এন আর সি-র নামে বাঙালী জনগোষ্ঠীকে বিদেশী বানানোর চক্রান্ত চলছে৷ অসমের ইতিহাস খুঁজলে পাওয়া যাবে অসমে অসমিয়ারাই প্রকৃত বিদেশী৷ কয়েকশ’ বছর আগে এই অসমিয়ারা ব্রহ্মদেশ থেকে এসে অসমের বাঙালী রাজার রাজত্বে আশ্রয় নেয়৷ অসমের নাম তখন প্রাগ্জ্যোতিষপুর৷ ভাগ্যের পরিহাসে সেই অসমিয়ারাই আজ অসমের ভূমিপুত্রদের বিদেশী চিহ্ণিত করছে৷
অসমের বৃহত্তম অংশ বাঙলার অঞ্চল৷ সমগ্র বরাক ভ্যালি, অবিভক্ত গোয়ালপাড়া জেলা সহ অসমের বেশীটাই বাঙলার মাটি৷ বাঙালীরাই এখানকার ভূমিপুত্র৷ কথাগুলি বলেন আমরা বাঙালীর কেন্দ্রীয় সচিব বকুল রায়৷ তিনি বলেন, দেশ ভাগের জন্যে বাঙালীরা দায়ী নয়৷ যাদের শৌর্য, বীর্য ও ত্যাগের জন্যে ভারত স্বাধীন হ’ল তারাই যদি আজ বিদেশী হয় তার পরিণতি ভাল হবে না৷ ৬ই সেপ্ঢেম্ব কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে শ্রী রায় দাবী করেন অসম, মণিপুর, ত্রিপুরা, আন্দমান সহ সমস্ত বাঙালী অধূ্যষিত অঞ্চল নিয়ে একটি পৃথক রাজ্য গঠন করতে হবে৷ আমরা বাঙালী সংঘটন বাঙালী জনগোষ্ঠীকে বিদেশী বানানোর চক্রান্ত যে কোন মূল্যে রুখবে৷
৭ই আগষ্ট অপরাহ্ণে একাডেমী অফ্ ফাইন আর্টসের সম্মুখ থেকে ‘আমরা বাঙালী’ দলের একটি মিছিল বের হয়ে রাসেল ষ্ট্রীটে অসম ভবনের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখায়৷ এখানে বিভিন্ন বক্তা অসম ও কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বলেন---অবিলম্বে বাঙালী জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে চক্রান্ত বন্ধ করতে হবে৷ যে বাঙালীর আত্মত্যাগে দেশ স্বাধীন হয়েছে,সেই বাঙালীর গায়ে বিদেশীর তক্মা ‘আমরা বাঙালী’ সহ্য করবে না৷ অবিলম্বে এন আর সি-র নামে বাঙালী জনগোষ্ঠীকে বিদেশী বানানোর চক্রান্ত বন্ধ না হলে পরিণাম খারাপ হবে৷ বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সচিব বকুল রায় জ্যোতিবিকাশ সিন্হা, নজরুল ইসলাম, তপোময় বিশ্বাস, গোপা শীল, শুভেন্দু ঘোষ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ৷