রাষ্ট্রসঙ্ঘে স্বীকৃতি পেল বাংলা ভাষা

গত ১০ই জুন রাষ্ট্র সংঙ্ঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে বহুভাষাবাদের পক্ষে অ্যান্ডোরা ও কলম্বিয়ার আনা প্রস্তাব গৃহীত হয়৷ গৃহী

নিজস্ব সংবাদদাতা

আনন্দমার্গ স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রের যুগান্তকারী আবিষ্কার

পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার ছেলে সাবির হোসেন এক বিশেষ ধরণের পাউডার আবিষ্কার করেছেন যা ব্যবহারে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে ক্ষতস্থানের রক্তপাত বন্ধ হয়ে যাবে৷ পি.এন.এ.

সুপ্রিম কোর্টে সাতে নেই বাংলা প্রতিবাদে সরব ‘আমরা বাঙালী’

সুপ্রিম কোর্ট তার রায় প্রকাশের মাধ্যম হিসাবে হিন্দী, ইংরাজীর সাথে আরও পাঁচটি ভাষাকে বেছে নিয়েছে৷ তার মধ্যে উড়িয়া, অসমিয়া থাকলেও বাংলা ভাষার স্থান হয়নি নিজস্ব সংবাদদাতা

বিশ্ব পরিবেশ দিবসে আবেদন

‘‘মানুষ যেন মানুষের তরে সবকিছু করে যায়৷

               একথাও যেন মনে রাখে পশুপাখী তার পর নয়

নিজস্ব সংবাদদাতা

বিশুদ্ধ ও আজ্ঞা চক্রের উপর মহাবিশ্বের জ্যোতিষ্ক সমূহের প্রভাব

সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

এ পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা মহাকাশের জ্যোতিষ্কদের উৎপত্তি সম্পর্কে বলেছেন---নিহারিকা Nebula) থেকে তারা জগৎ বা ছায়াপথ Galaxy) তৈরী হয়েছে৷ আমরা যে তারা জগৎ বা ব্রহ্মাণ্ড Galaxy) এর মধ্যে বাস করি, তা মোটামুটি দশহাজার কোটি (১০,০০০ কোটি) নক্ষত্র নিয়ে গঠিত হয়েছে৷ এই বিপুল সংখ্যক নক্ষত্র নিয়ে গঠিত হয়েছে৷ এই বিপুল সংখ্যক নক্ষত্র বা তারাদের কেন্দ্র করে পৃথিবী নামক গ্রহটি ঘুরে চলেছে৷ আমরা হ’লাম এই পৃথিবী গ্রহের  বাসিন্দা৷ আমাদের ব্রহ্মাণ্ড Galaxy)-টির কেন্দ্র হ’তে ৩৩০০০ আলোকবর্ষ দূরে আমরা হ’লাম ওর শহর তলীর বাসিন্দা৷ মহাকাশের বুকে এরূপ অগণিত ব্রহ্মাণ্ড সমূহকে নিয়ে গঠিত হয়েছে মহাবিশ্ব Universe)৷

ধনীর সেবাদাস সরকার কালো সোনার ভাণ্ডার তুলে দিল ধনকুবেরের হাতে

প্রভাত খাঁ

এই সম্পদে পরিপূর্ণ বসুন্ধরার মালিক প্রধানতঃ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের ৫ বছরের জন্য যাঁরা জনগণের বোটে নির্বাচিত হয়ে দেশসেবা  করার জন্য আসেন তাঁরা৷ সেই সম্পদ লুঠ পাট করার জন্য আসেন না তাকে রক্ষা করার জন্যই আসেন৷ কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের কথা হলো এই বিরাট দেশের দলতান্ত্রিক শাসকগণ দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রে যেকটি এসেছে সেই কটির সবগুলি হয়ে দাঁড়িয়েছে অত্যন্ত নিষ্ঠুর ও স্বৈরাচারী শাসক৷ বিশেষ করে পর পর দুই এর অধিক বার শাসনে থেকে!

