প্রবন্ধ

চাই সুশৃংখল ও সুনিয়ন্ত্রিত জীবনধারা

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

     "সমস্ত দিন সংসারের ক্ষেত্রে দুঃখ দৈন মৃত্যুর আলোড়ন চলেছে, কিন্তু রোজ সকাল বেলায় একটি বাণী আমাদের এই কথাটাই বলে যায় যে, এই সমস্ত অকল্যাণই চরম নয়, চরম হচ্ছেন শিবম। প্রভাতে তারএকটি নির্মল মূর্তি কে দেখতে পাই---চেয়ে দেখি সেখানে ক্ষতির বলিরেখা কোথায়? সমস্তই পূরন হয়ে আছে। দেখি যে, বুদবুদ যখন কেটে যায় সমুদ্রের তখন কণামাত্র ক্ষয় হয় না। আমাদের চোখের উপর যতই ওলট-পালট হয়ে যাক- না তবু দেখি যে, সমস্তই ধ্রুব হয়ে আছে, কিছুই নড়েনি। আদিতে শিবম অন্তে শিবম অন্তরে শিবম।" -                    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

আলাদা করে মাতৃদিবস কেন?

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

যার স্নেহছায়ায় প্রতিমুহূর্ত প্রতিদিন কাটে, যার স্নেহের অমৃতধারায় সতত স্নাত, যার কোলে প্রথম জগতের আলো দেখলাম, তার জন্য আলাদা একটা দিবস! ----- বুঝিনা এ লজ্জার না গৌরবের!

প্রাউটের দৃষ্টিতে শোষণ মুক্ত সমাজ ব্যবস্থা ও ১০০ শতাংশ কর্মসংস্থান

এইচ. এন. মাহাতো

ভারতের রাজনৈতিক অবস্থাটা সরকার ও বিরোধী পক্ষের মধ্যে অহি-নকুল সম্পর্কে দাড়িয়েছে। দুই পক্ষই নিজেদের বক্তব্যে নিজেরা ঠিক বলছেন বলে দাবী করছেন।তাতে দেশের মানুষের স্বার্থ বজায় থাকে কিনা সে চিন্তা করে না। তাদের এই ডামাডোলের রাজনীতি ভারতের ঐতিহ্য বিশ্বের দরবারে কতটা নত করে দিচ্ছে এনিয়ে করোর মাথা ব্যাথা নেই। বর্তমান ভারতের আর্থিক অবস্থায় নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের বিশেষ করে ছাত্র যুব সমাজ আজ দিশেহারা। নোতুন প্রজন্মকে কোন দিকে পরিচালনা করলে দেশের ব্যাষ্টি ও সমষ্টির কল্যান হবে তার জন্য সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ কোন পরিকল্পনা রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে নেই। নোতুন প্রজন্মের ছাত্র/ছাত্রা বা যুবক/যুবতীরাই

সদ্বিপ্রের নেতৃত্ব

সংকলন ঃ জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

(প্রাউট প্রবক্তা মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের রচনা সম্ভার থেকে সংগৃহীত)

প্রতিটি চলমান সত্ত্বাকে নির্দ্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্যে প্রয়োজন সার্থক নেতৃত্ব৷ গন্তব্যে পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে নৌকার জন্যে একজন কাণ্ডারী, ট্রেন-বাসের জন্যে ড্রাইভার যেমন প্রয়োজন, ঠিক তেমনই মানব সমাজের প্রগতির জন্যেও প্রয়োজন প্রকৃত নেতৃত্বের যাঁরা সমগ্র সমাজকে নির্ভুল দিশায় এগিয়ে নিয়ে যাবেন৷ সমাজ সম্পর্কে আলোচনায় প্রাউট প্রবক্তা মহান দার্শনিক শ্রদ্ধেয় শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার বলেছেন---

