হিন্দী ভাষা দিবসে হিন্দী ভাষার মাধ্যমে দেশকে এক সূত্রে বাঁধার আহ্বান জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷ তিনি বলেন---একমাত্র হিন্দীই পারে দেশকে এক সূত্রে বাঁধতে৷
তাঁর এই বক্তব্যে দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে৷ বিশেষ করে দক্ষিণ ও পূর্ব ভারত ক্ষোভে ফেটে পড়েছে৷ দক্ষিণের অভিনেতা নেতা কমল হাসান তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন---ভাষার ওপর আঘাত হানলে আন্দোলনের ব্যাপ্তি অনেক বড় আকার ধারণ করবে৷ আমরা সব ভাষাকেই সম্মান করি, কিন্তু মাতৃভাষার ওপর আঘাত আমরা সহ্য করব না৷
কর্ণাটকের বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা অমিত শাহের এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেন৷ তিনিও বলেন---কর্ণাটকের মানুষ কখনোই হিন্দীকে মেনে নেবে না৷
পশ্চিমবঙ্গের বুদ্ধিজীবী মহল থেকে অমিত শাহের এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করা হয়৷ আমরা বাঙালী সংগঠনও ব্যাপকভাবে বিক্ষোভ সভা ও মিছিল করে প্রতিবাদ জানায়৷ ১৬ই সেপ্ঢেম্বর বিকেল ৪টে বারাসত শহরে বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে আমরা বাঙালীর কর্মী সমর্থকরা বারাসত ষ্টেশনের সামনে এসে জড় হয়৷ এখানে তারা একটি বিক্ষোভ সভা করে ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কুশপুতুল দাহ করে৷ বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জয়ন্ত দাশ,বলেন---হিন্দী দেশকে এক সূত্রে বাঁধবে না, জোর করে ভাষা চাপানোর পরিণতি কি হতে পারে বাঙলাদেশ দেখে অমিত শাহ শিক্ষা নেননি৷ হিন্দী একসূত্রে বাঁধবে না, দেশকে বিচ্ছিন্ন করে দেবে৷ এছাড়া বক্তব্য রাখেন ছাত্র যুব সমাজের পক্ষে শ্রী তপোময় বিশ্বাস ও অরূপ মজুমদার, শৈলেন মোদক, গোপাল রায়চউধুরী, বাপী পাল প্রমুখ ‘আমরা বাঙালী’ নেতৃবৃন্দ৷ সভার শুরুতে দেশাত্মবোধক সঙ্গীত পরিবেশন করেন শ্রী শঙ্কর সরকার প্রমুখ৷
এছাড়াও ঝাড়খণ্ড, ত্রিপুরা সহ পূর্ব উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাঙালী অধূ্যষিত রাজ্যগুলিতেও আমরা বাঙালী কর্মী সমর্থকরা প্রতিবাদে পথে নামে৷ তারা বিক্ষোভ সভা, মিছিল করে প্রতিবাদ জানায়৷