গত মঙ্গলবার দক্ষিণ আফ্রিকার পোচেস্ট্রমে যুব বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে ১০ উইকেটে উড়িয়ে দিল ভারত৷ প্রথমে বোলারদের দাপটে পাকিস্তানের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১৭২ রানে৷ এরপরে যশস্বী ও দিব্যাংশ সাক্সেনার দাপটে কোনও উইকেট না হারিয়ে প্রায় ১৫ ওভারের মধ্যে ম্যাচ ভারতের পক্ষে করে নেয়৷ ১০৫ রানে অপরাজিত থাকেন যশস্বী৷ দিব্যাংশের সংগ্রহ ৫৯৷
এবার বলা যাক ফুচকা বিক্রেতা কেন বলা হয়েছে৷ এই ম্যাচের সঙ্গে ফুচকা বিক্রেতার কি সম্পর্ক, তবে সামনে আনা যাক সেই সত্য যা আমাদের ভারতবাসীর গর্ব হতে চলেছে ভবিষ্যতে৷ তার নাম যশস্বী৷ যিনি এই খেলায় ম্যান অফ দা ম্যাচ হয়েছেন৷ ইনিই আগে ফুচকা বিক্রেতা ছিলেন৷ আসলে উত্তর প্রদেশের সুরিয়া এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন যশস্বী৷ মাত্র ১০ বছর বয়সে মুম্বাইতে চলে আসেন তিনি ৷ চোখে স্বপ্ণ ছিল ক্রিকেটার হওয়ার৷ দোকানে কাজ নিলেও ক্রিকেট প্র্যাকটিসের কারণে সময় পাননি৷ কাজ চলে যায় কিছুদিনের মধ্যেই৷ সারাদিন প্র্যাকটিসের শেষে তিনি ফুচকা বেচতেন পেট চালানোর জন্য৷ ময়দানে এক মাঠ কর্মীর সঙ্গে তাঁবুতেই রাত কাটাতেন যশস্বী৷ আজ সেই ১৮ বছরের যুবকের দুরন্ত ব্যাটিংএর সামনে পাকিস্তান ধরাশায়ী হয়ে ভারতকে ফাইনালে পৌছে দিয়েছে৷ মাত্র ১১৩ বলে ১০৫ রানের দুরন্ত গতি নজর কাড়ল সকল ক্রিকেট প্রেমীদের৷ এই দুরন্ত খেলার পর সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন ‘‘ আমার স্বপ্ণ সত্যি হল দেশের জন্য যা করেছি তাতে আমি খুশি৷ এতো সবে শুরু আমাকে প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে৷ তাছাড়া পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করেছি এতে আমার যে কি আনন্দ হয়েছে তা আমি বোঝাতে পারছি না৷