রাষ্ট্রসঙ্ঘে স্বীকৃতি পেল বাংলা ভাষা

গত ১০ই জুন রাষ্ট্র সংঙ্ঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে বহুভাষাবাদের পক্ষে অ্যান্ডোরা ও কলম্বিয়ার আনা প্রস্তাব গৃহীত হয়৷ গৃহী

নিজস্ব সংবাদদাতা

আনন্দমার্গ স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রের যুগান্তকারী আবিষ্কার

পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার ছেলে সাবির হোসেন এক বিশেষ ধরণের পাউডার আবিষ্কার করেছেন যা ব্যবহারে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে ক্ষতস্থানের রক্তপাত বন্ধ হয়ে যাবে৷ পি.এন.এ.

সুপ্রিম কোর্টে সাতে নেই বাংলা প্রতিবাদে সরব ‘আমরা বাঙালী’

সুপ্রিম কোর্ট তার রায় প্রকাশের মাধ্যম হিসাবে হিন্দী, ইংরাজীর সাথে আরও পাঁচটি ভাষাকে বেছে নিয়েছে৷ তার মধ্যে উড়িয়া, অসমিয়া থাকলেও বাংলা ভাষার স্থান হয়নি নিজস্ব সংবাদদাতা

বিশ্ব পরিবেশ দিবসে আবেদন

‘‘মানুষ যেন মানুষের তরে সবকিছু করে যায়৷

               একথাও যেন মনে রাখে পশুপাখী তার পর নয়

নিজস্ব সংবাদদাতা

একুশে ফেব্রুয়ারী---এক স্মরণীয় ও বরনীয় দিন

বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়

সময়ের আবর্ত্তনের পথ ধরে ও স্মৃতির সরনী বেয়ে একুশে ফেব্রুয়ারী আমাদের চলতি ইতিহাসের অঙ্গনে আবার ফিরে এল৷ এই একুশে ফেব্রুয়ারীর পথ চলা শুরু হয়েছিল ১৯৫২ সালের এক রক্তস্নাত সকাল হতে৷ এই একুশে ফেব্রুয়ারী কেবল নিছক একটি নিথর বা নির্জীব একটি দিন নয়, একুশে ফেব্রুয়ারী অনেক রক্ত সংগ্রাম আর শপথ মেশানো একটি দিন৷ ‘মোদের গরব, মোদের আশা, আমরি বাংলাভাষা’র স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার একটি দিন, এই একুশে ফেব্রুয়ারী৷ বিনম্র চিত্তে সমীহ, শ্রদ্ধা আর আকন্ঠ ভালবাসা জানানোর মতো একটি দিন- এই একুশে ফেব্রুয়ারী৷ তাই এই দিনটি প্রতিনিয়ত আমাদের চিত্ত আর চেতনাকে উদ্দীপ্ত করে আর বাংলা ভাষার স্বাতন্ত্র আর অধিকারকে অটুট রাখার জন্য আমা

সন্দেশখালি---শ্মশান - কুক্কুরদের কাড়াকাড়ি গীতি

পথিক বর

সন্দেশখালি প্রথম নয়, কেউ ভুলেও ভাববে না---এটাই শেষ৷ আজ যারা সন্দেশখালি নিয়ে সরব তাদের অনেকেই ১২/১৪ বছর আগে এই ধরণের নক্কারজনক ঘটনায় নীরব থাকতো নতুবা ঘটনাকে গুরুত্বহীন করার চেষ্টা করতো৷ সেদিন যারা সরব ছিল আজ তারা অনেকেই কেমন যেন মিইয়ে গেছে৷

তাহলে প্রতিবাদ কিসের জন্যে? মিডিয়ায় মুখ দেখাতে, পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে, গায়ের ঝাল মেটাতে---এক কথার ব্যষ্টিগত ইর্ষায় অথবা দলীয় স্বার্থ প্রতিবাদের প্রেরণা, সমাজকে পাপমুক্ত করার এষণা নয়, পাপকে প্রশ্রয় দেবার ক্ষমতার দখল নিতে প্রতিবাদ! না-হলে প্রতিবাদ কি হয়নি! পার্কষ্ট্রীট, কামদুনি, বগটুই--- এত প্রতিবাদ প্রতিরোধের পরেও আবার সন্দেশখালি কেন?

