পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, অসম, ত্রিপুরায় ‘আমরা বাঙালী’ কর্মী সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল ও বিক্ষোভ সভা করে বাঙালীকে বিদেশী বানানোর চক্রান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলনে নেমেছে৷
খোয়াইতে---১৪ই সেপ্ঢেম্বর ত্রিপুরার খোয়াই শহরে ‘আমরা বাঙালী’ এক বিশাল মিছিল ও বিক্ষোভ সভা করে৷ রাজ্যে বিজেপি সরকারে আসার পর খোয়াই শহরের মানুষ কোন বিরোধী দলের এত বিশাল মানুষের মিছিল এই প্রথম দেখলেন৷
‘আমরা বাঙালী’র দলীয় কার্যালয় থেকে ১৪ই সেপ্ঢেম্বর বিকেলে মিছিল বার হয়ে খোয়াই শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে কোহিনুর প্রাঙ্গনে নেতাজী মূর্ত্তির সামন জমায়েত হয়৷ সেখানে বিভিন্ন বক্তা বলেন---কোনভাবেই বাঙালীকে বিদেশী বানানোর ষড়যন্ত্র মেনে নেওয়া যাবে না৷ ‘আমরা বাঙালী’ এই চক্রান্ত যে কোনও মূল্যে রুখবে৷ এন আর সি আসলে বাঙালী জনগোষ্ঠীকে রাষ্ট্রহীন করার একটা অজুহাত৷ অসমে ২৫ লক্ষ বাঙালীকে বিদেশী বানানো হয়েছে৷ যাদের নাম এন আর সি-তে নথিভুক্ত হয়েছে সেখানেও ভুলে ভরা৷ কারো নামের বানান ঠিক নেই, কারো পদবী ঠিক নেই৷ আরও নানারকম ভুলভ্রান্তি আছে৷ এই ভুল সংশোধনেরও কোন ব্যবস্থা রাখা হয়নি৷ তাই এন আর সি-তে নথিভুক্ত হলেও সবাই নাগরিকত্ব পাবে না৷ এই অবস্থায় সমস্ত বাঙালী জনগোষ্ঠীকে ঐক্যদ্ধ হয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রকে রুখতে হবে৷
এই সভায় বক্তব্য রাখেন কেশব মজুমদার, গৌতম ঘোষ, রঞ্জিত বিশ্বাস, গৌতম দেব, নলিনী দেবনাথ প্রমুখ৷
শিলিগুড়িতে---শিলিগুড়ি হাসমিচকে ১৪ই সেপ্ঢেম্বর আমরা বাঙালী কর্মী সমর্থকরা একটি বিক্ষোভ সভা করেন এন আর সি-র প্রতিবাদে৷ এখানেও প্রচুর মানুষ জমায়েত হন ‘আমরা বাঙালী’র বক্তব্য শুনতে৷ অনেকেই ‘আমরা বাঙালী’র আন্দোলনকে সমর্থন জানান৷ এখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা সচিব বাসুদেব সাহা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নীরোদ অধিকারী, শম্ভু সরকার ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাংঘটনিক সচিব শ্রী খুশীরঞ্জন মণ্ডল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ৷