গোড্ডায় আনন্দমার্গের ধর্মমহাসম্মেলন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

নিজস্ব সংবাদদাতা, গোড্ডা ঃ গত ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারী ঝাড়খণ্ডের গোড্ডাতে আনন্দমার্গের ধর্মমহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷৷ এই ধর্মমহাসম্মেলনে আনন্দমার্গের পুরোধা প্রমুখ আচার্য কিংশুকরঞ্জন সরকারের আধ্যাত্মিকতা ওভক্তিতত্ত্বের ওপর প্রবচন সকলকে মোহিত করে তিনি বলেন, পরমপুরুষের প্রতি একান্ত ভালবাসাই হল ভক্তি৷ মানুষ যখন ধনসম্পদ, মান, যশ ইত্যাদি লাভের জন্য ঈশ্বর সাধনা করে তখন তাকে সাধারণ ভাবে বলে রাজসিকী ভক্তি৷ সে যদি অন্য কারো ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে ঈশ্বর ভজনা করে তখন তাকে বলা হয় তামসিকী ভক্তি৷ আর নিজের পুণ্যার্জনের জন্যে যে ঈশ্বর সাধনা করা হয় তা হল সাত্ত্বিকী ভক্তি৷
শুধু শাস্ত্রবিধি অনুসরণ করে এই যে ঈশ্বর সাধনা তা প্রকৃত ঈশ্বর সাধনা নয়, যারা এই সব কিছু পাবার জন্যে ঈশ্বর ভজনা করে তারা আসলে ঈশ্বরকে ভজনা করে না, ঈশ্বরকে তারা চায় না, তারা চায় ঈশ্বরের কাছে অন্য কিছু৷
প্রকৃত ভক্তি হল রাগানুগা ভক্তি বা রাগাত্মিকতা ভক্তি৷ রাগানুগা ভক্তিতে সাধক ঈশ্বরকে ভজনা করে, ভক্তি করে, সে ইষ্টের কাছ থেকে কোন কিছু চায় না, ঈশ্বরের ভজনা করতে তার ভাল লাগে তাই সে ঈশ্বর ভজনা করে৷ এর চেয়ে উচ্চস্তরের ভক্তের ভাব হল সাধক নিজে আনন্দ পাবার জন্যে ঈশ্বর ভজনা করে না, সে ঈশ্বর বা পরমপুরুষকে আনন্দ দেবার জন্যে পরমপুরুষের ভজনা করে৷ এই যে ভক্তি বা ভজনা একে বলে রাগাত্মিকা ভক্তি তাই জীবনের রাগাত্মিকা ভক্তিই হল শ্রেষ্ঠ ভক্তি৷
প্রতিদিন দুবেলা পুরোধা প্রমুখেরপ্রবচন ছাড়া প্রভাত সঙ্গীত, অখণ্ড কীর্ত্তন, মিলিত সাধনা প্রভৃতির ফলে এখানে এক অপূর্ব আধ্যাত্মিক পরিমণ্ডল সৃষ্টি হয়েছিল৷
২৬ তারিখ বিকেলে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সারা শহর পরিক্রমা করে৷ আনন্দমার্গের এই শোভাযাত্রা শহর পরিক্রমাকালে বিভিন্ন জায়গায় পথসভাও হয়৷ পথসভায় আচার্য বীতমোহানন্দ অবধূত আনন্দমার্গের আদর্শ সম্বন্ধে বক্তব্য রাখেন৷ জনসাধারণ বিপুল উৎসাহে আনন্দমার্গের বক্তব্য শোনেন ও পরে অনেকেই ধর্মমহাসম্মেলন মঞ্চে এসে আনন্দমার্গে যোগদান করেন ও সাধনা শেখেন৷