মনের ওপর মাইক্রোবাইটামের প্রভাব

সমরেন্দ্রনাথ ভোৌমিক

মাইক্রোবাইটাম একটি অতি সূক্ষ্ম জীব৷ এই সমস্ত মাইক্রোবাইটামের মধ্যে যারা স্থূলতম তাদের দ্বারাই মহাকাশ হ’তে জীবপ্রাণ উৎসারিত হ’য়ে জড়ের মধ্যে প্রাণ স্পন্দন এসেছে৷ আর যে সমস্ত মাইক্রোবাইটামেরা আরও সূক্ষ্ম অর্থাৎ অতি শক্তিশালী অনুবীক্ষণ যন্ত্রেও ধরা পড়ে না, তারা দুই প্রকারের হয়৷ (এক) যে সব মাইক্রোবাইটামেরা অনুভূতিতে অর্থাৎ পঞ্চতন্মাত্রের (রূপ, রস, গন্ধ, শব্দ, স্পর্শ) মাধ্যমে কাজ করে৷ আর--- (দুই) যে সব মাইক্রোবাইটামেরা মানসিক সংবেদনে কাজ করে৷

পশ্চিম বাংলার পূর্ণাঙ্গ বাজেট (ব্যয়মাত্রিকা) চমকপ্রদ হলেও স্থায়ী কোন আর্থিক সমস্যার সমাধান হবে না

প্রভাত খাঁ

সরকার চালাতে হলে প্রতিবছরের আয় ও ব্যয়ের উল্লেখ করে একটি বাজেট রাজ্য সরকারকে বিধানসভায় পাশ করিয়ে নিতে হয়৷ এ বছর এমন সময় বাজেট পাশ করাতে হচ্ছে যখন লোকসভার নির্বাচন আসন্য৷ তাই এই সময় ভেবে চিন্তে বিরোধী দলের শাসককে রাজ্যের বাজেট পাশ করাতে হচ্ছে যাতে লোকসভার নির্বাচনে দলের প্রার্থীগণ কিছুটা সুবিধা লাভ করতে পারে সেই আশায় ভর করে৷ কারণ নির্বাচন হলো রাজনৈতিক দলের কাছে এক বড়ো বালাই অস্তিত্বের৷ তাই এই বাজেট হয়েছে এমন বাজেট যা নাকি কল্পতরু বাজেট৷ যদিও সরকার চরম আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে এগুচ্ছেন৷ কারণ কেন্দ্রের বিরোধী বিজেপি সরকার দল স্বার্থে রাজ্যকে জনসমক্ষে হেয় প্রতিপন্ন করতেই যেন কেন্দ্রের ন্যায় সঙ্গত

স্বাধীন ভারতে বাংলাভাষার মর্যাদা ফিরে পেতে চাই আর একটা ২১শে ফেব্রুয়ারী

পথিক বর

আর ক’দিন পরেই ২১শে ফেব্রুয়ারী৷ ‘আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো ২১শে ফেব্রুয়ারী, আমি কি ভুলিতে পারি’! না, আমরা ভুলতে পারি না৷ ২১শে ফেব্রুয়ারী মাতৃভাষা দিবস৷ মাতৃভাষা মাতৃদুগ্দের মতো৷ মাতৃভাষা আমাদের প্রাণের ভাষা৷ আমরা ভুলতে পারি না, ১৯৫২ সালের ২১ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশে ডাকার (ঢাকা) রাজপথে মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রক্ষার জন্যে ৫জন শহীদ হয়েছিলেন ও ১৭জন আহত হয়েছিলেন৷ এরপর ১৯৬১ সালের ১৯শে মে তেও অসমের শিলচরে বাংলাকে মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ের আন্দোলনে ১১ জন শহীদ হয়েছিলেন৷

মাইক্রোবাইটামের প্রভাবে প্রভাবিত একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কথা

সমরেন্দ্রনাথ  ভৌমিক

আজকের প্রবন্ধটির আলোচ্য বিষয় হ’ল---প্রাকৃতিক বিপর্যয় ‘খরা’ সৃষ্টিতে মাইক্রোবাইটামের প্রভাব৷ শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের অভিমতানুসারে খরা সৃষ্টির অন্যতম কারণ হ’ল মাইক্রোবাইটাম৷ কিন্তু ‘খরা’ কাকে বলে? ‘খরা’ Drought) হ’ল একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয়৷ দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টিপাত না হলে যে প্রাকৃতিক পরিবেশ সৃষ্টি হয় তাকে খরা বলে৷ এখন খরা কেন হয় ও কি কি কারণে ঘটে?

