে  চাপে রেখেছে কেন্দ্র সরকার৷ আর পশ্চিমে পঞ্জাব আঞ্চলিক দল আর কংগ্রেস এই পশ্চিমে কষ্টে দু’একটি রাজ্যে অতিকষ্টে শাসন কায়েম রেখেছে৷

উত্তরে কশ্মীরজম্মুতে ডবল ইঞ্জিন সরকার, বড়ো রাজ্য উত্তর প্রদেশে ডবল ইঞ্জিন সরকার৷ খুবই শোচনীয় অবস্থায় চলছে আর বিহারে আঞ্চলিক দল বিজেপির সমর্থনে নীতিশ এর শাসন চলে যাচ্ছে৷ কিন্তু নীতিশ অত্যন্ত চাপে আছে৷ মূলতঃ রাজনৈতিক দলগুলি ভয়ংকর ডামাডোলে আছে৷ গুজরাটে শাসন চালাচ্ছে বিজেপি৷ এটা ডবল ইঞ্জিনের রাজ্য৷ মোদ্দাকথা সারা ভারতের রাজ্যগুলির অবস্থা শোচনীয়৷ আর কেন্দ্রের সরকার একেবারে চলছে ধনতন্ত্রের সেবাদাস হয়েই৷ তাই কোটি কোটি হতভাগ্য নাগরিকগণ যেন এক তুঘলকী শাসনে ক্লান্ত৷ রাজনৈতিক দলগুলি পোলাইট ট্রিকস্‌ অর্থাৎ পলিটিকস্‌ ছাড়া কিছু জানে না৷ অত্যন্ত দুঃখের কথা স্বাধীনতাটাই এসেছে জননী জন্মভূমিকে  খণ্ডিত করে৷

আর শাসনে আসেন যাঁরা তাঁরা অধিকাংশই উপর তলার  মানুষ৷ তাই এই গণতন্ত্রে সমাজতন্ত্রের কোন চিহ্ণই দেখা গেল না দীর্ঘ ৭৪ বছরে৷ অত্যন্ত দুঃখের কথা ভারত অধ্যাত্মবাদের লীলাভূমি কিন্তু এখানে শাসনে যাঁরা আছেন সেই অধ্যাত্মবাদকেই পাশ কাটিয়ে পশ্চিমী বাঁচেই দেশটাকে জোর করে টেনে নিয়ে যাচ্ছে নিছক ভোগবাদের কন্টকাকীর্ণ অরণ্যে৷ এখানে বাহিরের শাসন এসেছে সুদীর্ঘ বছর তাই ভারত ভুলে গেছে তাঁর আসল পরিচয়৷ দীর্ঘ বছর মুসলমান শাসন চলেছে তারপর ইংরেজ শাসন তাই ভারতীয় জীবনাদর্শটা অস্বীকৃত হয়ে আছে৷ তাই ভারত আজ হয়েছে  দিশেহারা দেশ৷ এর উত্থান জরুরী৷

প্রাচীন অধ্যাত্মবাদকে যদি ভারত জীবনাদর্শ না করে তা হলে এর দুর্দ্দশা