১৯২৮ সালে আমস্টারডাম অলিম্পিক্সে বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে ভারত জয় লাভ করেছিল হকিতে ৯-০তে৷ যেটা সম্ভব হয়েছিল বর্তমান হকি দলের কোচের পিতা ধ্যানচাঁদ বাবুর দৌলতে৷ কিন্তু ১৯২৮ সালে যা ঘটেছিল তা ২০১৮ সালে ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে ঘটল না ২-২তে ভারত বেলজিয়াম ম্যাচ ড্র হয়ে গেল তবুও ভারত কিন্তু পিছিয়ে পড়েনি বরঞ্চ আর এক ধাপ এগিয়ে গেল৷ অর্থাৎ আগামী ৮ই ডিসেম্বরের কানাডার বিরুদ্ধে ম্যাচে ভারত যদি জেতে তাহলে সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে যাবে৷
তাই ভারতের কোচ হরেন্দ্র সিংহের একটাই লক্ষ্য শেষ ম্যাচে কানাডাকে হারিয়ে সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা নিশ্চিত করা৷
গত রবিবার ভুবনেশ্বরে ম্যাচের পরে হরেন্দ্র বলেন , ‘‘আপাতত আমাদের সামনে কোনও ‘যদি’ বা ‘কিন্তু’ নেই৷ শেষ ম্যাচে কী করলে পুল-এ শীর্ষে থাকা যাবে সেটাই দেখতে হবে ৷ তবে সবার আগে আমাদের জিততে হবে৷ কারণ একটা ম্যাচই ঠিক করে দেবে আমার সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনালে খেলব, না ক্রশওভারে যেতে হবে৷ আমাদের পুলে এখন যে কোনও কিছু হতে পারে৷ তবে গোল পার্থক্য আমরা বেলজিয়ামের থেকে এগিয়ে আছি৷ পরের ম্যাচের আগে ৬দিন বিশ্রাম পাব৷ তাই কানাডার বিরুদ্ধে নতুন উদ্যমে ঝাঁপাতে পারবে ছেলেরা৷’ ভারতকে চাপে রাখতে রবিবার বেলজিয়াম প্রথম থেকেই আক্রমণে ঝড় তোলার চেষ্টা করেছিল৷ বিপক্ষ দলের এই রণনীতিতে বিস্মিত নন হরেন্দ্র৷ তাঁর কথা, ‘‘প্রথম কোয়ার্টারে বেলজিয়ামের চাপ তৈরী খেলা দেখে একটুও অবাক হইনি ৷ ওরা জানত, ম্যাচের বয়স যত বাড়বে ভারত তত ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে৷ আমার ছেলেরা জনসমর্থনের সুবিধেও দারুণ কাজে লাগিয়েছে৷’’ হরেন্দ্র জানিয়েছেন, বিরতিতে দলের ‘ফর্মেশনে’ একটু পরিবর্তন করা হয়৷ যাতে ম্যাচে ভারতের নিয়ন্ত্রণ বাড়ে৷ বললেন, ‘‘ আমরা তখন থেকে ডাবল ট্যাকলিং শুরু করি৷ বলের পিছনে থাকি বা সামনে, ছেলেদের বলেছিলাম প্রচণ্ড গতিতে খেলতে হবে৷ সেটাই ওরা দারুণভাবে করেছে৷
হরেন্দ্র ভাবছেন, ভারতের এতটা ভাল খেলার বড় কারণ খেলোয়াড়দের দুরন্ত শারীরিক সবমতা৷ যে কারণে, তাঁর আক্রমণাত্মক হকির কৌশল এতটা কাজে এসেছে বলে মনে করেন৷ হরেন্দ্রর কথায়, ‘‘কখনও এতটা ফিট ভারতীয় হকি দল দেখিনি৷ ভারত তার ঐতিহ্য রক্ষা করলে কখনও রক্ষণাত্মক হকি খেলতে পারে না৷ সেটা আমাদের চরিত্রবিরোধী৷ আমি সেটাই দলকে বুঝিয়েছি৷ এই জায়গাটায় অন্তত কোনও রকম সমঝোতা করতে রাজি নেই৷’’