ধনমুখী কেন্দ্রীত অর্থনীতিকে গণমুখী করতে হবে

প্রবীর সরকার

ব্যষ্টি নিয়ন্ত্রিত ও রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত উৎপাদন ব্যবস্থাই অদ্যাবধি পৃথিবীর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে ও মূলতঃ বন্টন ব্যবস্থাকে পরিচালিত করছে৷ এদের যথাক্রমে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রক সাম্যবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বলে উল্লেখ করা হয়৷

আজ এই দুটিই উৎপাদন ও বন্টন ব্যবস্থাই শোষণের হাতিয়ার হিসাবে চিহ্ণিত হচ্ছে৷  সারা পৃথিবীতে চলছে চরম অর্থনৈতিক শোষণ৷ বর্ত্তমানে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাই স্বনামে ও বেনামে কাজ করে চলেছে৷ এই দুই ক্ষেত্রেই শ্রমিক, বুদ্ধিজীবী নানাভাবে আর্থিক দিক থেকে শোষিত হচ্ছে৷

ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন ও মাইক্রোবাইটাম

সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন হ’ল মোহন বিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত সঙ্গীত৷ ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন হ’ল ধবনাত্মক ধবনি (Positive sound)৷ ভজন, কীর্ত্তন ও ইষ্ট নাম হ’ল পজিটিভ সাউণ্ড৷ উচ্চৈস্বরে পরম পুরুষের গুণগান ক’রে পরমপুরুষকে আনন্দ দেওয়াকে কীর্ত্তন বলে৷ কীর্ত্তনে পরম পুরুষের আনন্দপ্রাপ্তি হয়৷ এই অবস্থায় ভক্ত নিজেকে ভুলে গিয়ে আত্মহারা হ’য়ে পরমপুরুষকে আনন্দ দেওয়াই হ’য়ে ওঠে ভক্তের জীবনের লক্ষ্য৷ পজিটিভ  সাউণ্ডের পরিবেশ পজিটিভ মাইক্রোবাইটামের সমাবেশ হওয়ার পক্ষে অত্যন্ত  অনুকূল৷ সেদিক থেকে ৰাৰার দেওয়া অষ্টাক্ষরী সিদ্ধ মন্ত্র ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তনে যে মনরম স্বর্গীয় পরিবেশ সৃষ্টি হয়, তাতে কোটি কো

অতীতের পৃষ্ঠা থেকে জন্মদ্বিশতবর্ষে - প্যারীচরণ সরকারের কিছু কথা৷

মণিমেখলা মাইতি                                             

বিস্মৃত বাঙালিকে ক্ষমা করে দিন আপনি৷ আপনি তো মুক্ত মনের মানুষ৷ এ ক্লেদাক্ত সমাজে আপনাকে আজ কোন দরকার নেই৷ সত্যিই তো, আপনার অবদান কে কবেই বা মনে রাখলো! সেই ১৮৪৭ সালের কথা কেউ মনে রাখে! সাধারণ বাড়ির মেয়েরা তখন পড়াশুনা করে না৷ মেয়েরা পড়লে বিধবা হবে, স্ত্রীশিক্ষা হল ’’কালকেউটের বিষ’’৷ তাই ধামায় করে পিতা পাঁচ বছর বয়সে কন্যাদান করেন৷ মেয়ে অন্ধকার আলোয় রাঁধে, বাড়ে, সংসার বৃদ্ধি করে৷ তার কাছে বাইরের পৃথিবী অধরা৷ এমন অবস্থায় এগিয়ে এসেছিলেন পুণ্যশ্লোক প্যারীচরণ সরকার৷ বারাসাতে কালীকৃষ্ণ মিত্র, নবীনকৃষ্ণ মিত্রের সহযোগিতায় গড়ে তুললেন সাধারণ মেয়েদের জন্য প্রথম প্রকাশ্য বিদ্যালয়৷ দেশের মধ্যে প্রথম কি?

ৰাংলা নববর্ষ

আমরা  পৃথিবীর–পৃথিবী আমাদের দেশ৷ আরও ভালভাবে বলতে গেলে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডই আমাদের দেশ৷ এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের এক কোণে পৃথিবী নামে যে ছোটো গ্রহটা আছে–সেই পৃথিবীর এক কোণে বাঙালী নামে যে জনগোষ্ঠী আছে সেই জনগোষ্ঠীও অতীতের অন্ধকার থেকে এগোতে এগোতে, তার অন্ধকারের নিশা শেষ হয়ে গেছে, তার জীবনে নোতুন সূর্যোদয় এসেছে৷ এবার তাকে এগিয়ে চলতে হবে৷ চলার পথে বিরাম নেই, বিশ্রাম নেই৷ কমা, কোলন, সেমিকোলনের কোনো যতি চিহ্ণ নেই৷ তাকে এগিয়ে চলতে হবে৷ এগিয়ে সে চলেছে, চলবে৷ চলটাই তার জীবন–ধর্ম, অস্তিত্বের প্রমাণ, অস্তিত্বের প্রতিভূ হ’ল চলা৷ কেউ যদি চলতে চলতে থেমে যায়, বুঝতে হবে সে জীবনের ধর্মকে খুইয়ে বসেছে৷ সব কিছুই চলছে