বাঙালীর জাতিসত্ত্বা ভাষা, লিপি ও কৃষ্টি কি হারিয়ে যেতে বসেছে

জে.ডি. মণ্ডল

(পূর্ব প্রকাশিতের পর )

বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলের বিশালত্ব ঃ-

গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-দামোদর-ময়ূরাক্ষী ইত্যাদি নদী ব-দ্বীপ অঞ্চলে গড়ে ওঠা বাঙালী অধ্যুষিত অঞ্চলের মোট আয়তন ছিল---১৮৭২ সালে-২,৪৮,২৩১ বর্গ মাইল অর্থাৎ ৪,৩৫,৪৭১ বর্গ কিমি৷ (সূত্র ঃ বৃটেনিকা এনসাইক্লোপিডিয়া নবম সংস্ককরণ, তৃতীয় খণ্ড, পৃঃ-৫৬৪)৷

বর্ত্তমানে ওই অঞ্চলের লোকসংখ্যা হবে আনুমানিক ৪০ কোটি৷ অঞ্চলটা হলো---

বোট কেন্দ্রীক একপেশে অন্তবর্তী বাজেট গণতন্ত্রকেই লজ্জা দেয়

প্রভাত খাঁ

কেন্দ্র সরকার মাত্র তিন মাসের মাসের জন্য যে অন্তর্বর্তী বাজেট (ব্যয়মাত্রিকা) পেশ করেছে সেটাকে বলা যায় এক ধরণের আগামী লোকসভার বোট যেটা ২০২৪-এ অনুষ্ঠিত হবে সেটার দিকে লক্ষ্য রেখেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী মাননীয়া নির্মলা দেবীর শেষ বাজেট পেশ৷ এই বাজেটটাও সেই অতীতের বাজেটে যে কল্পিত ঘোষনা বছরে ২কোটি বেকারের চাকরী তারই বোটমুখী৷ কারণ এই টুকরো বাজেটে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর তিনকোটি মহিলাকে লাখপতি দিদি হওয়ার সুযোগ দেওয়ার ঘোষনা! মনে রাখা দরকার এটা একটি বৃহত্তর দলতান্ত্রিক সরকার যেটি কেন্দ্রীয় সরকার তার পক্ষে কি লজ্জাজনক নয়? যে দেশে শোষিত ও বঞ্চিত মহিলাদের সংখ্যা কোটি কোটি!

নীলকন্ঠ করেছেন পৃথিবীরে নির্বিষ

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

‘আজ অর্থনীতি বস্তাপচা তত্ত্ব কথার কচকচানি ছাড়া আর কিছুই নয়৷ একে অধিকতর বাস্তবমুখী করতে হবে ৷’--- অর্থনীতি হবে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ও প্রয়োগ ভৌমিক বিজ্ঞান, আর একে সর্বজীবের তথা সর্ব অস্তিত্বের সার্বিক কল্যাণের স্বার্থে বিকশিত করতে হবে৷

প্রাউটের সমাজ আন্দোলনের লক্ষ্য স্থানীয় মানুষের হাতে থাকবে অর্থনৈতিক ক্ষমতা

মনোজ দেব

আজ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সমাজের অর্থনৈতিক উন্নয়নের একমাত্র পথ হিসেবে মেনে নিয়ে আপন আপন কর্মসূচী নিয়ে কাজ করে চলেছে৷ তারা দেশে ক্রমবর্ধমান দারিদ্র্য ও বেকার সমস্যা সমাধানের জন্যে দেশী-বিদেশী পুঁজিপতিদের শরণাগত৷ দেশী-বিদেশী পুঁজিপতিরা যাতে রাজ্যে তাদের মোটা পুঁজি বিনিয়োগ করে’ শিল্প গড়ে তুলতে এগিয়ে আসে, সেজন্যে ওই পুঁজিপতিদের নানান ভাবে তোষণ করে চলেছে৷ তাদের নানাভাবে প্রলোভন দিচ্ছে৷ সস্তায় জমি, বিদ্যুৎ, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে করছাড় ইত্যাদির আশ্বাস দিয়ে নানাভাবে তাদের মন ভেজানোর চেষ্টা করছে৷ বাম আমলেও দেখা গেছে কট্টর মার্কসবাদী বলে পরিচিত সিপিএম সহ অন্যান্য সঘোষিত সমাজতন্ত্রী