রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা ও মিজোরাম এই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি ভারতীয় রাজনীতিতে এখন সবচেয়ে বড় খবর৷ সমস্ত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অভিমত হ’ল এই বিধানসভা নির্বাচনগুলি হ’ল আগামী ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের সেমিফাইনাল অর্থাৎ এগুলিতে বিজেপির ভরাডুবি মানেই হ’ল ভারতের জনসাধারণ আর মোদী ম্যাজিকে ভুলবার নয়৷ হিন্দুত্ববাদের জিগির তুলে ২০১৪-তে বিজেপি ক্ষমতায় এসেছিল, এখন সেই হিন্দুত্ববাদের সেণ্টিমেণ্টের অস্ত্র এখন ভোঁতা হয়ে গেছে৷ তার ওপর বিজেপির দেওয়া সমস্ত প্রতিশ্রুতগুলোই ভুয়ো প্রমাণিত হয়েছে৷ বিজেপির প্রতিশ্রুতি ‘অচ্ছে দিন’ আসেনি, বরং এসেছে ক্রমশঃ ‘বুরে দিন’৷ তাই জনগণও বিজেপিকে সেই ‘বুরে দিন’ উপহার দিল৷ সুইস ব্যাঙ্ক থেকে সমস্ত কালো টাকা উদ্ধার করে দেশের প্রতিটি গরীব নাগরিকের ব্যাঙ্ক এ্যাকাউণ্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে জমা দেবার প্রতিশ্রুতি এখন নিতান্তই উপহাস হয়ে প্রতিধবনি হয়েছে৷ বেকার সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি তো পালিতই হয়নি৷ বরং বেকার সমস্যার ক্রমবৃদ্ধি ঘটেছে৷ গরীব জনসাধারণের গরীবি হটেনি, কিন্তু ধনিক শ্রেণীর আয় লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে মোদী আমলে৷ ব্যাঙ্কের গচ্ছিত রাখা জনসাধারণের কষ্টার্জিত টাকা লুট করে নিয়ে গেছে পুঁজিপতি লুটেরারা৷ আর তার পেছনে স্পষ্ট হাত ছিল বিজেপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের৷ মোদীজিরা আম্বানীদের সঙ্গে দোস্তি করছেন, আর মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট প্রভৃতি রাজ্যে দলে দলে চাষী ঋণভারে জর্জরিত হয়ে আত্মহত্যা করছে৷ তারই ফলে কর্ষকদের বিক্ষোভ আন্দোলন ক্রমবর্ধমান৷ এই পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবিই ছিল স্বাভাবিক৷ আর তা-ই হয়েছে৷
ছত্তিশগড়
মোট আসন ৯০
কংগ্রেস ৬৮
বিজেপি ১৫
জেসিস ৫
বিএসপি ২
মধ্যপ্রদেশ
মোট আসন ২৩০
কংগ্রেস ১১৪
বিজেপি ১০৯
বি.এস.পি ২
অন্যান্য ৫
রাজস্থান
মোট আসন ১৯৯
কংগ্রেস ৯৯
বিজেপি ৭৩
বি.এস.পি ৬
অন্যান্য ২১
মিজোরাম
মোট আসন ৪০
এম.এন.এফ ২৬
কংগ্রেস ৫
বিজেপি ১
অন্যান্য ৮
তেলেঙ্গানা
মোট আসন ১১৯
টি.আর.এস- ৮৮
কংগ্রেস ১৯
বিজেপি ০২
অন্যান্য ১০