সি.এ.এ. ও এন.আর.সি.-র বিরুদ্ধে সারা দেশ জুড়ে আন্দোলন অব্যাহত৷ দিল্লীর জামিয়া মিলিয়ার পর শাহিনবাগেও সি.এ.এ. বিরোধীর ধর্না মঞ্চের সামনে গুলি চলল৷ এদেশে হিন্দু ছাড়া আর কারোর থাকা চলবে না৷---জোর গলায় এই দাবী করে বিক্ষোভকারীদের সামনে শূন্যে গুলি ছুঁড়ল এক যুবক৷ পুলিশ তাকে কোন বাধা দিতে আসেনি৷
শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে এইভাবে দমন করার পেছনে শাসকগোষ্ঠীর যে হাত আছে তা আনুপূর্বিক ঘটনা প্রবাহ থেকে স্বততঃই প্রমাণিত হয়, প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেউ এই পিস্তলধারীর নিন্দা করেননি৷ বরং সরকার পক্ষের বিভিন্ন নেতৃবর্গ এই যুবকদের প্রশংসাই করেছে৷
এইভাবে প্রতিবাদী কণ্ঠ রোধ করা কোন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের পক্ষে সমীচিন কী? তাহলে কী মোদীজী বা অমিত শাহরা একনায়কতন্ত্র চালু করতে চান? আর পাকিস্তানের অনুকরণে ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র করে ভারতের মহান ঐতিহ্যকে ধূলায় মিশিয়ে দিতে চান? তারা নীতি বদল করুন৷ সারা দেশ আজ প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে, দিকে দিকে আন্দোলন সংঘটিত হচ্ছে৷ এটা বর্তমান সরকারের অগণতান্ত্রিক ভাবধারার কুফল৷
প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্সালের এক মুখপাত্র বলেন---মোদী সরকারের উচিত হবে সংবিধানের ধারাগুলির যথাযথ মর্যাদা দিয়ে দেশের সব বর্ণের, সব ধর্মের মানুষকে সম-মর্যাদার আসনে বসিয়ে তাদের সকলের জন্য অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান- শিক্ষা-চিকিৎসার যথাযথ ব্যবস্থা করা৷ জনগণের ক্রয়ক্ষমতা ক্রমাগত বৃদ্ধির জন্যে দেশের কৃষি ও শিল্পের বিকাশ ঘটানো৷ সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রীত অর্থনৈতিক ভাবনা থেকে বিকেন্দ্রীত অর্থনীতির প্রচলন দ্রুত চালু করা৷ এতে করে বেকার সমস্যার সমাধান ও দেশের শ্রীবৃদ্ধি ঘটবে৷ কিন্তু পুঁজিবাদের অর্থে নির্ভর শাসক দলের পক্ষে এই কাজ করা সম্ভব হবে কী?
দেশের প্রশাসক হ’ল সেই জনগণের অভিভাবক৷ এই অভিভাবক স্বেচ্ছাচারী হলে সেই দেশের শাসন ক্ষমতায় তাকে অযোগ্য বলে জনগণ একদিন ছঁুড়ে ফেলে দেবে৷