মুষ্টিমেয় ধনিদের স্বর্গরাজ্য ভারত

প্রভাত খাঁ

সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থার প্রতিবেদনে প্রকাশ পায় ভারতে আর্থিক বৈষম্য গত ১০ বছরে ব্রিটিশ আমলকে ছাড়িয়ে গেছে৷ শুধু আর্থিক নয় দেশে এখন গণতন্ত্রও বিপন্ন, স্বৈরাচার মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে৷ মনে রাখা খুবই দরকার তা হলো গণতন্ত্রেই যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থাটা খুবই জরুরী৷ বিশেষ করে ভারতের  মতো বিরাট দেশে  যেখানে বহু রাজ্যের ও বহু ভাষাভাষীর দেশ৷ ভারতীয় সংবিধানও হলো বিশ্বের বৃহত্তম সংবিধান৷ যেখানে বহু পরিশ্রমে রাষ্ট্রনেতাগণ এই সংবিধান ঘটন করেন৷

স্বাগত নববর্ষ ১৪৩১

বৎসর, নব বৎসর, তুমি কল্যাণ এনো চারিদিকে,

নূতন ভোরের হাতছানিতে নূতন ঊষার নবালোকে৷৷

বৃক্ষ–লতারা সবুজে ভরুক, বন্য পশুরা নিরাপদ হোক,

পাখীরা কণ্ঠে অমিয় ভরিয়া উড়িয়া বেড়াক দিকে দিকে৷৷

মানুষে মানুষে ভেদ দূর হোক, বুদ্ধির অপচয় রোধ হোক,

শক্তির সর্বনাশা প্রতাপ সংযত হোক সব দিকে৷৷  

                              –প্রভাতসঙ্গীত

পরম শ্রদ্ধেয় বিজয়ানন্দদা

সুভাষ প্রকাশ পাল

প্রাচীনকালে মুনি-ঋষিরা ঈশ্বরলাভের জন্য বনে-জঙ্গলে, পাহাড়ে-পর্বতে নির্জন স্থানকেই তপোভূমি হিসাবে বেছে নিতেন৷ খুব প্রয়োজন না হলে তাঁদের লোকালয়ে আসতে হত না বা সাধারণ মানুষের সঙ্গে যথেচ্ছভাবে মিশতে হত না৷ কিন্তু আমরা যারা সংসারে বাস করি আমাদের নানা প্রয়োজনে বিভিন্ন লোকের সঙ্গে মিশতে হয়৷ কারও সঙ্গ খুব ভাল লাগে--- মনে হয় অনেকক্ষণ আমার কাছে থাকুন আবার কাউকে দেখলেই মনে মনে একটা বিরক্তিভাব চলে আসে--- তিনি কখন সামনে থেকে চলে যাবেন সেই অপেক্ষায় থাকি, যত বেশী সৎ মানুষের সঙ্গে লাভ করব তত আমাদের মঙ্গল৷ তারকব্রহ্ম যে সময়ে পৃথিবীতে এসেছেন আমরাও সেসময় জন্ম গ্রহণ করেছি, তাঁকে স্বচক্ষে দেখেছি, তাঁর সঙ্গে কথা

১০০ দিনের কাজ নয়, ১০০ শতাংশ মানুষের কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা দিতে হবে

বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায়

১০০ দিনের কাজের নামে নানান অভিযোগ ওঠে৷ একে কেন্দ্র করে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার গরীব মানুষের টাকা বন্ধ করে দিয়ে তাদের, সাথে সাথে রাজ্য সরকারকেও বিপদে ফেলেছে বলে খবরে প্রকাশ৷ যদিও বকেয়া মজুরি রাজ্য সরকার মিটিয়ে দিয়েছে বলে তারা দাবি করছে৷ রাজ্যের শাসকদল কেন্দ্রীয় সরকারের এই বঞ্চনার বিরুদ্ধে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে জোরালো আওয়াজ তুলে বাজিমাত করতে চাইবেই৷ কাজ করিয়ে মজুরি দেওয়া না হলে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আন্দোলন করার অধিকার অবশ্যই আছে তাদের৷ এছাড়াও কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দল বছরে ২কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল৷ কিন্তু গত ৫ বছরে কত কোটি বেকার যুবক যুবতী চাকরি পেয়েছে তার একটা হিস