দানবীয় সাম্প্রদায়িকতা গণতন্ত্রকে প্রহসনে পরিণত করেছে৷

প্রভাত খাঁ

বেনিয়া ব্রিটিশ নীতি হলো বিভেদ সৃষ্টি করো ও  শাসন করো৷ তাই তাদের দ্বারা ভারতকে টুকরো করা হয়েছে৷ দেশকে রাজনৈতিক স্বাধীনতা ইংরেজ দিয়েছে সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারার ভিত্তিতে৷ দেশকে রক্তাক্ত করে যাদের হাতে  তুলে দেওয়া হয় তারা সবাই ছিল ইংরেজের অনুগামী স্তাবক৷ তা না হলে অখন্ড ভারতবর্ষ  পূর্ণস্বাধীনতা লাভ করতো নেতাজী সুভাষচন্দ্রের আজাদ হিন্দ বাহিনীর দ্বারা৷  সুভাষচন্দ্র ভারতবর্ষের দ্বারপ্রান্তে বাহিনী নিয়ে আসেন ও মনিপুরের মৈরানে ভারতীয় বাহিনীর পতাকা উত্তোলন করেন৷ তাতেই ভীত  ও সন্ত্রস্ত্র হয়  ইংরেজ  শাসক  ও এদেশের  রাজনৈতিক  দলগুলো৷ সেই কারণে  রাজনৈতিক দলের নেতারা লোকচক্ষে নেতাজীকে হেয় প্রতিপন্ন করতে কু

প্রকৃতির রুদ্ররোষ!  মানুষের দুর্বুদ্ধি!

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

করোনার আতঙ্কে কাঁপছে বিশ্ব৷ বিশ্বায়ণের নূতন পর্ব হয়তো শুরু হল৷ ‘বিশ্বায়ণ’ শব্দটি এতদিন পুঁজিবাদী দুনিয়ার করায়ত্ত ছিল৷ এই বিশ্বায়ণ পুঁজিবাদী দুনিয়ার জন্যে অবাধ বাণিজ্যের দুয়ার খুলে দিলেও সাধারণ নাগরিকের জন্য সি.এ.এ, এন.আর.সির আগল মজবুত করা হচ্ছিল৷ সহজ কথায় তথাকথিত বিশ্বায়ণ বণিক শ্রেণীর বিশ্বের বাজার দখলের, শোষণের হাতিয়ার৷ এই বিশ্বায়ণকে কেন্দ্র করেই উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যে চলছে ঠান্ডা যুদ্ধ৷

প্রকৃত মানব ধর্মে জাতিভেদ, অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কারের স্থান নেই

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

বর্তমানে ধর্মের নামে নানান ধরণের গোঁড়ামী, জাত–পাতের ভেদ ও সাম্প্রদায়িক বিভেদ ও বিদ্বেষ চলছে৷ এগুলিকে ধর্মের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ বলে বলা হচ্ছে৷ তা কিন্তু  মোটেই ঠিক নয়৷

আবীরে লাল কলকাতার সেকাল

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

কলকাতার আদি পরিবারগুলির অন্যতম হল শেঠ পরিবার৷ এই শেঠ পরিবারের প্রথম যিনি কলকাতায় আসেন তাঁর নাম মুকুন্দরাম৷ মুকুন্দরামের ছেলে লালমোহন৷ খ্যাতিমান ব্যবসায়ী হিসেবে ইংরেজদের  কাছে বিশেষ সমাদর পেতেন এই লালমোহন৷ এই লালমোহন যে-দিঘি খনন করান তারই নাম লালদিঘি৷ লালদিঘি নামকরণের উৎস অবশ্য আরও আছে৷ দিঘির মাটি দিয়ে  ইঁট তৈরি করে  পশ্চিমদিকে একটা  ভদ্রাসন তৈরি করা হয়েছিল৷ লালমোহন একটা বাজারও তৈরি করেছিলেন৷ সেই বাজারটিই হল আজকের বিখ্যাত লালবাজার৷ ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দ অবধি বাজারটির অস্তিত্ব ছিল৷ পরে বাজারটি বন্ধ হয়ে যায়৷ এখন শুধু নামটিই আছে৷

সোশ্যাল মিডিয়ার ভালো-মন্দ

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া নামক একটি নোতুন জগতের সাথে আমাদের পরিচিতি ঘটেছে৷ এক বিংশ শতাব্দীর সূচনা লগ্ণ থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ার পথ চলা শুরু৷ বর্তমান সময়ে এর প্রভাব ও বিস্তার উপেক্ষা করার মতো নয়৷ আট থেকে আশি সকলের কাছেই সমাদর লাভ করেছে সোস্যার মিডিয়া পরিবারের সদস্যবৃন্দ যেমন--- ফেসবুক , হোয়াটস আপ, টুইট্যার, ইন্সটাগ্রাম ইত্যাদি ৷

লক্ষ কোটি মানুষের মেল বন্ধন ঘটেছে৷ সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে৷ আঙুলের স্পর্শে ভৌগোলিক দূরত্ব মুছে যাচ্ছে, দেশ-মহাদেশ -মহাসাগর অতিক্রম করে মানুষ মিশে যাচ্ছে, একাকার হয়ে যাচ্ছে স্থান-কাল-পাত্র উপেক্ষা করে৷