দিশীহীনl বিভ্রান্তিকরl অন্তঃসারশূন্য - দীর্ঘতম বাচনিক বাজেটে অর্থনীতির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

২০২০ সালের আয়-ব্যয় মাত্রিকা (বাজেট) সংসদে পেশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী৷ যদিও প্রথা মেনে অর্থমন্ত্রী আর্থিক আয়-ব্যয় মাত্রিকা প্রকাশ করলেন৷ কিন্তু এন.ডি.এ সরকারের অন্দরের খবর এই বাজেট প্রধানমন্ত্রীর খবরদারিতেই তৈরী৷ সম্প্রতি শিল্পমহলের সঙ্গে আর্থিক বিষয়ের বৈঠকে অর্থমন্ত্রীই অনুপস্থিত ছিলেন৷

অর্থমন্ত্রী তাঁর দীর্ঘ বাজেট বত্তৃণতায় অনেক আশার কথা শুনিয়েছেন৷ আয়কর ছাড় দিতে গিয়ে পুরোনো কর ব্যবস্থা বজায় রেখে কিছু শর্ত চাপিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন৷ পুরোনো কর ব্যবস্থা না-কি নূতন হারে কর দিলে লাভবান হবে ধন্ধে পড়েছে মানুষ আর দেশের যে বৃহত্তম জনগোষ্ঠী করের আওতর বাইরে তাদের জন্য আশার কথা থাকলেও সে আশায় কোন আলো নেই৷ কৃষি, সেচ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জল ও নিকাশি একথায় গ্রামীণ উন্নয়নের কথা বললেও বাস্তবের সঙ্গে কোন যোগ নেই৷ অর্থমন্ত্রী বর্তমান আর্থিক দূরবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার কোন পথ দেখাতে পারেননি৷

কর্ষককে আশার কথা শুণিয়েছেন যে, ২০২২ সালের মধ্যে নাকি কর্ষকর রোজগার দ্বিগুণ হবে৷ তার জন্যে অর্থমন্ত্রী কোন পর্যায়ের নীতি ঘোষণা করলেও বরাদ্দ কিছুই করেননি৷ মাত্র ৪ শতাংশ বরাদ্দ বাড়িয়ে লক্ষ্য পূরণ সম্ভব নয়৷ একই কথা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য প্রসঙ্গে বলা যায়৷ সেখানেও অনেক আশার কথা শোণালেও উভয় ক্ষেত্রে বরাদ্দ ৪ শতাংশের পেশী নয়৷

প্রাউটিষ্ট ইউনিবার্সালের মুখপাত্র আচার্য প্রসুনানন্দ অবধূত বলেন---পুঁজিবাদের স্বার্থ নির্ভর এই বাজেটের দ্বারা অর্থনীতির ভেঙ্গে পড়া স্বাস্থ্য উদ্ধার করা সম্ভব নয়৷ তিনি বলেন

প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী এটা ভালই বোঝেন৷ কিন্তু পুঁজিবাদ আশ্রিত ভোট সর্বস্ব রাজনৈতিক দলের পক্ষে কেন্দ্রীত অর্থনীতির ফাঁদ থেকে বেরিয়ে আম-জনতার স্বার্থ রক্ষা করা সম্ভব নয়৷ তিনি বলেন বর্তমান সামাজিক-অর্থনৈতিক -রাজনৈতিক পরিকাঠামোয় রাজনৈতিক দলগুলো বিত্তশালীদের হাতের পুতুল মাত্র৷ তাই অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে এই পরিকাঠামোর আমূল পরিবর্তন করতে হবে ও সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষের সামাজিক- অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক সচেতনতা বাড়াতে হবে৷ মানুষের জীবনের উন্নতি করতে হলে ১০০ শতাংশ কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে হলেপুঁজিবাদ নির্ভর কেন্দ্রীত অর্থনৈতিক পরিকাঠামো ভেঙ্গে প্রাউটের বিকেনিত্মরত অর্থনৈতিক পরিকল্পনাতে রূপ দিতে হবে৷

আচার্য প্রসূনানন্দজী বলেন---বর্তমান অর্থনৈতিক পরিকাঠামোয় চলছে একচেটিয়া শোষণ৷ এই শোষণ বজায় রাখতেই রাজনৈতিক অসাম্য, অর্থনৈতিক বিভাজন, সামাজিক বৈষম্যগুলিকে বজায় রাখা হয়েছে৷ প্রতি বছর এই শোষণ বজায় রাখতেই ওই অন্তঃসারশূন্য বাজেট তৈরী করা হয়৷ এবারেও আয়কর ছাড় ও সুযোগ-সুবিধাগুলি বাদ দিয়ে ছাঁটাইয়ের কানাগলিতে আটকে রাখা হ’ল বার্ষিক বাজেটকে৷ কর্মসংস্থানের দিশা নেই বাজেটে, নেই বর্তমান সংবকট থেকে বেরিয়ে আসারও কোন বাস্তব পরিকল্পনা৷ সরকারের সদিচ্ছাও নেই৷ আম-জনতার কাছে এই বাজেট অর্থহীন অসার বচন সর্বস্ব৷